ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন: ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু দেশে ফেরার পর মার্কিন সাপ্তাহিক টাইম ১৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের ওপর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রচ্ছদে ছিলো বঙ্গবন্ধুর একটি আবক্ষ ছবি। বাম কোনায় আড়াআড়িভাবে লেখা ছিলো, ‘জেলখানা থেকে বাংলাদেশ ক্ষমতায়’ (Bangladesh from Jail to Power)। উল্লেখ্য, এমন শিরোনামে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশকে সমার্থক বলা হয়েছিলো, যা যুক্তি ও ইতিহাসম্মত। ‘৭৫ এর পর ভারতে ছ’বছরের নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে শেখ হাসিনা ‘৮১-র ১৭ মে দেশে ফেরেন আওয়ামী লীগের নতুন নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে। সেদিন আমার বলতে ইচ্ছে হয়েছিলো নির্বাসন থেকে বাংলাদেশ অস্তিত্ত্বে ফিরলো (Bangladesh from exile to existence)। আমার এমন ভাবনা যে যুক্তি স্পর্শ করেছিলো, তার প্রমাণ কবি হাসান হাফিজুর রহমান শেখ হাসিনাকে বলেছিলেন, ‘আপনিই তো বাংলাদেশ।’
১৯৯১ সালের নির্বাচনী বিপর্যয়ের পর শেখ হাসিনা দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু জননী সাহসিকা বেগম সুফিয়া কামাল তাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, ‘তোমাকে থাকতে হবে এবং বাংলাদেশকে বাঁচাতে হবে।’ শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত পাল্টেয়েছিলেন, তিনি ছিলেন বলেই বাংলাদেশের অর্জন এখন সারা দুনিয়ার নজরকাড়া। নজর কেড়েছেন তিনিও।
শেখ হাসিনার ফেরায় এমন উচ্ছ্বাসের অন্তত দুটো কারণ নির্দেশ করা যেতে পারে। এক. বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি বঙ্গবন্ধুকে হারিয়ে আমরা তার কন্যাকে নেতৃত্বে পেয়েছি। কন্যার ধমনীতে প্রবাহিত পিতার রক্ত। হারানো বঙ্গবন্ধুকে যেন ফিরে পাই শেখ হাসিনাকে দেখে। সব মিলিয়ে তার বড় পরিচয় তিনি বঙ্গবন্ধু-কন্যা। দুই. ‘৭৫ পরবর্তী বাংলাদেশ নির্বাসনে ছিলো; দেশটা তো ছিনতাইয়ের কবলে পড়েছিলো। অবয়ব-কাঠামোতে মুক্তিযুদ্ধ ছিলো উধাও। বাংলাদেশ মিনি-পাকিস্তান তকমা পেতে শুরু করেছিলো। কাজেই শেখ হাসিনার ফেরা মানে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ ফেরা।
শেখ হাসিনা দলের নেতৃত্বে চার দশকের মতো; সরকারের নেতৃত্বে প্রায় সতেরো-আঠারো বছর। উল্লেখ্য, তার নেতৃত্বেই ‘৭৫-এর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফেরে। তার ওপর দিয়ে ঝড়-ঝাপ্টা কম যায়নি। জীবনের ওপর আঘাত এসেছে উনিশ-কুড়ি বার। তার বেঁচে থাকায় অলৌকিকত্ব আছে, আছে দৈব ব্যাপারও। তবে আমরা ভাগ্যবান যে, আমরা তার নেতৃত্ব থেকে বঞ্চিত হইনি। তার দীর্ঘ নেতৃত্ব পর্যবেক্ষণ থেকে আমরা কিছু মন্তব্য করতে পারি।
