শিরোনাম
◈ ইসরায়েলে মাইক্রোসফট কার্যালয়ের কাছে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত, ধোঁয়ার বিশাল কুণ্ডলী ◈ গ্লোবাল সুপার লিগ খেল‌তে  ওয়েস্ট ইন্ডিজ যাচ্ছে রংপুর রাইডার্স ◈ অপারেশন ট্রু প্রমিজ-৩: ইরা‌নের এক রা‌তের হামলায়  তেল আবিবে অন্তত ৫০ ইহুদিবাদী নিহত ◈ ইরানে হামলার সিদ্ধান্তের আগে দুই সপ্তাহ সময় নিলেন ট্রাম্প (ভিডিও) ◈ পর্যটনে সেরা ১০ মুসলিমবান্ধব অমুসলিম দেশ ◈ ৫ সচিবকে এবার বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাল সরকার ◈ রেললাইনে বসে গল্প করছিলেন, ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেলেন তিন বন্ধু ◈ ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ পরিস্থিতি: হোয়াইট হাউজে ট্রাম্পের নিরাপত্তা বৈঠক, বড় ঘোষণা আসছে ◈ চীন সফরে যাচ্ছে বিএনপির উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল ২২ জুন ◈ দিনে বিএনপি, রাতে আ.লীগ করা নেতাদের সদস্যপদ নবায়ন নয়: আমিনুল হক

প্রকাশিত : ১৭ জানুয়ারী, ২০২৩, ০২:০৪ রাত
আপডেট : ১৭ জানুয়ারী, ২০২৩, ০২:০৪ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ব্রেকআপের পর কীভাবে নিজেকে ভালো রাখা যায়?

সৈয়দা সাজিয়া আফরিন

সৈয়দা সাজিয়া আফরিন: একটি কলেজ পড়ুয়া মেয়ে আমাকে লিখেছে, আমি যেন ব্রেকআপের পর কীভাবে নিজেকে ভালো রাখা যায় সে বিষয়ে লিখি। বিপরীতলিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ থাকা ভীষণ স্বাভাবিক ও  প্রকৃতিসিদ্ধ ব্যাপার। প্রেম অথবা বিয়ে হলো একটি যৌন নির্বাচন প্রক্রিয়া। প্রাণিরাও নির্বাচন করে, নির্বাচিত হতে চায়, মানুষও চায়। পুরুষেরা যৌন নির্বাচনের ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেয় করে শারীরিক ও সামাজিক প্রয়োজন। একবার নির্বাচিত নারীকে তারা অবলীলায় বাতিল করে দেয় বা বলা যায় পুরুষ চুজি। তারা জানে বেটার আসলে গুডকে ফেলে দিতে হয়। তাই হাজারে হাজারে প্রেম প্রতারণা, এমনকি সন্তানসম্ভাবা প্রেমিকাকেও তারা ছুঁড়ে ফেলে দিতে পারে।

পুরুষ সমালোচনা আপাতত বাদ দিয়ে শেখার ব্যাপারটা ধরিয়ে দিই। সিনেমা, নাটক, প্রেমকে মৌলিক করে তুললেও প্রেম আসলে মৌলিক কিছু না। যৌন নির্বাচন প্রক্রিয়ায় যে সব পুরুষ বা নারী ভীষণ আকর্ষণীয়, অনেক মানুষের ক্রাশ, তারা অনেকে কাজের বেলায় নিতান্তই অকাজের হতে পারে। খুব কাজের হতে পারে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় পেছনে থাকা নারী-পুরুষরা। আকর্ষণীয়তা আর মোহনীয়তাই সব নয় বা যৌন নির্বাচনে এগিয়ে থাকাটাই মুখ্য না। ‘গুরুত্বপূর্ণ নয়’Ñ এই বিষয়টা মগজে সেট করে নিলে প্রেম ব্যপারটা প্রাত্যহিক জীবনের গৌণ বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। যেটি গৌণ সেটি গেলে কী হয় বা কী আসে যায়। এসবের জন্য দুঃখই বা কীসের- এই ফিলিংটা ভেতর থেকেই আসবে। 

