শিরোনাম
◈ মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে চার সংগঠনকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ঘোষণা করল যুক্তরাষ্ট্র! ◈ সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বাংলাদেশকে জাতিসংঘের চিঠি ◈ ডাকসুতে ভোট কারচুপির অভিযোগে সিসিটিভি যাচাই, উঠে এলো যে তথ্য ◈ সিলেট ইবনে সিনা হাসপাতালে হামলা-ভাঙচুর ◈ আমি যে কাজ করেছি তা দেশের ইতিহাসে কোনোদিন হয়নি : আসিফ নজরুল ◈ চট্টগ্রামে মার্কিন বিমান ও সেনা উপস্থিতি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা, আসলে কী ঘটছে ◈ আফগা‌নিস্তা‌নের স‌ঙ্গে চাপের মুহুর্তে নাসুম ও মুস্তাফিজের বোলিং দেখে অবাক পা‌কিস্তা‌নের রমিজ রাজা  ◈ আফগানিস্তানকে হারা‌নোর ফ‌লে আইসিসি টি-‌টো‌য়ে‌ন্টি র‌্যাং‌কিং‌য়ে বাংলাদেশের উন্ন‌তি ◈ দুবাইয়ে বিমানের যান্ত্রিক ত্রুটি, আটকা ১৭৮ যাত্রী ◈ প্রধান উপদেষ্টার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিউইয়র্ক পুলিশ প্রস্তুত

প্রকাশিত : ০২ অক্টোবর, ২০২২, ০২:২০ রাত
আপডেট : ০২ অক্টোবর, ২০২২, ০২:২০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাঙালি হিন্দুৎসবে শারদীয় শুভেচ্ছা!

মাসুদ রানা

মাসুদ রানা: শরৎ এলেই সাথে আসে নীলাকাশ, বাতাসে মৃদু শীত, আর ভোরের ঘাষে দ্যুতিময় শিশির। শরতের রাত ভরা পূর্ণিমায় হয়ে ওঠে স্বপ্নিল নয়নাভিরাম! শরৎ এলে আসে শারদীয় বাঙালী হিন্দূৎসব – দূর্গাপুজো – একটি বিশেষ তাল ও লয়ের ঢাক বাজিয়ে, বাঙালী হিন্দুর মনে আনন্দ-আলো জ্বালিয়ে ও তার প্রতিবেশী অহিন্দুর মনে আনন্দের আভা ছড়িয়ে।

আজ সকালে আমার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-জীবনের এক বন্ধু কাছ থেকে নিমন্ত্রণ পেলাম দুর্গোৎসবের। ভালোই লাগলো আমার। কারণ, পয়লা বৈশাখকে ধর্মনিরপেক্ষ রাখার পক্ষে আমার পৌস্ট পড়ে ক্ষেপে যাওয়া আমার বন্ধুটি সম্ভবতঃ তার ভুল বুঝতে পেরেছে। বন্ধুর শারদীয় নিমন্ত্রণ পেয়ে আমার মনে পড়ে গেলো আমার শৈশবের শহর হবিগঞ্জ, যেখানে হিন্দু-মুসলিম ঐক্যতানের সাথে-সাথে একটি ক্ষুদ্র খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ও শান্তিতে বাস করতো, আর ক্রিসমাসের অস্তিত্ব অনুভূত না হলেও ঈদ ও পুজোর আনন্দ যেনো বাতাসে ভাসতো।

আমার স্কুল-জীবনে হবিগঞ্জে, কলিজ-ইউনিভার্সিটি ঢাকাতে, আর পৌস্ট-গ্র্যাড লণ্ডনে। এই-তিনের মধ্যে সম্ভবতঃ আমার সবচেয়ে মধুর হচ্ছে কলিজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথমদিককার ছুটিতে হবিগঞ্জে ছুটে যাওয়া স্মৃতি। রমজানের এক-মাস দীর্ঘ আড্ডা এবং ঈদের চানরাত ও পরদিন আর দূর্গাপুজোর সপ্তমী থেকে দশমীর রাত পর্যন্ত হাই-ভল্যিউমে আমাদের গুলবাগের তিন-নাম্বারে দল বেঁধে গান শোনার স্মৃতি ভোলার নয়।

আমি জানি না এখন কেমন আছে আমার সেই শহর এবং কীভাবে নতুন প্রজন্মের শহরবাসী কীভাবে উৎযাপন করে তাদের উৎসবাদি – সম্প্রীতিতে নাকি অসম্প্রীতিতে। আমি ধার্মিক নই, ধর্মনিরপেক্ষ। ধর্মের প্রতি আমার পালনের আগ্রহ না থাকলেও এর দর্শন ও ইতিহাসের প্রতি আছে আন্তরিক আগ্রহ। আমি ধর্মের দীক্ষা না নিলেও শিক্ষা নিয়েছি প্রায় সকল ধর্ম সম্পর্কেই। ধর্ম প্রবর্তকদের প্রতি আমার দারুণ শ্রদ্ধা। আমি সম্মান করি ধর্মপালনকারীদের, যদি না তারা অন্যের ওপর তা আরোপ না-করার চেষ্টা করেন।

ধর্মানুসারীরা যখন  উৎসবে মাতেন ও আনন্দে হাসেন, আমার কাছে দারুণ লাগে। আমি তাদের আনন্দ সহভাগ করতে চাই, যদিও তার উপসনায় আমি যোগ দিই না আমার দার্শনিক উপলব্ধির কারণে। কিন্তু তাদের উপসনা নিয়ে আমি ব্যঙ্গ-বিদ্রূপও করি না – আমি সম্মান করি। যেভাবে আমি ঈদে কিংবা ক্রিসমাসে শুভেচ্ছা জানাই এদের পালনকারীদের, তেমনিভাবে আমি শারদীয় শুভেচ্ছা জানাই দূর্গোৎসবেঃ ভয়শূন্য ও আনন্দময় হোক শারদীয় দূর্গোৎসব। বাংলায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পূর্ণ উপলব্ধি ও প্রতিষ্ঠা হোক! একের আনন্দে অপর আনন্দিত হওয়ার বাঙালী সংস্কৃতি বিকশিত  হোক। লণ্ডন, ইংল্যাণ্ড

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়