সম্মোহন: সন্দেহ নেই, শেখ হসিনার নেতৃত্ব সম্মোহনী এবং তা ম্যাক্স ভেবার যে অর্থে/নিহিতার্থে ধারণাটি নির্মাণ করেছিলেন। তবে শেখ হাসিনার সম্মোহনী নেতৃত্ব মিশ্র; দুটো উপাদান আছে। প্রথমত, আহরিত সম্মোহন। তিনি সম্মোহনী বৈশিষ্ট্য আহরণ করেছেন বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে। তার সম্মোহন যে, তিনি বঙ্গবন্ধু-কন্যা। দ্বিতীয়ত, শেখ হাসিনার নিজস্ব সম্মোহনী সংযোজন, যার উৎস তার বহুবিচিত্র জনগণলগ্ন কর্মকাণ্ড। এমন সম্মোহন সৃষ্টিতে একটি ঐতিহাসিক উপাদানও বিবেচ্য। তিনি যখন দেশে ফেরেন তখন তো ফিরেছিলেন স্বজন হারানো শ্মশানে। এমন একজন মানুষের জনগণলগ্ন হওয়ার বিকল্প কিছু নেই। কারণ তার নিজস্ব চাওয়া-পাওয়ার জগত বলে কিছু নেই। আর সে কথা তো তিনি দেশে ফিরেই বলেছিলেন, ‘সব হারিয়ে আমি এসেছি আপনাদের ভোট ও ভাতের অধিকার আদায় করতে।’ এই একটি কথায় জাদু ছিলো, ছিলো সম্মোহন।
সম্মোহনী নেতৃত্বের সমান্তরালে শেখ হাসিনাকে রূপান্তরের নেতৃত্বও বলা যায়; যে দুটো গুণ বঙ্গবন্ধুর মধ্যেও ছিলো। স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু সময় পেয়েছিলেন ১,৩১৪ দিন; যে সময়ে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছিলো। বাকশাল কর্মসূচি বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ বিশ্বের বিস্ময় হতো। শেখ হাসিনার আমলে বাংলাদেশ যে অনেক বদলে গেছে তার অগুণতি আর্থ-সামাজিক সূচক আছে। দেশ ও দেশের মানুষের দিনবদলের পালা চলমান। যেতে হবে এখনও বহুদূর। যাব অনেকদূর। কারণ আমাদের স্বপ্নসারথী শেখ হাসিনা।
সৃজনশীলতা: সৃজনশীল না হলে নেতৃত্ব দেয়া যায় না। জনতার কাজ করতে হলে সৃজনশীলতা অপরিহার্য। এক্ষেত্রে শেখ হাসিনা দু’ধরনের নেতৃত্বের মিশেল-ঘটনাশ্রয়ী এবং ঘটনা সংঘটনকারী। আওয়ামী লীগের এক ক্রান্তিলগ্নে তিনি ঘটনাচক্রে সভাপতি হন। তিনি সভাপতি হয়ে দলকে রক্ষা করেছেন, দেশকে বাঁচানোর লক্ষ্যে নিবেদিত হয়ে অনেক ঘটনা সৃষ্টি করেছেন। অর্থাৎ সৃষ্টিশীলতায় তিনি নিজেকে নিয়ত অতিক্রম করে যাচ্ছেন।
শেখ হাসিনার সৃষ্টিশীলতার দুটো উদাহারণ দিই। কমিউনিটি ক্লিনিক তার নিজস্ব উদ্ভাবন। তৃণমূল মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছিয়ে দেওয়ার জন্য এর চেয়ে ভালো ব্যবস্থা আর কিছু হতে পারে না। প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রসূতি মা কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে এবং নিরাপদে সন্তান প্রসব করছেন এবং তা নিখরচায়। নিরাপদ মাতৃত্ব যে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিরল, সে দেশে এমন ব্যবস্থা বিস্বয়কর বটে। জনগণের টাকা জনগণের কাজে লাগছে, এর চেয়ে বড় কথা আর কী হতে পারে?
