শিরোনাম
◈ কতটুকু সংস্কার ও স্বাধীন হলো বাংলাদেশের বিচারালয়? ◈ জাতীয় দলে সাকিবের ফেরা নিয়ে যা বললেন মির্জা ফখরুল (ভিডিও) ◈ তিস্তার পানি বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই, বন্যার শঙ্কা – ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে ◈ ভোটাভুটি নয়, সর্বসম্মতিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান গঠনের পক্ষে জামায়াত ◈ মেজর জিয়া চট্টগ্রাম থেকেই স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন: নাহিদ ইসলাম (ভিডিও) ◈ ড. ইউনূসের মালয়েশিয়া সফর ঘিরে চুক্তি ও সমঝোতার প্রস্তুতি, বাড়বে বাণিজ্যিক সম্ভাবনা ◈ পাকিস্তানকে ৭ উই‌কে‌টে হা‌রি‌য়ে সিরিজ শুরু বাংলাদেশের ◈ দুদকের নতুন সচিব খালেদ রহীমের যোগদান ◈ চট্টগ্রামে বাসে আগুন দিল দুর্বৃত্তরা ◈ গৌরনদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অযত্ন-অবহেলায় স্বাস্থ্যসেবা মুখ থুবড়ে পড়েছে চিকিৎসক নেই, সেবা নেই, ভোগান্তি চরমে

প্রকাশিত : ২১ জুলাই, ২০২৫, ০২:৪৩ রাত
আপডেট : ২১ জুলাই, ২০২৫, ০৬:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কতটুকু সংস্কার ও স্বাধীন হলো বাংলাদেশের বিচারালয়?

ডয়চে ভেলের প্রতিবেদন।। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রমের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বিচারব্যবস্থা সংস্কার। কিন্তু এ লক্ষ্য কতদূর পূরণ হচ্ছে, তা নিয়ে রয়েছে শঙ্কা।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের পর বিভিন্ন মামলার আসামি আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী, এমপি ও নেতাদের ওপর  আদালত এলাকায় পুলিশের উপস্থিতিতেই হামলা হয়েছে। তাদের পক্ষে দাঁড়ানো আইনজীবীদের ওপরও হামলার ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ রয়েছে, অনেক আইনজীবীকে আসামির পক্ষে কাজ করতে না দেয়ারও।

এছাড়া, বিচারকদের হুমকি এমনকি হাইকার্টের বিচারককে এজলাসে ডিম নিক্ষেপের ঘটনাও ঘটেছে।  অনেক আসামিকে হাত পিছনে বেঁধে আদালতে হাজিরের ঘটনায় সমালোচনার তৈরি হয়েছে।

আদালত প্রাঙ্গণেই 'নিজের হাতে আইন'
হামলার ঘটনা কিছুটা কমলেও এখনও পুরোপিরি থামেনি। ২২ মে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য কন্ঠশিল্পী মমতাজের ওপর মানিকগঞ্জ আদালত এলাকায় হামলা হয়। আদালত এলাকায় তার ওপর জুতা ও ডিম নিক্ষেপ করা হয়।

এর আগে ২০ আগস্ট ঢাকার আদালতে হাজির করা হলে সাবেক মন্ত্রী ড. দীপুমনি ও সাবেক উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়ের ওপর হামলা হয়। তাদের আদালতে তুলে রিমান্ড মঞ্জুরের পর কারাগারে নেয়ার পথে আদালত এলাকাতেই তাদের ওপর একদল আইনজীবী হামলা করেন।

৭১ টিভির সাংবাদিক দম্পতি শাকিল আহমেদ ও ফারাজানা রূপাকে  ২২ আগস্ট আদালতে হাজির করার সময় ফারজানা রূপাকে পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যেই ঘুসি মারা হয়৷ তার স্বামী শাকিল আহমেদ সেসময় চিৎকার করে এই ঘটনার বিচার চান৷

৭ অক্টোবর ঢাকার আদালত এলাকায় হেনস্তার শিকার হন সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। তাকে ডিমও ছোড়া হয়।

