শিরোনাম
◈ জামায়াত আমিরের সঙ্গে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ, হলো যে আলোচনা ◈ নির্বাচন নিয়ে কিছু ব্যক্তি অযাচিতভাবে শঙ্কা সৃষ্টির চেষ্টা করছেন: মির্জা ফখরুল ◈ বাংলাদেশে চলছে পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ, রক্তিম রূপ ধারণ করেছে ‘চিরচেনা চাঁদ’ (ভিডিও) ◈ শেরপুরে দোজা পীরের পরিত্যক্ত  ভবন থেকে নারীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার ◈ ইনসাফের পক্ষে থাকলেই সে এনসিপির—হাসনাত আবদুল্লাহ ◈ রাশিয়ার ক্যানসার ভ্যাকসিন ট্রায়ালে সফল ◈ আরও বাড়লো স্বর্ণের দাম ◈ নতুন কূপের সন্ধান হবিগঞ্জে, মিলবে ২৫ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস ◈ ট্রাম্পের ৫০% শুল্ক আরোপে ভারতকে অপ্রত্যাশিত খেসারত দিতে হবে ◈ ‎তিস্তা নদীতে সরকারি বাঁধের নিচে অবৈধ বালু উত্তোলন: ধ্বংসের মুখে কোটি টাকার স্প্যার বাঁধ

প্রকাশিত : ০২ জুন, ২০২২, ০৩:১৭ রাত
আপডেট : ০২ জুন, ২০২২, ০৩:১৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘বিষের বোতল’, ‘ভোটের দাবি’ ও সমাধানের সমন্বয় 

কাকন রেজা

কাকন রেজা: সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে বিষের বোতল ও কাফনের কাপড় নিয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের ফটকে নোয়াখালীর হাতিয়ার দুটি ইউনিয়নের চল্লিশজন চেয়ারম্যান ও সদস্য প্রার্থীদের অবস্থান করার খবর দিয়েছে দেশের গণমাধ্যম। অবস্থানকারীদের অভিযোগ তারা নির্বাচনী প্রচার ও কার্যক্রম চালাতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছেন। তাদের অভিযোগের আঙুল স্থানীয় সংসদ সদস্য ও তার স্বামী এবং তাদের লোকজনের প্রতি। এর আগে তো আরেকজন দিনের ভোট রাতে করে ফেলতেন পূর্বের অভিজ্ঞতায় এমন ঘোষণা দিয়ে দিয়েছেন। সেটায় বাদ সেধেছে শুধু ইভিএম। তাই লোকজনকে কেন্দ্রে আসতে হবে জানিয়েছেন তিনি। যারা আসবেন তাদের ইভিএম মেশিনের বোতাম টেপায় সহযোগিতার জন্যও তার লোক থাকবে, এমন কথাও বলে রেখেছেন। এটা শুধু খবর নয়, তার এমন বক্তব্যের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। 


কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মতবিনিময়কালে নির্বাচন কমিশনারের সমুখেই বক্তব্য দিতে বাধা দেওয়া হয়েছে প্রার্থীদের। এমন অবস্থায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের প্রতিশ্রুতি ও আশাবাদ নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। তার সুষ্ঠু নির্বাচনের ইচ্ছা কতোটুকু ফলপ্রসু হবে তা প্রশ্নের মুখে ফেলেছে, এসব নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ঘটনা। কয়েকটি এলাকার ভোটেই যদি এই অবস্থা হয়, তবে সারাদেশের ভোট কীভাবে সামলাবে নির্বাচন কমিশন, এটাই হলো মূল আলাপ এবং সমস্যা। যার সমাধান বিষয়ে আপাত দৃশ্যমান কিছু হাতে নেই। নির্বাচন কমিশন থেকে বলা হচ্ছে, রাতের ভোট হবে না। কিন্তু দিনের ভোটেরই যে নমুনা দেখা যাচ্ছে, তাতে বিরোধী মতের দাবির উপযুক্ততাই দৃশ্যমান হচ্ছে ক্রমশ। ইলেকট্রিক ভোটিং নিয়ে সংশয় তো রয়েছেই। তবে তার চেয়ে বড় বিপদ হচ্ছে, বুথের ভেতর বোতাম টেপায় সহায়তাকারীরা। বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রগুলো ব্যালটে ফিরে গেছে। অ্যামেরিকার মতন দেশে ব্যালটে নির্বাচন হয়। এখন যদি কেউ বলেন, আমরা অ্যামেরিকা ইউরোপের চেয়ে উন্নত তাহলে কথা আলাদা। এসব কথা শুনলে মনে হয় দেশে বোধহয় সিদ্ধি সেবন বৈধ করে দেয়া হয়েছে। 

দেশের নানা কর্মকাণ্ডেও মনে হচ্ছে তাই। এখানে যে যার মতন কথা বলছেন। আবার যখন কথায় প্রবল বৈপরীত্য দেখা দিচ্ছে তখন তাকে আড়াল করা হচ্ছে ব্যক্তিগত অভিমত বলে। এই যে বৈপরীত্য এর মানে হলো সমন্বয় নেই। সমন্বয়হীনতা আমাদের সবখানেই। সমন্বয়হীনতার সাথে জবাবদিহিতারও রয়েছে প্রচণ্ড অভাব। কীভাবে অভাব বলি। এই যে দেশের মেগা প্রকল্পগুলোর শনৈঃ-শনৈঃ ব্যয় বাড়ছে, কেন বাড়ছে তার কোনো জবাবদিহিতা নেই। প্রকল্প ব্যয় বাড়ার সাথে সেটা থেকে আসা সম্ভাব্য আয় সমন্বয়েরও কোনো ব্যাপার নেই। অনেকেই হিসেবে দিয়েছেন রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পসহ বিভিন্ন প্রকল্পের ব্যয় এবং তা থেকে সম্ভাব্য আয়ের। সে হিসেব কোনো আশার কথা শোনায় না। 

এক পদ্মা সেতুর সিংহভাগ অর্থায়ন নয় নিজেদের কিন্তু অন্যান্য প্রকল্পগুলো তো ঋণ করে করা। শুধু বিদেশি ঋণ নয়, ঋণ নেওয়া হয়েছে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকেও। আর তার পরিমাণ অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি। যদিও এখন পর্যন্ত আমরা ঋণ খেলাপি নই। কিন্তু এই ঋণ পরিশোধের দায়টা তো সাধারণ মানুষের উপর। লক্ষ-হাজার কোটি লোপাটকারীরা তো এই দায় নেবে না। ফলে সাধারণ মানুষের ব্যক্তি অর্থনীতি চাপের মুখে থাকায় দেশের সমষ্টিক অর্থনীতিও সে চাপে ন্যুব্জ হবার দশা। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এই চাপেরই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। সুতরাং বিচ্ছিন্ন কোনো ভালো দিক দিয়ে সমষ্টিগত বিষয়গুলোকে সামাল দেওয়া হলো হারাধনের দশটি ছেলের গল্পের মতন। 

লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়