আশ্রয়ণ প্রকল্প (১ এবং ২) শেখ হাসিনার মস্তিষ্কপ্রসূত। ভূমিহীন-গৃহহীন ছিন্নমূল মানুষের সংখ্যা তো কম নয়। তাদের কথা শেখ হাসিনা ভেবেছেন। এ মানুষগুলো মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়ে জীবনের অর্থ খুঁজে পেতে শুরু করেছে। এমন করে এ অভাজনদের কথা আর কেউ তো ভাবেনি। এখানেও জনগণের টাকা জনকল্যাণে নিয়োজিত। সরকারি টাকা ভাবার এদেশে শেখ হাসিনা যখন এ সরকারি টাকা দিয়ে ছিন্নমূল মানুষের দিনবদলে প্রয়াসী হন, তখন তাকে তার সৃজনী-ভাবনার জন্য তারিফ করতেই হয়। তার নিজস্ব ভাষ্যে (সংসদে প্রদত্ত) এমন দশ লাখ মানুষ আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পেয়েছে, ভবিষ্যতে আরও পাবে। তার নিজের ঘোষণা, এদেশে কেউ গৃহহীন থাকবে না। এ স্বপ্ন হলেও, তা তো সত্যি হতে চলেছে।
মানবিকতা: বঙ্গবন্ধু-কন্যা বঙ্গবন্ধুর মতোই তার ব্যক্তিত্বে ধারণ করেন দুঃস্থ মানুুষের জন্য কল্যাণ-কামনা। এক্ষেত্রে শেখ হাসিনাকে নিয়ে অনেক কথাই বলা যায়। কিন্তু বলি শুধু রোহিঙ্গাদের কথা। নিজ বাসভূমে পরবাসী হয়ে প্রায় দশ-বারো লাখ রোহিঙ্গা এখন বাংলাদেশে আশ্রিত-অতিথি। অতিথি সৎকারের জন্য তৈরি হয়েছে দৃষ্টিনন্দন ভাষানচর প্রকল্প। তাদেরকে নিজ দেশে ফেরানোর কূটনীতিতে কমতি-ঘাটতি নেই। কাজেই শেখ হাসিনার জন্য অভিধা এসেছে ‘মানবতার জননী’ এবং তা-ও আবার বিদেশ থেকে।
সাহসিকতা: বঙ্গবন্ধুর নিজস্ব ভাষ্যে তার সাহসের কথা আছে; তার কন্যার মধ্যেও সাহস থাকবে, সেটাই স্বাভাবিক। বিবেকী সাহসের উৎস আত্মবিশ্বাস, যা আমরা পিতা-পুত্রীর মধ্যে দেখেছি/দেখছি। বঙ্গবন্ধুর সাহসের ফসল স্বাধীন বাংলাদেশ; শেখ হাসিনার সাহসের ফসল অসম্ভবকে সম্ভব করা দিনবদলের হাওয়া লাগা আজকের বাংলাদেশ এবং তা করোনা অতিমারি সত্ত্বেও।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধীদের বিচার ও রায় কার্যকর করা সম্ভব হয় শেখ হাসিনার সাহসের জন্য। বঙ্গবন্ধুর খুনিরা কোনোদিন ভাবতে পারেনি যে, তাদের বিচার হবে, রায় কার্যকর হবে। ‘৭৬-এর আগস্ট মাসে লন্ডনের আইটিভিতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কর্ণেল রশীদ দম্ভ নিয়ে বলেছিলো, ‘আমি শেখ মুজিবকে হত্যা করেছি। তোমাদের সাহস আছে আমার বিচার করার?’ তার দম্ভের কারণ ছিলো দায়মুক্তি অধ্যাদেশ (সেপ্টেম্বর ১৯৭৫) ও পাক-মার্কিন সমর্থন। ‘৯৬-র ১২ নভেম্বর সংসদে দায়মুক্তি অধ্যাদেশ বাতিল করে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করার অসম্ভব সাহস দেখিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। জাতিকে তিনি কলঙ্কমুক্ত করেছিলেন।
পদ্মা সেতুর অর্থায়ন নিয়ে বিশ্বব্যাংকের নাটকের কথা আমরা জানি। অর্থায়ন বন্ধ হলো এমন একটি মেগা প্রকল্পের। এমন সঙ্কটকালে শেখ হাসিনার সাহসী উ’চারণ ছিলো, আমরা পদ্মা সেতু তৈরি করবো নিজেদের টাকায়। পদ্মা সেতু হয়েছে। ‘২২-এর জুন মাসে গাড়ি চলবে। সাহসী সিদ্ধান্তের কৃতিত্ব শেখ হাসিনার; আর অর্থ জোগান দেয়ার কৃতিত্ব বাংলাদেশের মানুষের, তাদের টাকায় এ সেতু হলো। ‘৭১-এ বিজয় ছিনিয়ে এনে লড়াকু বাঙালি বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলো; নিজস্ব