প্রায়রিটি, কেয়ার পাওয়া এবং কিছুটা শরীরী আকর্ষণ এ ব্যাপারই তো প্রেমে  আনন্দ দেয়। তাই না? অথচ এই আনন্দ অনুভূতি আরও নানা কাজ দিতে পারে। প্রেম ছাড়া আরও হাজার গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকে প্রেমকে বেশি প্রায়োরিটি দিয়ে যা নারীরা হারিয়ে ফেলে। পুরুষ পাঁচটা প্রেম করলেও নিজের পরিবার, বন্ধু, কাজ আড্ডা কিছুই হারায় না হারাতে দেয় না। সেটা কীভাবে করে তারা? কারণ তারা প্রেম করে কিন্তু প্রেমকে গুরুত্বপূর্ণ করে তোলে না।

কখনও সখনও পুরুষ প্রেমিকার জন্য মজনু হয়ে জীবনও দিয়ে দিতে চায়। এমন প্রেম পেলেই নারী নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করে ও পুরুষটিকে পেয়ে ধন্যবোধ করে এবং অন্য কোন নির্বাচন না করে তাইরে নাইরে করতে করতে পুরুষটিকে ধরা দেয় নারী। এটা ভুল। একটি চালাক ও সুবিধাভোগী প্রাণি তোমার জন্য কেন জান দিতে চায়? কারণ তার নির্বাচন এলাকায় তুমিই শ্রেষ্ঠ। যদি দেখে অন্য কেউ আরও শ্রেষ্ঠ তবে পুরুষ নিমিষে ছেড়ে সেখানেই যাবে। পুরুষ নিজের সবকিছু বাজি রেখে শ্রেষ্ঠকে পেতে চায়। অথচ নারীটি শুধু প্রেম চায় শ্রেষ্ঠকে চায় না। এই বোকামির দরকার আছে কী?

পুঁজির পৃথিবীতে শ্রমের কম হলেও মূল্য আছে। কিছু না নিজেকে একজন নগণ্য শ্রমিক ভাবলেও তোমার মূল্য ফেলনা নয়। এই যে ফেলনা নও সেটা মগজে বসাও। নিজের শ্রমকে দামী করে তোল শিক্ষা ও নানা দক্ষতায়। আকর্ষণ ও সম্পর্ক হয়ে যাওয়া এগুলো জৈবিক। সেগুলো আসার সময়ে  আসুক গেলে যাক। একে পেশার মতো নৈমিত্তিক, জীবনের মতো গুরুত্বপূর্ণ করে নিও না।

সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ কী? ১. ছাত্র হলে পড়াশোনা, পেশাজীবী হলে কাজ সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ২. নিজের বৃত্তের সম্পর্ককে গুরুত্ব দেওয়া সময় দেওয়া এবং তাদের জন্য উপকারী হওয়ার চেষ্টা করা। মানে নিজের পরিবার আত্মীয়, বন্ধু ও নিজের সমাজ। অন্যের জন্য ইউজফুল হতে জানা। ৩. ছোট ছোট সামাজিক ও দাতব্য কাজে অংশ নেওয়া। এমন কাজ ভীষণ আনন্দ দেয়। কেউ ছাত্রদের সাহায্য করে, কেউ শীতবস্ত্র দেয়, কেউ ফ্রিতে পড়ায়, কেউ রক্তদান করে। কিছু একটা করো। ৪. একটা কিছু হবি থাকা। ছবি আঁকা, গান করা, নাচ করা এমনকি টিকটকে নাচাও। নিজের মনোরঞ্জন নিজেই করো। ৫. পাঁচ নম্বরে এসে প্রেমকে রাখতেও পারো নাও রাখতে পারো। না রাখলেই ভালো। যদি রাখো সেখানে এমন কিছু ইনভেস্ট করে ফেলোনা যা তোমাকে পরে লুজার ফিল করাবে। অমনিতেই কমিটেড ফিল করিও না, করাইও না। হয়ত তোমার প্রাপ্য এর থেকে ভালো কিছু। 

এই বয়সের মেয়েদের প্রেম বিষয়ক চ্যলেঞ্জ নেওয়ার প্রবণতা দেখেছি। ওকে ভালো করার চ্যলেঞ্জ, ওর জন্য সব করতে পারার চ্যালেঞ্জ, ন্যুড দেওয়ার চ্যলেঞ্জ। কেউ চ্যলেঞ্জ ছুড়লেই তা নিতে হয় না। যেমন ধরো কেউ  চ্যলেঞ্জ ছুঁড়ে বললো, ‘আমি জানি তুমি গু খেতে পারবে না’Ñ এটা শুনেই কি তুমি চ্যালেঞ্জ এক্সেপ্ট করে গু খেয়ে দেখাবে? দেখাবে না তো! প্রেমের ব্যাপারটাও তাই। ফেসবুক থেকে 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়