শিরোনাম
◈ এলডিসি থেকে উত্তরণ: আরও তিন বছরের সময় চাইছে বাংলাদেশ ◈ জাপানে জনশক্তি রপ্তানি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেসব সিদ্ধান্ত নিল অন্তর্বর্তী সরকার ◈ ১৭ বিয়ের ঘটনায় মামলা, সেই বন কর্মকর্তা বরখাস্ত ◈ বিএনপি নেতাকে না পেয়ে স্ত্রীকে কু.পিয়ে হ.ত্যা ◈ বাংলা‌দেশ হারা‌লো আফগানিস্তানকে, তা‌কি‌য়ে রই‌লো শ্রীলঙ্কার দিকে  ◈ রোজার আগে নির্বাচন দিয়ে পুরোনো কাজে ফিরবেন প্রধান উপদেষ্টা ◈ ঋণের চাপে আত্মহত্যা, ঋণ করেই চল্লিশা : যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ ◈ একযোগে এনবিআরের ৫৫৫ কর্মকর্তাকে বদলি ◈ আবারও রেকর্ড গড়ল স্বর্ণের দাম, ভরিতে বেড়েছে ৩ হাজার ৬৭৫ টাকা ◈ ভারতের নেপাল নীতিতে 'রিসেট বাটন' চাপলেন মোদি, শিক্ষা বাংলাদেশের কাছ থেকে

প্রকাশিত : ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৩, ০৯:৫৩ রাত
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৩, ১২:১২ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ১৪ দলের বৈঠক, যৌক্তিক আসন-সমঝোতার আশ্বাস

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

সালেহ্ বিপ্লব: [২] গণভবনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের এই বৈঠক শুরু হয় সোমবার সন্ধ্যায়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন জোটের প্রধান শেখ হাসিনা। 

[৩] নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই শরিকেরা আসন সমঝোতার জন্য উন্মুখ হয়ে ছিলো। কিন্তু জোটের প্রধান, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক হচ্ছিল না। 

[৪] সর্বশেষ গত ১৯ জুলাই গণভবনে ১৪ দলের বৈঠক হয়। এতে জোটের প্রধান শেখ হাসিনা জানিয়েছিলেন, ১৪ দল জোটগতভাবেই নির্বাচনে অংশ নেবে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জোটগতভাবে ভোট হওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে বক্তৃতা করেন। এতে নাখোশ হন ১৪ দলের শরিকেরা। এ জন্যই শরিকেরা জোটপ্রধানের সঙ্গে বৈঠকের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। অবশেষে সোমবার সেই অপেক্ষার অবসান ঘটে। 

[৫] সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকে জোটের শরীকরা গত নির্বাচনের চেয়ে এবার কয়েকটি আসন বাড়ানোর প্রস্তাব রাখেন।  শেখ হাসিনা তাদের কাছে প্রত্যাশিত আসনগুলোতে শরীক দলগুলোর অবস্থান জানতে চান। শরীক দলগুলো আগেই তাদের প্রত্যাশিত আসনের একটি তালিকা জমা দিয়েছিলেন। সভায় তালিকাটি উপস্থাপন করেন জোটের সমন্বয়ক আমীর হোসেন আমু। প্রধানমন্ত্রী জানান, তিনি এই তালিকা বিশ্লেষণ করে দুএকদিনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত জানাবেন। 

[৬] জানা গেছে, বৈঠকে জোটের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুর নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। এই কমিটি জোটের শরীকদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে আসন ভাগাভাগির ব্যাপারে শেখ হাসিনাকে চূড়ান্ত প্রস্তাবনা দেবেন। 

[৭] বৈঠকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু, জাতীয় পার্টির (জেপি) সভাপতি আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, বাংলাদেশের ওয়াকার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দীলিপ বড়ুয়া, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীসহ অন্য নেতারা অংশ নেন। 

[৮] ২০০৮ সাল থেকে ১৪-দলীয় জোট একসঙ্গে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। গত নির্বাচনে শরিক দলের আটজন নেতা নৌকা প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এবারও জোটের শীর্ষ নেতারা নৌকা প্রতীকেই ভোট করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

[৯] গত নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ ও শরিক দলগুলো প্রথমে আলাদা প্রার্থী দিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ১৬টি আসনে শরিকদের ছাড় দেয় ক্ষমতাসীন দল। এর মধ্যে ওয়ার্কার্স পার্টি সর্বোচ্চ পাঁচটি, জাসদ ও বিকল্পধারা তিনটি করে, তরীকত ফেডারেশন ও জাতীয় পার্টি (জেপি) দুটি করে এবং বাংলাদেশ জাসদ একটি আসনে মহাজোটের মনোনয়ন পেয়েছিল। 

[১০] সেই নির্বাচনে বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি আসন পায় তিনটি। ঢাকা-৮ আসনে রাশেদ খান মেনন, সাতক্ষীরা-১ আসনে মুস্তফা লুতফুল্লাহ এবং রাজশাহী-২ আসনে ফজলে হোসেন বাদশা। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ-ইনু) সভাপতি হাসানুল হক ইনু কুষ্টিয়া-২ আসনে নির্বাচিত হয়ে সংসদে আসেন। এ ছাড়া বগুড়া-৪ আসন থেকে জাসদের এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন এবং ফেনী-১ আসন থেকে শিরীন আখতার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়