শিরোনাম
◈ ফলকার টুর্ককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করল ভেনেজুয়েলার পার্লামেন্ট ◈ ভোলায় স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ: প্রধান আসামিসহ তিনজন গ্রেপ্তার, অভিযুক্ত নেতারা দল থেকে বহিষ্কৃত ◈ মুরাদনগরে মাদককারবারির অভিযোগে তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা, একজন গুরুতর আহত ◈ গণঅভ্যুত্থান সরকারের কেউ কেউ ‘লুটপাট’ করে বেহুঁশ হওয়ার দশা: ইশরাক হোসেন ◈ যে কারণে পিআর পদ্ধতি চায় জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলন ◈ ‘মেগাস্টার’ শব্দকাণ্ডে বিতর্ক: “আমি মানুষটা ছোট, অন্যকে ছোট করব কীভাবে” — জাহিদ হাসান ◈ এবার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন শিল্পকলার চারুকলা পরিচালক ◈ কেশবপুর পৌরসভার  সাবেক মেয়র রফিকুল গ্রেফতার ◈ বেনাপোল কাস্টমসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩১৬ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায় ◈ পার্বত্য চট্টগ্রামের একশ স্কুলে এবছরই ই-লার্নিং চালুর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

প্রকাশিত : ১৯ মার্চ, ২০২৩, ০১:৪৩ রাত
আপডেট : ১৯ মার্চ, ২০২৩, ০১:৪৩ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘ইমোশনাল ফ্লাকচুুয়েশন’ এবং ‘মন বেচারা’!

ফড়িং ক্যামেলিয়া

ফড়িং ক্যামেলিয়া: ‘ইমোশনাল ফ্লাকচুুয়েশন’ টার্ম এর সঙ্গে কি আপনার পরিচয় আছে? এই যে মেয়েদের পিরিয়ডের সময় মুডসুইং হয়, মানে এই রাগ, এই হাসি, এই কান্না, হুট-হাট ইমোশন বদলে যাওয়া ব্যাপারটাই ‘ইমোশনাল ফ্লাকচুয়েশন’। আজকের লেখার প্রসঙ্গ মোটেও, মুড সুইং না। আজকের লেখার প্রসঙ্গ হল, আমরা প্রতি সেকেন্ডে কিভাবে ইমোশনাল ফ্লাকচুয়েশনের আঘাতে, নিজেদের সব চেয়ে জরুরী আবেগগুলো ক্ষয় করে, নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছি। আচ্ছা, আপনার কখনো মনে হয়েছে, আজকাল মানুষের দুঃখ, কষ্ট, কিংবা মৃত্যু দেখলে আপনার ভেতরে কেন কোন তীব্র শোক কাজ করে না? কেন আপনার শোকের আয়ু ক্রমান্বয়ে কমে কমে তলানিতে এসে ঠেকেছে? কিংবা কেন আপনি তীব্র আনন্দ অনুভব করতে পারেন না। হতাশ হয়ে যাচ্ছেন? উত্তর দিচ্ছি। 

তার আগে মনে করে দেখুন তো আজকে আপনার ফেইসবুক ওয়ালে কি কি দেখেছেন, কি কি পোষ্ট করেছে আপনার বন্ধুরা? ধরে নেই, এক ফ্রেন্ড পোষ্ট করেছে কোন মিমস, আপনি দেখে হাসলেন, তারপর স্ক্রল করে নিচে নামতেই দেখতে পেলেন, আর এক ফ্রেন্ড পোষ্ট করেছে, বাজারে সব কিছুর আগুন দাম। দেখেই আপনার রাগ হল, ঠিক তার নিচেই আর এক ফ্রেন্ড পোষ্ট করেছে কোন নায়িকা/নায়কের আবেদনময় ছবি। দেখার সঙ্গে সঙ্গে মনে মনে রোম্যান্টিক হলেন। ঠিক তার নিচেই দেখলেন আপনার কোন বন্ধুর বাবা মারা গেছে। এখন আপনার ভেতরে দুঃখ বোধ হল,  কিন্তু তার নিচেই দেখলেন আর এক ফ্রেন্ড হিরো আলমের কোন গান শেয়ার করেছে, দেখেই আপনি হেসে ফেললেন। এবার ভাবুন, মাত্র ৩০ সেকেন্ডে আপনি কতগুলা ইমোশনের মধ্য দিয়ে গেছেন। শোক এর অনুভূতি আপনার ব্রেনে প্রসেস হবার আগেই, আপনার ব্রেন আনন্দের অনুভূতি প্রসেস করে ফেলেছে। আবার সেই আনন্দের আয়ু কিন্তু দীর্ঘ না। 

তার পরেই আপনি যখন সাকিব আল হাসানের পারফর্মেন্স খারাপ দেখবেন, আপনি রেগে যাবেন। এই যে প্রতি নিয়ত আপনি ইমোশনাল ফ্লাকচুয়েশনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন, এর ফলে আপনার ইমোশনাল ড্যামেজ হচ্ছে। শুধু শোক না, অন্যান্য ইমোশনগুলোও তার অনুভবের তীব্রতা হারাচ্ছে। আড্ডায় বসে আপনি খুশি হলেও সেটা ক্ষণস্থায়ী হয়ে যাচ্ছে। কারও দুঃখে সামিল হতে পারছেন না। প্রেম হয়ে যাচ্ছে ফিকে। কোন কিছুর প্রতি আগ্রহ ধরে রাখা যাচ্ছে না। দিন শেষে সব কিছু শূন্য মনে হচ্ছে। হতাশ হয়ে যাচ্ছেন। আমাদের শরীরে যেমন একই সঙ্গে ঠাণ্ডা, গরম, আর্দ্রতা ইত্যাদি আবহাওয়া সহ্য করতে পারে না। কোন না কোন রোগ বাসা বাঁধে, ঠিক তেমন, ‘মন বেচারাও’ হুট-হাট অনুভূতি বদলের এই প্রেশার নিতে পারে না। ইমোশনের যত্ন না নিলে তারা একদিন মরে যায়, হারিয়ে যায়, ফুরিয়ে যায়। পড়ে থাকবে শুধুই শূন্যতা। ফেসবুক থেকে 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়