অর্থায়নে এ সেতু বানিয়ে বাঙালি একই কাজ করলো। কবি সুকান্তের পঙক্তি তো নিরর্থক নয়Ñসাবাস বাংলাদেশ/অবাক পৃথিবী তাকিয়ে রয়/জ্বলে পুড়ে ছারক্ষর/তবুও মাথা নোয়াবার নয়। একাত্তরে বঙ্গবন্ধুর ডাকে বাঙালি লড়াই করে দেশ স্বাধীন করেছিলো; এখন শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তে পদ্মা সেতু বানিয়ে ফেললো। বাঙালি তো মাথা নোয়াবার জাত নয়। শেখ হাসিনার সাহস প্রায় অসম্ভবকে সম্ভব করেছে।
নারী উন্নয়ন: শেখ হাসিনার আমলে বাংলাদেশে নারী প্রগতি বুঝানোর জন্য পশ্চিমে সত্তর-আশি দশকের জনপ্রিয় গায়িকা হেলেন রেড্ডির গান থেকে কলি ধার করছিÑআই এ্যাম উওম্যান, হিয়ার মি রোহ্র/ইন নাম্বারস টু-উ বিগ টু ইগনোর/ইফ আই হ্যাভ টু, আই ক্যান ডু এনিথিং/আই এ্যাম স্ট্রং/আই এ্যাম ইনভিন্সিব্ল/আই এ্যাম উওম্যান! (শেষ বাক্যটি খুব জোর দিয়ে গাইতেন)। ২০১০-এ ঘোষিত নারী নীতি নিয়ে যাত্রা শুরু। তারপর তো অনেক পথচলা হয়েছে। শুধু রা’্রপতি বা নভোচারী হওয়া ছাড়া বাংলাদেশের নারী এখন সব অব¯’ানে পৌঁছে গেছে। নারীর অগ্রগাত্রা নিশ্চিত হয়েছে শেখ হাসিনার আমলে।
প্রবৃদ্ধি/উন্নয়নের রূপকার: মনে আছে, বাংলাদেশের জন্মলগ্নে ড. কিসিঞ্জারের অভিসম্পাত ছিলো, দেশটি তলাবিহীন ঝুড়ি হবে। বঙ্গবন্ধুর আমলেই জাতীয় গড় প্রবৃদ্ধি সাতের ওপর হয়ে ঝুড়িতে জমা হয়েছিলো বেশ কিছু। বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর, ‘৭৬-এ দু’জন উন্নয়ন অর্থনীতিবিদ ÑÑ জাআ’ ফারল্যান্ড ও জে.আর. পার্কিনসনÑÑবাংলাদেশ সম্পর্কে তিনটি তীর্যক মন্তব্য করলেন। এক, বাংলাদেশের উন্নয়ন বিশ্বের কঠিনতম সমস্যা। দুই, বাংলাদেশের উন্ন্য়ন হলে, সব দেশেরই উন্নয়ন হবে। তিন, বাংলাদেশের উন্নয়ন হলেও, অন্তত দু’শো বছর লাগবে। কিন্তু ২০১৬-তে শেখ হাসিনা যখন প্রধানমন্ত্রি, বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে উন্নয়নের ‘রোল মডেল’ হিসেবে তকমা দেয়। এখন তো দেশটি স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের অব¯’ানে উন্নীত, সারা বিশ্বের বিস্ময়।
বাংলাদেশে এযাবত যা অর্জিত হয়েছে, তা প্রবৃদ্ধি, উন্নয়নের পূবশর্ত; এখনও উন্নয়ন নয়। কারণ উন্নয়ন মানে সমতাভিত্তিক প্রবৃদ্ধি। এদেশে এখনও দৃশ্যমান বৈষম্য বিরাজমান, যা করোনাকালে আরও বেড়েছে, এবং বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে সঙ্কটাপন্ন করেছে বা করছে। কিন্তু আমাদের আগামীর রোডম্যাপ রূপকল্প ২০৪১ আছে। করোনা আমাদের অগ্রযাত্রা বিঘ্নিত করতে পারে, আমাদের চলার গতিকে সাময়িক শ্লথ করতে পারে; কিন্তু রুখতে পারবে না কোনোদিন। কারণ আমাদের স্বপ্নসারথী শেখ হাসিনা। সংস্কৃত প্রবচন আছেÑরত্ন কর্ষতি পুর:পরমেক/স্তদগতানুগতিকো ন মহার্যৎÑঅর্থাৎ একজনই আগে পথ তৈরি করে দেন। পরে সে পথ দিয়ে যাত্রায়াত করার লোক দুর্লভ হয় না। বঙ্গবন্ধুর তৈরি করা পথে শেখ হাসিনা চলছেন, যদিও তার পথচলা সহজ নয়, বেশ কঠিন। শেখ হাসিনার জন্মদিনে আমরা বলতে বাধ্য ‘জন্মদিনে বলতে এলাম, শুভ তোমার জয়ন্তী।’ জয়তু শেখ হাসিনা।
লেখক: বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস্ (বিইউপি)