শিরোনাম
◈ কতটুকু সংস্কার ও স্বাধীন হলো বাংলাদেশের বিচারালয়? ◈ জাতীয় দলে সাকিবের ফেরা নিয়ে যা বললেন মির্জা ফখরুল (ভিডিও) ◈ তিস্তার পানি বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই, বন্যার শঙ্কা – ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে ◈ ভোটাভুটি নয়, সর্বসম্মতিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান গঠনের পক্ষে জামায়াত ◈ মেজর জিয়া চট্টগ্রাম থেকেই স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন: নাহিদ ইসলাম (ভিডিও) ◈ ড. ইউনূসের মালয়েশিয়া সফর ঘিরে চুক্তি ও সমঝোতার প্রস্তুতি, বাড়বে বাণিজ্যিক সম্ভাবনা ◈ পাকিস্তানকে ৭ উই‌কে‌টে হা‌রি‌য়ে সিরিজ শুরু বাংলাদেশের ◈ দুদকের নতুন সচিব খালেদ রহীমের যোগদান ◈ চট্টগ্রামে বাসে আগুন দিল দুর্বৃত্তরা ◈ গৌরনদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অযত্ন-অবহেলায় স্বাস্থ্যসেবা মুখ থুবড়ে পড়েছে চিকিৎসক নেই, সেবা নেই, ভোগান্তি চরমে

প্রকাশিত : ১৯ জুলাই, ২০২৫, ০৮:১৭ রাত
আপডেট : ২১ জুলাই, ২০২৫, ০৫:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অনেকেই এখনো ভাঙার কাজে ব্যস্ত, কিন্তু গড়ার কাজে কাউকে পাওয়া যায় না: মাহফুজ আলম

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আরও বলেন, ‘আবার সময় আসবে যখন, তখন ভাঙা যাবে। কিন্তু, এক্ষণে গড়ার কাজে আমাদের মনোনিবেশ করা উচিত।’

দেশের বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, অনেকেই এখনো ভাঙার কাজে ব্যস্ত। কিন্তু গড়ার কাজে কাউকে পাওয়া যায় না।  অথচ পুরোনো বন্দোবস্ত মচকে গেছে। এখন আর এটাকে ভাঙা যাবে না বরং ভাঙতে গেলে আরও বেঁকে যাবে, বেঁকে যাচ্ছে। 

শনিবার সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।  মাহফুজের পোস্টটি পাঠকদের জন্য হুবহু দেওয়া হলো-

‘সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও বিচারে সহযোগিতা করুন। কিন্তু, নাগরিক হিসাবে সবাই মানবাধিকারের পক্ষে থাকুন। কোনো এলাকাকে ‘ঘেটো’ Ghetto বানানোর চেষ্টা করবেন না। এছাড়া, গোপালগঞ্জের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ নিম্নবর্গের হিন্দু। তারা লীগের আমলে নিপীড়িত ও বঞ্চিত হয়েছেন। আমাদের উচিত, বাংলাদেশজুড়ে লীগের হাতে নিপীড়িত ও বঞ্চিতদের সঙ্গে মৈত্রী করা। 

হাসিনার পরাজয় রাজনৈতিক না কেবল, নৈতিক ও বটে। নৈতিক পরাজয়ের পর তার রাজনৈতিক পরাজয় ঘটেছিল। ফলে, আমরা হাসিনার বিরুদ্ধে গিয়ে নৈতিক উচ্চতা হারাতে পারি না। গণঅভ্যুত্থানের পর নতুন বাংলাদেশে আমরা মানবিক মর্যাদা, বৈষম্যহীনতা আর সুবিচারের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, তা পূরণ করা আমাদের কর্তব্য। 

অনেকেই এখনো ভাঙার কাজে ব্যস্ত। কিন্তু গড়ার কাজে কাউকে পাওয়া যায় না। অথচ, পুরোনো বন্দোবস্ত মচকে গেছে। এখন আর এটাকে ভাঙা যাবে না বরং ভাঙতে গেলে আরও বেঁকে যাবে, বেঁকে যাচ্ছে। আবার সময় আসবে যখন, তখন ভাঙা যাবে। কিন্তু, এক্ষণে গড়ার কাজে আমাদের মনোনিবেশ করা উচিত।

গণঅভ্যুত্থানের পর আমাদের অপ্রস্তুতি ছিল, বিহ্বলতা আর অনভিজ্ঞতা মিলে আমরা ফ্যাসিবাদী বন্দোবস্তের পূর্ণাঙ্গ বিলোপ ঘটাতে পারিনি। কিন্তু এ সুযোগে রাজনৈতিক জনগোষ্ঠী আকারে নিজেদের হাজির করা ও জবাবদিহিমূলক গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার কাজটা করতে পারলে আমরা ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার পূর্ণাঙ্গ বিলোপের পথে হাঁটতে পারব।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়