২৮ এপ্রিল  সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে নারায়ণগঞ্জের একটি  আদালতে হাজির করা হলে তাকে এজলাসের বাইরে পুলিশের সামনেই কিলঘুসি মারা হয়।

এর আগে আনিসুল হক ও সালমান এফ রহমানকে জুতা ও ডিম নিক্ষেপ করা হয় ঢাকার আদালত এলাকায় ১৪ আগস্ট।

২৪ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের ওপর হামলা হয় সিলেটের আদালত এলাকায়। তাকে কিল ঘুসি দেয়া হয়।

দেশের নানা জায়গাতেই এমন আরো নানা ঘটনা ঘটেছে। তবে আসামি ও আইনজীবীদের ওপর হামলার ঘটনায় কারো বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানা যায়নি। বরং হামলার বিভিন্ন ফুটেজে দেখা গেছে, এসব হামলার নানা ঘটনায় অনেক আইনজীবীও জড়িত রয়েছেন। উলটো আসামির পক্ষের আইনজীবীর বিরুদ্ধেই মামলা দায়েরের ঘটনাও ঘটেছে।

আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী , এমপি ও নেতাদের পক্ষে শুরুর দিকে কোনো আইনজীবী পাওয়া যেত না। পরে যারা আইনজীবী হিসাবে কাজ শুরু করেন তারাও হেনস্তা ও হুমকির শিকার হন। তাদের একজন মোরশেদ হোসেন শাহীন। সাবেক এমপি ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনের পক্ষে আদালতে শুনানির পর মিডিয়ায় ব্রিফ করার সময়ই মারধরের শিকার হন তিনি।

ডয়চে ভেলেকে মোরশেদ হোসেন শাহীন বলেন, "আমি  হামলার শিকার হয়েছি। আমার চেম্বার ভাঙচুর করা হয়েছে। কিন্তু কোনো প্রতিকার পাইনি। আমাকে শেষ পর্যন্ত হত্যাচেষ্টা মামলার আসামিও করা হয়, যদিও আমি জামিন পেয়েছি।”

২০২৪ সালের ২৬ নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় আটক হওয়া হিন্দু নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ-পরবর্তী সহিংসতায় চট্টগ্রামের আদালতে হাইকোর্টের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ নিহত হন। এই ঘটনায় অবশ্য দ্রুতই বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। চিন্ময় কৃষ্ণ দাসও আট মাস ধরে জামিন পাচ্ছেন না।

বিচার কার্যক্রমে আসামি পক্ষকে অসহযোগিতার অভিযোগ
আদালত প্রাঙ্গনে আসামিদের ওপর হামলার ঘটনা কিছুটা কমলেও, বন্ধ হয়নি বলে জানান মোরশেদ হোসেন শাহীন। এখন মামলার ক্ষেত্রে নানা অসহযোগিতার মুখে পড়ার কথা ডিডাব্লিউকে জানিয়েছেন তিনি।

শাহীনের অভিযোগ, "এখন আরো যেটা হচ্ছে তা হলো মামলায় অসহযোগিতা। কাগজপত্র ঠিক মতো দেয়া হয় না। শুনানির তারিখ পাওয়া যায় না। পদে পদে বাধা। সব মিলিয়ে স্বাধীন বিচার, ন্যায় বিচার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। আদালত এলাকার নিরাপত্তা বাদী, আসামি, সাক্ষী সবার নিরাপত্তা বিধান রাষ্ট্রের দায়িত্ব। সেটা তো হচ্ছে না।”

সাবেক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকের আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখি বলেন, "এখানে যারা  আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী , এমপি বা নেতাদের আইনজীবী, তারা সব সময় ভয়ের মধ্যে থাকি। মবের আশঙ্কা থাকে। শুরুতে আইনজীবীই পাওয়া যেত না। এখন আমরাসহ কয়েকজন আইনজীবী মামলাগুলো পরিচালনা করছি।”

