শিরোনাম
◈ আবারও শাহবাগ অবরোধ করেছেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আহতরা ◈ গেজেট প্রকাশের পরই আ. লীগের নিবন্ধন নিয়ে সিদ্ধান্ত: সিইসি ◈ লড়াই রা‌তে, জিত‌লে বা‌র্সেলোনা চ্যাম্পিয়ন ◈ পরিবারে মা হচ্ছেন এক বিস্ময়কর প্রতিষ্ঠান, খালেদা জিয়াকে নিয়ে আবেগঘন বার্তা তারেক রহমানের ◈ পাকিস্তানের শক্ত জবাবেই যুদ্ধবিরতি করতে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বারস্থ হয় ভারতঃ সিএনএনের সাংবাদিক (ভিডিও) ◈ মেসির গোলে কাজ হয়‌নি, বড় ব্যাবধা‌নে হে‌রে গে‌লো ইন্টার মায়ামি ◈ জনরোষ ঠেকাতে লুঙ্গি-গেঞ্জি-মাস্ক পরে বিমানবন্দরে যান আবদুল হামিদ, গোপনে তুলে দেওয়া হয় বিমানে ◈ রেকর্ড হ্যাটট্রিকসহ সরলথের চার গোল, জিত‌লো অ্যাথ‌লে‌তি‌কো মা‌দ্রিদ ◈ আরব আমিরাতের বিরু‌দ্ধে দুই ম‌্যা‌চের ‌টি- টো‌য়ে‌ন্টি খেল‌বে বাংলাদেশ  ◈ ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনায় চীনা জে-১০সি জেটের উত্থান: রাফায়েল ভূপাতিত, বিশ্বজুড়ে চীনা অস্ত্রপ্রযুক্তির চাহিদা বৃদ্ধি

প্রকাশিত : ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ০৪:২০ সকাল
আপডেট : ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ০৪:২০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আমাদের অর্থনীতির গতিপ্রকৃতি

কাজী এম মুর্শেদ

কাজী এম মুর্শেদ: এমন দুইমাস পরপর ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেবার মানে নেই। আমি বাংলাদেশের ক্রেডিট রেটিং নিয়ে বলছি। বিশে^ তিনটা ক্রেডিট রেটিং সংস্থা আছে যারা সর্বজন স্বীকৃত। মুডিস রেটিংয়ে অবনমন হয় মে মাসের শেষ দিকে। এস অ্যান্ড পি বা স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড পুওর রেটিং দ্বিতীয় ধাক্কা দেয় জুলাই শেষে। এখন সেপ্টেম্বর শেষে ফিচ তৃতীয় ধাক্কা দিলো। গতবছর থেকে সবাই নজর রাখছিলো, আইএমএফের ঋণ নিয়ে। ৪.৫ বিলিয়ন ডলার এমন বড় কিছু নয়, তার উপর এক তৃতীয়াংশ ক্লাইমেট ফান্ডে। কিন্তু যে কারণে এটা এতো দরকারি তা হলো, আইএমএফ গাইডলাইন দেয়, চেকলিস্ট দেয়, মাইলস্টোন দেয়। আপনার কী করতে হবে জানায়, কোন কোন খাতে কী কী করতে হবে জানায় এবং মিলিয়ে দেখে। আইএমএফের ঋণ পার হওয়া মানে যেকোনো আন্তর্জাতিক সংস্থা বৈদেশিক ঋণ দিতে চিন্তা করবে না। 

এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রথম ইন্সটলমেন্ট আসায় অর্থনীতিবিদরা (এবং সরকার) হাঁফ ছেড়েছিলো। ছত্রিশ মাসে মোট সাত কিস্তিতে টাকা ছাড় করে, দ্বিতীয় ইন্সটলমেন্ট আসে। কিন্তু এরপর বিপত্তি শুরু। যেসব চেকলিস্ট দিয়েছিলো, সরকারের মন্ত্রণালয় প্রাণপন চেষ্টা করে গেছে, কিন্তু ত্রৈমাসিক রিভিউ অনুযায়ী শুরুতে ভালো করলেও তৃতীয় রিভিউতে দেখা গেলো ডলার রিজার্ভ। অনেকটাই নেমে গেছে। অসম্ভব কঠিন রাজস্ব আয়ের টার্গেট, যা সামলানো কঠিন। আর যেসব খাতে সাবসিডি বন্ধ করতে বা কমাতে বলেছিলো, নির্বাচন সামনে রেখে তা করা যায়নি। 

আপনারা হয়তো আইএমএফের পুরো জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাদের বিভিন্ন বৈঠকের খবর দেখছিলেন। এপ্রিল/২২ এ আবেদন করার পরপরই বিশ্ববাজারে ডলারের বিপরীতে টাকা বিনিময়মূল্যে ধাক্কা খায়। তারপরও আমদানি কমিয়ে এবং ১০০ শতাংশ এলসি মার্জিন নিয়ে ডলার রক্ষার চেষ্টা চলে। অনেকগুলো পদক্ষেপ নেওয়া হয়, সে লম্বা লিস্ট। তারপরও সবচেয়ে বেশি যা চোখে পড়েছে, অর্থমন্ত্রী পুরো অনুপস্থিত ছিলেন। আমরা যারা বিভিন্ন সময়ে সামাজিক মাধ্যমে, পত্রিকার অনলাইন ভার্সন এবং প্রিন্ট ভার্সনে লিখি, তাদের লেখা পড়ে বা শুনে অর্থমন্ত্রী কয়েকদিন আগে বলেছিলেন, যারা অর্থনীতি নিয়ে লেখে তারা কখনো অর্থনীতি পড়েন বা বুঝেন না। মানলাম আমরা বুঝি না, উনি চার্টার্ড একাউন্টেন্ট উনি বুঝলেই হবে, মনে হয়নি বুঝেছেন। বুঝলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এমন হাহাকার শোনাতো না, নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এখন রুপিতে লেনদেনের প্রস্তাব দিতো না। শুনলাম অর্থমন্ত্রী বলছেন, কীভাবে বৈদেশিক মুদ্রা রক্ষা করা যায় এবং রেমিটেন্স বাড়ানো যায়, উনি অর্থনীতিবিদদের উপদেশ চাইছেন। কয়দিন আগে ডাস্টবিনে ফেলে এখন সাহায্য চাইছেন। কী বলবেন ভাই? জীবন এমনই কঠিন হয়ে পরে, উনার জীবন এখন তেমন কঠিন রাস্তা পাচ্ছেন না। আমার সাহায্য করার জ্ঞান বা যোগ্যতা নেই। 

কয়টা কথা বললাম, খেয়াল করেন। প্রথমত ক্রেডিট রেটিংয়ে তিনটা সূচকেই বাংলাদেশের অবনমন হয়েছে। যেই ঋণ দেবে নিজ দায়িত্বে। তবে চীন এগিয়ে আসার সম্ভাবনা বেশি, এভাবেই তারা ডেব্ট ট্রাপের দরজা পায়। দ্বিতীয় বললাম, আইএমএফের কথা, যে লোন পেলে যে কারো জন্য বৈদেশিক ঋণের দরজা খুলে, সেটা আমাদের জন্য খুলছে না। তৃতীয় বললাম, অর্থমন্ত্রীর অনুযোগ, যিনি অর্থনীতিবিদদের অবজ্ঞা করেন। 

লেখক: অর্থনীতি পর্যবেক্ষক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়