কামরুল আহসান: প্রতিযোগিতার মাঠে মানুষ যখন দৌড় শুরু করে, অর্ধেকটা মাঠ এক দমে সবাই প্রায় সমান সমান দৌড়ে যায়, তারপর একজন একজন করে দম ছাড়তে থাকে, হাল ছাড়তে থাকে। প্রথম যে হয়, তার দমটা কল্পনা করা যায়, দৌড় শেষ করেই সে মাটিতে গড়িয়ে পড়ে। জীবনের দৌড়ে দমও ছাড়তে নেই, হালও ছাড়তে নেই। তাহলেই সব শেষ। দৌড়াতে থাকলে একদিন অন্ধকার ট্যানেল পার হওয়া যাবেই। সব ট্যানেলেরই শেষ আছে। আশ্চর্য ব্যাপার হচ্ছে অনেকে হাল ছাড়ে একেবারে শেষ মুহূর্তে গিয়ে। হয়তো সে ৯০ মিটার দৌড়েছে, আর ১০ মিটার দৌড়ালেই ট্যানেল পার হয়ে যেত, কিন্তু আর শক্তি ধরে রাখতে পারে না।
কোনো ছোট নদী বা বড় পুকুর প্রথমবারের মতো সাঁতরে পার হওয়ার অভিজ্ঞতা যার আছে, সে জানে, প্রথমে প্রবল উৎসাহে প্রচণ্ড গতিতে সাঁতার শুরু করলেও একটা পর্যায়ে গিয়ে হাত, পা শিথিল হয়ে যায়, পা তখন শুধু মাটি খাবলায়, মাটি না পেলে অনেক সময় দক্ষ সাঁতারু পর্যন্ত ভয় পেয়ে যায়, তখন মনে হয় নদী বা পুকুরটাকে সে যতোটা ছোট ভেবেছিলো ততো ছোট তো নয়, তখন দম আরও দ্রুত ফুরিয়ে আসতে থাকে। কিন্তু তখন তাড়াহুড়ো করলেই শেষ, তখন শুধু হাত-পা ছড়িয়ে ভেসে থাকতে পারলেই হয়, একটা কথা শুধু মনে রাখতে হয়, আমি সাঁতার জানি, আমি কেবল ভেসে থাকলেই কূল পাবো। লেখক ও সাংবাদিক