বিচার চলাকালীনও নানা ধরনের বিরূপ পরিবেশ তৈরি করে বাধাগ্রস্ত করা হয় বলে অভিযোগ এই আইনজীবীর। "আদালতে আমরা যখন কথা বলি, তখন কথা বলতে দেয়া হয় না। হইচই করা হয়। ঠিকমত কাগজপত্র দেয়া হয় না, তারিখ দেয়া হয় না। আমি নিরাপত্তা ও ন্যায় বিচার নিয়ে সন্দিহান,” বলেন রাখি।

আইনজীবীদের 'পক্ষ-বিপক্ষ' ও 'মবের ভয়'
কেবল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধেই মামলা হয়নি। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে হত্যাচেষ্টা ও ভাঙচুরের মামলায় ৭২ জন আইনজীবীকেও আদালতে আত্মসমর্পণের পর কারাগারে পাঠানো হয় ৬ এপ্রিল। তাদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের শাসনামলে নানা কার্যক্রমের বৈধতা দেয়ার অভিযোগ করেছেন আন্দোলনের নেতারা।

চট্টগ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর পক্ষে জামিন চাইতে আদালতে দাঁড়াতে পারেননি স্থানীয় কোনো আইনজীবী। গত ১১ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে আইনজীবীরা গিয়েও শুনানি করতে পারেননি। পরে ২ জানুয়ারি তারা শুনানিতে অংশ নিতে পারলেও জামিন দেয়া হয়নি। ওইদিনও স্থানীয় কোনো আইনজীবী আদালতে থাকতে পারেন নি।

চিন্ময় দাসের আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য ডয়চে ভেলেকে জানান, "আমরা এখন তার জন্য চট্টগ্রামের  আদালতে যাই। কিন্তু স্থানীয় কোনো আইনজীবী ভয়ে তার পক্ষে কাজ করতে পারছেন না। এটা মবের ভয়। এই ভয় শুধু চট্টগ্রামে নয়, সারাদেশে। আইনজীবী, বিচারক, আসামি সবাই ভয়ের মধ্যে আছে এখানো। বিচার অঙ্গনে এখন নিরাপত্তার ব্যাপক অভাব।”

হামলা-হেনস্তা, বদলি-ছাঁটাই, কতটা স্বাধীন বিচারবিভাগ!
১৭ মে  ঢাকার একটি আদালতে হত্যাচেষ্টা ও চাঁদাবাজির একটি মামলার আসামিকে জামিন না দেয়ায় একজন বিচারককে হেনস্তা করেন কয়েকজন আইনজীবী। ওই ঘটনায় তখন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের চার আইনজীবীকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেয়া হয় হয়।

শরিয়তপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারককে বিচারকাজে বাধা ও হুমকি দেয়া হয় ৬ জানুয়ারি। পরে এই ঘটনায় যুবদল নেতা সোলয়মান খানকে আটক করা হয়।

গত বছরের ২৭ নভেম্বর এজলাস কক্ষে হাইকোর্টের বিচারপতি আশরাফুল কামালের দিকে ডিম ছুড়ে মারেন কিছু আইনজীবী।

এদিকে, আইনজীবীর সঙ্গে 'অসৌজন্যমূলক আচরণের' অভিযোগে খোদ বিচারককেই বেঞ্চ থেকে সরিয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। গত ১৫ অক্টোবর বিচারপতি মো. আতাউর রহমানকে তার বেঞ্চ থেকে সরিয়ে দেন প্রধান বিচারপতি। এ বিষয়ে বাংলাদেশের গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, শুরুতে এক আইনজীবীই কোর্টের বেঞ্চ অফিসার এবং বিচারপতিকে উদ্দেশ্য করে 'ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজ, ঘুষ ছাড়া এ কোর্টে মামলার শুনানি হয় না' বলে বিচারককে আক্রমণ করেছিলেন।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আন্দোলনকারীরা ১০ আগস্ট সুপ্রিম কোর্ট ঘেরাও করে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের পদত্যাগ চাইলে তিনি পদত্যাগে বাধ্য হন। এরপর আরো ১২ জন বিচারতির বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নেয়া হয়। এরই মধ্যে আবার নতুন ২৩ জন বিচারক নিয়োগ দেয়া হয়। ১১ জুলাই অধ:স্তন আদালতের ১৮ জন বিচারককে বাধ্যতামূলক অবসর দেয়া হয়।

