শিরোনাম
◈ রাজনৈতিক দলের বিচারে ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধন, গেজেট প্রকাশ ◈ বাংলাদেশের কাছে লিখিত প্রস্তাব চায় যুক্তরাষ্ট্র, তারপর আলোচনা শুরু ◈ আ. লীগের কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে অনলাইনেও, পেজ বন্ধে চিঠি দেবে বিটিআরসি ◈ ভারত-পাকিস্তানের সঙ্গে কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে কাজ করব: ট্রাম্প ◈ আবারও শাহবাগ অবরোধ করেছেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আহতরা ◈ গেজেট প্রকাশের পরই আ. লীগের নিবন্ধন নিয়ে সিদ্ধান্ত: সিইসি ◈ লড়াই রা‌তে, জিত‌লে বা‌র্সেলোনা চ্যাম্পিয়ন ◈ পরিবারে মা হচ্ছেন এক বিস্ময়কর প্রতিষ্ঠান, খালেদা জিয়াকে নিয়ে আবেগঘন বার্তা তারেক রহমানের ◈ পাকিস্তানের শক্ত জবাবেই যুদ্ধবিরতি করতে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বারস্থ হয় ভারতঃ সিএনএনের সাংবাদিক (ভিডিও) ◈ মেসির গোলে কাজ হয়‌নি, বড় ব্যাবধা‌নে হে‌রে গে‌লো ইন্টার মায়ামি

প্রকাশিত : ২৬ মে, ২০২৩, ০২:০৬ রাত
আপডেট : ২৬ মে, ২০২৩, ০২:০৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার প্রশ্নে মার্কিন এই ভিসা-নীতি একটু হলেও অবদান রাখবে

আনিস আলমগীর

আনিস আলমগীর: বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনে যারা বাধা দেবে যুক্তরাষ্ট্র তাদের ভিসা দেবে না বলে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেনের ২৪ মে’র ঘোষণায় দেখছি বাংলাদেশের বিরোধী শিবিরে ঈদ আনন্দ লেগেছে। বিদেশে অবস্থানরত ভাইদের চিৎকার একটু বেশি, ভাবখানা যে তারাই এই ভিসা রেস্ট্রিকশন এনেছে। ভোটদানে বাধা কি শুধু সরকারি দল থেকে আসে? অতীত ইতিহাস কী বলে? বিএনপি অভিযোগ করে, ২০১৮ সালে নির্বাচনে রাতে ভোট হয়ে গেছে, অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যাও নয়। বিরোধী দলের লোকজনকে ভোটদানে বাধা দেওয়া হয়েছে তেমন দৃশ্য খুব চোখে না পড়লেও, ভোটের আগেই তারা অনেকে বাড়িছাড়া ছিলো, বিরোধী নেতাকর্মীদের জেলে দেওয়া হয়েছে, এটা সত্য। কিন্তু ২০১৪ সালের নির্বাচনে কী হয়েছিলো? বিএনপিসহ অনেক বিরোধী দল নির্বাচনে অংশ নেয়নি। অর্ধেকেরও বেশি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে আওয়ামী জোটের এমপিরা।
জনগণের ভাগ্যে কী জুটে ছিলো? যারা ভোট দিতে আগ্রহী ছিলো তাদের জ্বালাও পোড়াও আন্দোলনের মাধ্যমে বিরত রাখা হয়েছিলো। ২৫ নভেম্বর ২০১৩ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন থেকে ভোটের আগের দিন পর্যন্ত বিএনপির নেতৃত্বাধীন বিরোধীদলীয় জোট ছয় দফায় ২৬ দিন অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে। এই সময় সারা দেশে প্রাণ হারিয়েছেন ১২৩ জন। আর নির্বাচনের দিন বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক সহিংসতার ঘটনায় নিহত হয়েছে কমপক্ষে ১৮ জন। 
সব মিলিয়ে এই নির্বাচনের জন্য প্রাণ দিতে হয়েছে কমপক্ষে ১৪১ জনকে। নারকীয়ভাবে হত্যা করা হয়েছে প্রিসাইডিং অফিসারকেও। অন্তত দেড়শ স্কুল কলেজ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিলো যেগুলো ভোট কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। ভোটাধিকার ক্ষুণ্ন শুধু আপনার ভোট রাতে দিয়ে দিলে হয় না, ভোট দিয়েছেন বলে কিংবা ভোট দিতে যাচ্ছেন বলে আপনাকে পিটিয়ে মারাও এর মধ্যে পড়ে। ভোট দেওয়া না দেওয়া, দুটোই নাগরিক অধিকার। সমস্যা হচ্ছে রাজনৈতিকভাবে অন্ধ ভেড়ার পাল ভোটারা ভোটাধিকার ক্ষুন্ন হওয়ার বিষয়টি নিজ নিজ রাজনৈতিক দৃষ্টিতে দেখেন, অন্যের অধিকার তাদের চোখে পড়ে না।
সে কারণেই আমেরিকান নতুন ভিসা-নীতি দেখে অনেকে লাফাচ্ছেন, যেন ভোটাধিকার হরণের তালিকায় শুধু সরকারি দলকে রাখা হয়েছে, বিরোধী দলকে রাখা হয়নি। বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার প্রশ্নে মার্কিন এই ভিসা-নীতি একটু হলেও অবদান রাখবে। এটাকে সব পক্ষের ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখা উচিত। লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক। ফেসবুক থেকে 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়