জেরিন আহমেদ: [২] পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, পোল্ট্রি ফিড ও বাচ্চা আমদানির সুযোগ দিলে এই সিন্ডিকেট ভাঙা সম্ভব হবে। তখন দেশের বাজারে মুরগি ও ডিম কম দামে পাওয়া যাবে। এটি না করে শুধু ডিম আমদানির অনুমোদনের ফলে দেশের খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন এবং খামারিরা উৎপাদন কমিয়ে দিলে সামনে একটি ডিমের দাম ২০ টাকা হতে পারে। সূত্র: জাগো নিউজ
[৩] মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সংগঠনটির সভাপতি সুমন হাওলাদার ও সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খন্দকার।
[৪] সিন্ডিকেট করে মুরগির বাচ্চার দাম নির্ধারণ করা হচ্ছে এমন অভিযোগ করে ইলিয়াস খন্দকার বলেন, তিন সপ্তাহ আগে একটি ব্রয়লার মুরগির বাচ্চা বিক্রি হতো ৩৫ টাকায়। তিন সপ্তাহের ব্যবধানে একটি বাচ্চার দাম বেড়ে ৬০ টাকা হয়েছে। বাচ্চার উৎপাদন খরচ তো বাড়েনি। বাড়লেও ১-২ টাকা বেড়েছে। আবার একটি লেয়ারের বাচ্চা ৭৫ টাকা বিক্রি করছে। সোনালি এবং কালার বার্ড একটি বাচ্চার উৎপাদন খরচ ২২ টাকা, খামারিরা কেনে ৫৮ টাকায়। এভাবে তারা প্রতিদিন অতিরিক্ত মুনাফা করছে সাড়ে ৬ কোটি টাকা।
[৫] তিনি বলেন, গত ফেব্রুয়ারি মাসে একটি ব্রয়লার বাচ্চার দাম ছিল ৫৭ টাকা এবং মার্চ মাসে ছিল ৯০ টাকা। বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি ব্রয়লার বাচ্চা খামারিরা সর্বোচ্চ ১১৫ টাকায় ক্রয় করেছেন, যেখানে উৎপাদন খরচ ছিল ৩২ টাকা। তারা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণে। যারা তাদের ধরবে, নিয়ন্ত্রণ করবে- তারা তাদের গোলাম হয়ে আছে।
[৬] ডিম আমদানি সমাধান নয়। একটি চক্রকে সুবিধা দেওয়ার জন্য এই ডিম আমদানির সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এতে সামনে আরও বিপর্যয় হবে দেশের জন্য, সাধারণ মানুষের জন্য।
[৭] কারা সিন্ডিকেট করছে এবং এই সিন্ডিকেট ভাঙার উপায় কী, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে সুমন হাওলাদার বলেন, করপোরেট গ্রুপ এই সিন্ডিকেট করছে। বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। এই সিন্ডিকেট ভাঙতে হলে বাচ্চা ও ফিড আমদানির অনুমোদন দিতে হবে। তাহলে ডিম আর আমদানি করতে হবে না। বরং আমরা ডিম রপ্তানি করতে পারবো। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না
আপনার মতামত লিখুন :