আগামী ৭ জুলাই চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালনার হাত বদল হচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেসসচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার। তিনি বলেছেন, আগামী ছয় মাস এই বন্দর ব্যবস্থাপনায় থাকবে ড্রাইডক। একই সঙ্গে তিনি জানান, পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনালের চার্জ ‘কয়েক শ গুণ’ বেড়ে যাওয়ার যে দাবি করা হয়েছে, সেটি মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর।
শনিবার দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানান তিনি।
পোস্টে তিনি লিখেছেন, চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনায় ঐতিহাসিক পরিবর্তন আসছে ৭ জুলাই। এ দিন সাইফ পাওয়ারটেকের হাত থেকে ছয় মাসের জন্য বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব বুঝে নেবে বাংলাদেশ নৌবাহিনী পরিচালিত ড্রাইডক লিমিটেড। চট্টগ্রামের নিউমুরিংয়ে কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণের পর থেকেই এর ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে আছে সাইফ পাওয়ারটেক।
তিনি আরো লেখেন, অভিযোগ আছে, বন্দর ব্যবস্থাপনার নামে তারা এখানে বহুপাক্ষিক এক ম্যানেজতন্ত্র কায়েম করেছিল, যা দুর্নীতির বিস্তার ঘটিয়েছে, কন্টেইনার জট তৈরি করেছে, দেশকে প্রাপ্য রাজস্ব থেকে বঞ্চিত করেছে এবং দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের বিস্তারে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে।
আগামীকাল তাদের সঙ্গে চুক্তি শেষ হচ্ছে, যা অন্তর্বতীকালীন সরকার নবায়ন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রাথমিকভাবে ছয় মাসের জন্য বন্দর ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পাচ্ছে ড্রাইডক। সব স্বাভাবিক থাকলে বন্দর ব্যবস্থাপনা দায়িত্বে পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক অপারেটরদের সংযুক্ত করা হবে।
উপ-প্রেস সচিব লেখেন, বন্দর ব্যবস্থপনায় বিদেশি অপারেটরদের সম্পৃক্ত করার উদ্যোগের বিপক্ষে অপপ্রচার চলছে অনেক দিন ধরেই।
যদিও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারই এ ধরনের উদ্যোগ প্রথম নেয়নি। সৌদি আরব ভিত্তিক রেড সি গেটওয়ে নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনালের পাশেই পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে আছে ৬ এপ্রিল ২০২৪ থেকে। গতকাল বিজেএমই’র এক পরিচালক একটি টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাতকারে দাবি করেছেন—পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল সৌদি কম্পানির হাতে যাওয়ায় বিভিন্ন চার্জ ‘কয়েকশ গুণ’ বেড়ে গেছে।
আবুল কালাম আজাদ মজুমদার পোস্টে আরো লিখেন, আমরা বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে জেনেছি এই দাবি মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর। কথা বলেছি বিজেএমইর সঙ্গেও।
‘কয়েকশ গুণ’ চার্জ বেড়ে যাওয়ার কোনো তথ্য তারা দিতে পারেনি। চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার ব্যবস্থাপনায় গতি আসলে এর সবচাইতে বড় বেনিফিসিয়ারি হবে বিজেএমইর সদস্যরা। আমরা আশা করব, নিজেদের স্বার্থেই বিভ্রান্তিকর অপপ্রচার থেকে তারা নিবৃত্ত থাকবেন।