শিরোনাম
◈ চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে চুক্তির সব কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ ◈ শ্রীলঙ্কাকে ৬৭ রা‌নে হারা‌লো  জিম্বাবুয়ে  ◈ রায়ের পর হাসিনাকে ফেরত দেয়ার দাবি জোরালো হচ্ছে ◈ রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি, চার মাসে এলো এক লাখ ১৯ হাজার কোটি টাকা ◈ প্রবাসী ভোটারদের সতর্কতা: ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর না দিলে পোস্টাল ভোট বাতিল ◈ তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধানের বিষয়ে যা জানালেন শিশির মনির ◈ বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় প্রতিষ্ঠার চূড়ান্ত অনুমোদন ◈ ১৯ দিনে প্রবাসী আয় ২ বিলিয়ন ডলার ◈ ডাকসু সদস্য রাফিয়ার বাড়িতে ককটেল নিক্ষেপ, আগুন ◈ জার্মা‌নি‌কে হা‌রি‌য়ে নারী কাবা‌ডি বিশ্বকা‌পের সেমিফাইনালের পথে ভারত

প্রকাশিত : ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ০৬:১৪ সকাল
আপডেট : ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ০৬:১৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বইমেলা এখন স্রেফ এক করপোরেট ইভেন্ট

মনজুরুল হক

মনজুরুল হক: [১] আপনার-আমার মানা না-মানায় কিসসু আসে-যায় না। সত্য হলো অমর একুশে বইমেলা এখন আর প্রকাশক-লেখক-পাঠকের মিলনমেলা নয়। এটা এখন স্রেফ এক কর্পোরেট ইভেন্ট। যেখানে লেখক-প্রকাশক-পাঠক সকলেই মেলা কর্তৃপক্ষ তথা ক্ষমতাসীন সরকারের ক্রীড়ানক। সরকারের শক্তিশালী হাতের পেশি আপনি দেখতে পাবেন না বটে, তবে প্রতি পদে তাদের দোর্দণ্ড উপস্থিতি টের পাবেন।

[২] বইমেলায় প্যানোরমা চিত্র কেমন? এখানে জোর লবিং করে সরকারের নেকনজর হাসিল করে তাদেরই বরকন্দাজদের কারো হাত থেকে বাংলা একাডেমির পুরস্কার হাতানোর প্রতিযোগিতার পাশাপাশি ‘হেফাজতি বাংলার’ কবি-সাহিত্যিকরা নিজেদের বইপত্র নিজেরাই পড়া, নিজেরাই একে অন্যের প্রশংসা করে পিঠ চুলকে দেওয়া, ঘন ঘন বিভিন্ন মাধ্যমে আত্মীয় কুটুম্বর শক্তিবলে বিজ্ঞাপন প্রচার করা, রাবিশ আর বস্তাপচা কাগজের বান্ডিল ছেপে নিয়ে পুরস্কারের জন্য এ দুয়ার সেদুয়ারে হত্যে দিয়ে থাকা এবং সরকার তথা সরকারের ‘স্পোকসম্যান’ মেলাকর্তৃপক্ষের অন্যায়-অবিচার-পক্ষপাতিত্ব-দাদাগিরি নতমস্তকে মেনে নেওয়া। 

[৩] ২০১৩ সালের পর থেকে একটা চিহ্নিত মহল সুচিন্তিত ছক কষে বইমেলাকে সংক্ষিপ্তকরণ, বিধিনিষেধের ঘোটালায় ফেলে প্রায় মিলিটারি আইন জারি করেছে। একবার বই ‘চেক’ করে তো অন্যবার টাইম বেঁধে দেয়। পরেরবার মেলার সময় কমিয়ে আনে তো তার পরেরবার কোন কোন বই বা প্রকাশক মেলায় ঢুকতে পারবে না সেই ফরমান জারি করে। স্টলের টাকাপয়সার ঘ্যানতাড়া তো আছেই। সে ফি বছর বেড়েই চলেছে। 

[৪] এবার প্রথম সপ্তাহটা নিরামিষ জাউ জাউ কাটলেও দুম করে এক অসম বয়সের দম্পতিকে মেলা থেকে বলপূর্বক বের করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কেন? কে কে নাকি অভিযোগ করেছিল তারা সমাজ কলুষিত করছে। হা হোতষ্মি। একটা পঁচাগলা এঁদো নর্দমার মতো সমাজের খারাপ করতে বাকি আছে কিছু? হ্যাঁ, ওই দম্পতি ব্যক্তিত্বহীন ক্যালাসের মতো তাদের বিয়ে নিয়ে মিডিয়ার খোরাক হওয়া উপভোগ করছে। সেটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। সেখানে বইমেলা কর্তৃপক্ষ বাম হাত ঢোকানোর কে? কোন এখতিয়ারে এটা করলো? একজন ব্যক্তি ৬৫ বছর ১৮ পেরুনো নারীকে তার সম্মতিতেই বিয়ে করেছেন। এখানে রাষ্ট্র, সরকার, সমাজ, বাংলা একাডেমির নাক গলানোর আইনগত কোনো অধিকার আছে? নেই। তারপরও তারা গলাবেন। কারণ তারা নিজেদের প্রভু ভাবেন এবং প্রভুদের নাক সব সময়ই বেশ খানিকটা গলে থাকে। প্রতিবাদ জানিয়ে রাখলাম। ১০ ফেব্রুয়ারি ২৪। লেখক ও ফ্রিল্যান্স জার্নালিস্ট 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়