নিজস্ব প্রতিবেদক : কদিন আগে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ যে পারফরমেন্স দেখিয়েছিলো, সেটাই যেনো ধরে রাখলো পাকিস্তানের বিরুদ্ধে, যে কারণে অনায়াস জয় পায় টাইগাররা, এদিন পাকিস্তানকে অল্পতে আটকে রেখে অর্ধেক কাজটা করে দিয়েছিলেন বোলাররাই। রান তাড়ায় শুরুটা ভালো না হলেও পারভেজ হোসেন ইমনের ফিফটিতে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৭ উইকেটের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
রোববার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমানের বোলিং নৈপুণ্যে ১১০ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তান। জবাবে ২৭ বল হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছায় স্বাগতিকরা।
ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটিতে ৩৯ বলে ৫ ছক্কা ও ৩ চারে ৫৬ রানে অপরাজিত থাকেন ম্যাচসেরা ইমন। বাঁহাতি এই ওপেনারের আগের ফিফটিও ছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে।
রান তাড়ায় শুরুটা একদমই ভালো হয়নি স্বাগতিকদের। অভিষিক্ত সালমান মির্জার প্রথম দুই ওভারে সাজঘরের পথ দেখেন তানজিদ হাসান তামিম (১) ও লিটন দাস (১)। তাওহিদ হৃদয়কে নিয়ে ৭ রানে ২ উইকেট হারানো দলের হাল ধরেন ইমন। পাল্টা-আক্রমণে দ্রুত রান তোলায় মনোযোগ দেন তিনি। অপর প্রান্তে উইকেট ধরে রেখে রানের চাকা সচল রাখেন হৃদয়।
তবে এক্ষেত্রে অবদান আছে পাকিস্তান ফিল্ডারদেরও। ব্যক্তিগত ১২ রানে থার্ডম্যানে এবং ৩০ রানে উইকেটকিপারের কাছে জীবন পান হৃদয়। তবে ম্যাচ শেষ করে আসতে পারেননি তিনি। ৩৬ রান করে ডানহাতি এই ব্যাটার আব্বাস আফ্রিদির বলে বোল্ড হলে ভাঙে ৭৩ রানের জুটি।
সঙ্গীর বিদায়ের পর ৩৪ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন ইমন। মির্জার বলে চার মেরে দল জিতিয়ে ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন জাকের আলী।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা পাকিস্তানের ইনিংসের চতুর্থ বলেই ফখরকে সাজঘরে ফেরানোর সুযোগ পায় বাংলাদেশ। কিন্তু বাঁহাতি এই ব্যাটারের সহজ ক্যাচ তালুবন্দী করতে ব্যর্থ হন তাসকিন। তবে পরের ওভারেই সাইম আইয়ুবকে (৬) তুলে নিয়ে ১৮ রানের উদ্বোধনী জুটি থামান তিনি।
পরের ওভারে মোহাম্মদ হারিসকে (৪) সাজঘরের পথ দেখান শেখ মাহেদী হাসান। এক ওভার পর অধিনায়ক সালমান আলী আগাকে (৩) ফেরান তানজিম হাসান সাকিব। পরের ওভারে হাসান নাওয়াজকে তুলে নেন মুস্তাফিজ।
পাওয়ারপ্লেতে ৪১ রানে পাকিস্তানের ৪ উইকেট তুলে নেওয়ার পর তাদেরকে আরও চেপে ধরেন বোলাররা। অষ্টম ওভারে ফখরের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউট হন মোহাম্মদ নাওয়াজ (৩)। এরপর রানআউটে কাটা পড়েন ইনিংস সর্বোচ্চ ৪৪ রান করা ফখরও।
সপ্তম উইকেটে খুশদিল শাহ ও আব্বাসের জুটিতে একশ পার করে সফরকারীরা। খুশদিলকে (১৭) ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন মুস্তাফিজ। তাসকিনের করা শেষ ওভারে কোনো রান যোগ করা ছাড়াই শেষ তিন উইকেট হারায় পাকিস্তান।
তাসকিনের শিকার ৩ উইকেট। ৪ ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়ে মুস্তাফিজ নেন ২ উইকেট। মঙ্গলবার একই ভেন্যুতে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হবে।