শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৬ মে, ২০২৩, ০২:০৬ রাত
আপডেট : ২৬ মে, ২০২৩, ০২:০৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার প্রশ্নে মার্কিন এই ভিসা-নীতি একটু হলেও অবদান রাখবে

আনিস আলমগীর

আনিস আলমগীর: বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনে যারা বাধা দেবে যুক্তরাষ্ট্র তাদের ভিসা দেবে না বলে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেনের ২৪ মে’র ঘোষণায় দেখছি বাংলাদেশের বিরোধী শিবিরে ঈদ আনন্দ লেগেছে। বিদেশে অবস্থানরত ভাইদের চিৎকার একটু বেশি, ভাবখানা যে তারাই এই ভিসা রেস্ট্রিকশন এনেছে। ভোটদানে বাধা কি শুধু সরকারি দল থেকে আসে? অতীত ইতিহাস কী বলে? বিএনপি অভিযোগ করে, ২০১৮ সালে নির্বাচনে রাতে ভোট হয়ে গেছে, অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যাও নয়। বিরোধী দলের লোকজনকে ভোটদানে বাধা দেওয়া হয়েছে তেমন দৃশ্য খুব চোখে না পড়লেও, ভোটের আগেই তারা অনেকে বাড়িছাড়া ছিলো, বিরোধী নেতাকর্মীদের জেলে দেওয়া হয়েছে, এটা সত্য। কিন্তু ২০১৪ সালের নির্বাচনে কী হয়েছিলো? বিএনপিসহ অনেক বিরোধী দল নির্বাচনে অংশ নেয়নি। অর্ধেকেরও বেশি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে আওয়ামী জোটের এমপিরা।
জনগণের ভাগ্যে কী জুটে ছিলো? যারা ভোট দিতে আগ্রহী ছিলো তাদের জ্বালাও পোড়াও আন্দোলনের মাধ্যমে বিরত রাখা হয়েছিলো। ২৫ নভেম্বর ২০১৩ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন থেকে ভোটের আগের দিন পর্যন্ত বিএনপির নেতৃত্বাধীন বিরোধীদলীয় জোট ছয় দফায় ২৬ দিন অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে। এই সময় সারা দেশে প্রাণ হারিয়েছেন ১২৩ জন। আর নির্বাচনের দিন বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক সহিংসতার ঘটনায় নিহত হয়েছে কমপক্ষে ১৮ জন। 
সব মিলিয়ে এই নির্বাচনের জন্য প্রাণ দিতে হয়েছে কমপক্ষে ১৪১ জনকে। নারকীয়ভাবে হত্যা করা হয়েছে প্রিসাইডিং অফিসারকেও। অন্তত দেড়শ স্কুল কলেজ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিলো যেগুলো ভোট কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। ভোটাধিকার ক্ষুণ্ন শুধু আপনার ভোট রাতে দিয়ে দিলে হয় না, ভোট দিয়েছেন বলে কিংবা ভোট দিতে যাচ্ছেন বলে আপনাকে পিটিয়ে মারাও এর মধ্যে পড়ে। ভোট দেওয়া না দেওয়া, দুটোই নাগরিক অধিকার। সমস্যা হচ্ছে রাজনৈতিকভাবে অন্ধ ভেড়ার পাল ভোটারা ভোটাধিকার ক্ষুন্ন হওয়ার বিষয়টি নিজ নিজ রাজনৈতিক দৃষ্টিতে দেখেন, অন্যের অধিকার তাদের চোখে পড়ে না।
সে কারণেই আমেরিকান নতুন ভিসা-নীতি দেখে অনেকে লাফাচ্ছেন, যেন ভোটাধিকার হরণের তালিকায় শুধু সরকারি দলকে রাখা হয়েছে, বিরোধী দলকে রাখা হয়নি। বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার প্রশ্নে মার্কিন এই ভিসা-নীতি একটু হলেও অবদান রাখবে। এটাকে সব পক্ষের ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখা উচিত। লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক। ফেসবুক থেকে 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়