হাইকোর্টের বিচারকদের নিয়োগে নতুন পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। পুনরুজ্জীবিত করা হয়েছে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল। পরীক্ষার মাধ্যমে হাইকার্টের অস্থায়ী বিচারপতি নিয়োগের নিয়ম চালু হয়েছে। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর এরইমধ্যে ১৮ জুলাই প্রথম দফা ভাইভা নেয়া হয়েছে।

সাবেক জেলা ও দায়রা জজ ড. শাহজাহান সাজু বলেন, "ন্যায় বিচারের জন্য আদালত ও আদালত অঙ্গনের নিরাপত্তা সবার আগে নিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু আমরা দেখছি সেটা হচ্ছে না। আদালত এলাকায়ও মব। তবে আমি আশা করি এটা ধীরে ধীরে কমে যাবে।”

তার কথা, "স্বাধীন বিচারব্যবস্থার জন্য আদালতের নিরাপত্তা সবার আগে দরকার। আর এই নিরাপত্তা হলো বিচার সংশ্লিষ্ট সবার। বাদী, বিবাদী, আইনজীবী, বিচারক সবার নিরাপত্তা দরকার। সেখানে তো ঘাটতি আছে। আর পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তো নৈতিক মনোবল নাই।”

"আর আদালতের নিরাপত্তা, স্বাধীনভাবে কাজ করা নিশ্চিতের জন্য দেশে পর্যাপ্ত আইন আছে, কিন্তু প্রয়োগ নাই। সরকার এগুলো ঠিকমতো প্রয়োগ করলেই আদালত এলাকার নিরাপত্তা ফিরে আসবে,” বলেন তিনি।

সাবেক বিচারক ও সুপ্রিম কোর্টের সাবেক রেজিষ্ট্রার ইকতেদার  আহমেদ বলেন, "বিচার অঙ্গনে নিরাপত্তাহীনতা কাটেনি।  রাষ্ট্রের দায়িত্ব বিচারক থেকে শুরু করে আইনজীবী, সাক্ষী, আসামি সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।”

এই পরিস্থিতিতে গত ৩০ জুন সুপ্রিম কোর্টসহ দেশের সব আদালত চত্বরে নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিশেষ বাহিনী গঠনে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের বেঞ্চ এর জারি করা রুলে বিচার বিভাগের অধীন কোর্ট সিকিউরিটি (সিএফ) নামে বিশেষায়িত নিরাপত্তা বাহিনী গঠন করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

এনিয়ে গত ১২ ফেব্রুয়ারি আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া নামে নরসিংদীর এক বাসিন্দা হাইকোর্টে রিট করেন। রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। ওই রিটের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট রুল জারি করেন।

রিট করার কারণ জানতে চাইলে আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া ডয়চে ভেলেকে বলেন, "আদালত এলাকা নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছে। এখানে হামলাসহ হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনা ঘটেছে। চট্টগ্রামে আদালত এলকায় আইনজীবী আলিফ হত্যাকাণ্ড, বিচারককে ডিম নিক্ষেপ, আদালতের মধ্যে মারামারি, আদালত এলাকায় আসামি, আইনজীবীর ওপর হামলা-সব মিলিয়ে আদালতের নিরাপত্তা হুমকির মুখে। তাই আমি আদালতের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ বাহিনী চাই।”

"আদালতে এখন নিরাপত্তার জন্য যে পুলিশ বা অন্য সংস্থার লোক থাকে তারা নির্বাহী বিভাগের। তারা আদালতের কথা শোনে না, আবার আদালতে যা হয় সেই তথ্য তারা প্রশাসনের কাছে পাচার করে দেয়। তাই  আদালতের জন্য আদালতের অধীনে আলাদা বাহিনী প্রয়োজন,” বলেন তিনি।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়