শিরোনাম
◈ গণঅভ্যুত্থান সরকারের কেউ কেউ ‘লুটপাট’ করে বেহুঁশ হওয়ার দশা: ইশরাক হোসেন ◈ যে কারণে পিআর পদ্ধতি চায় জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলন ◈ ‘মেগাস্টার’ শব্দকাণ্ডে বিতর্ক: “আমি মানুষটা ছোট, অন্যকে ছোট করব কীভাবে” — জাহিদ হাসান ◈ এবার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন শিল্পকলার চারুকলা পরিচালক ◈ কেশবপুর পৌরসভার  সাবেক মেয়র রফিকুল গ্রেফতার ◈ বেনাপোল কাস্টমসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩১৬ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায় ◈ পার্বত্য চট্টগ্রামের একশ স্কুলে এবছরই ই-লার্নিং চালুর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার ◈ ডার্পা প্রযুক্তি : যেভাবে তারবিহীন বিদ্যুৎ আবিষ্কার করে অবাক করলো বিশ্বকে (ভিডিও) ◈ নির্বাচন নিয়ে আবার সন্দেহ, অনিশ্চয়তার কথা কেন আসছে? ◈ মর‌ক্কোর স‌ঙ্গে প্রী‌তি ম্যাচ খেল‌তে চায় বাংলাদেশ, ক্রীড়া উপদেষ্টার প্রস্তাব

প্রকাশিত : ২৪ মে, ২০২২, ০২:১০ দুপুর
আপডেট : ১০ জুন, ২০২২, ০৪:০৭ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ফেসবুক নিয়ে হার্ডলাইনে যাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

ফেসবুক নিয়ে হার্ডলাইনে যাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

ডেস্ক রিপোর্ট: নিউ মার্কেট এলাকায় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশকে নিয়ে নানা অপপ্রচার চালায় একটি চক্র। ফেসবুকে পুলিশ সদস্যদের ছবির সঙ্গে মিথ্যা ও বিদ্বেষমূলক তথ্য দিয়ে পোস্ট করা হয়। চলে হাসি-ঠাট্টাও। এই ঘটনায় হতাশা প্রকাশ করেন পুলিশ সদস্যরা।বিষয়টি আলোচিত হয় পুলিশের উচ্চ পর্যায়ে।

এই ঘটনার রেশ পুরোপুরি না কাটতেই চট্টগ্রামে আসামির দায়ের কোপে কনস্টেবল জনি খানের কবজি বিচ্ছিন্ন হওয়ায় আবারও ফেসবুকে শুরু হয় পুলিশকে নিয়ে নেতিবাচক ও বিদ্বেষমূলক প্রচারণা। এ সংক্রান্ত সংবাদগুলোর কমেন্ট অপশনে গিয়ে একটি মহল বিদ্বেষ ও উস্কানিমূলক অনেক মন্তব্য করেছে। পুলিশের কবজি কাটার ঘটনা ভালো হয়েছে; এভাবেই পুলিশকে শায়েস্তা করা উচিত; পুলিশের উচিত শিক্ষা হয়েছে, পুলিশ মিথ্যা নাটক করছে’ ইত্যাদি বিদ্বেষমূলক কমেন্ট সেখানে করা হয়েছে। 

এবার বিদ্বেষ ছড়ানো ব্যক্তিদের শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে কাজ শুরু করেছে পুলিশ। বেশ কয়েকটি সূত্রে জানা গেছে, অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশ সদরদপ্তর থেকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে (ডিএমপি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশের পর কাজ শুরু করেছে ডিএমপি। সাইবার জগতে গোয়েন্দা ও প্রযুক্তিগত নজরদারি করে ইতোমধ্যে বিদ্বেষ ছড়ানো ১০-১৫ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের তালিকা ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগে পাঠানো হয়েছে। দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তার করতে বলা হয়েছে।

ডিএমপি সূত্রে জানা যায়, তালিকায় নাম থাকা এই ১০-১৫ জনের অধিকাংশের ফেসবুক আইডি ভুয়া। আইডিতে দেওয়া নাম ও প্রোফাইলে ব্যবহৃত ছবিও নকল। প্রযুক্তির ব্যবহার করে গোয়েন্দা নজরদারি চালিয়ে তাদের প্রকৃত নাম-পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। পরিচয় শনাক্তের পর দেখা যায়, বিদ্বেষমূলক ও মিথ্যা তথ্য প্রচারকারীদের অনেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমর্থক বা সক্রিয় সদস্য। এছাড়া কয়েকজন আছেন শিক্ষার্থী।

এ বিষয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) পদ মর্যাদার এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আসামি ধরতে গিয়ে কবজি বিচ্ছিন্ন করার ঘটনায় পুলিশ সদস্যরা দুঃখ ও কষ্ট পেয়েছেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা ও বিদ্বেষমূলক তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সবার মনে হতাশা ও ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। এ ঘটনায় ১০-১৫ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের খুব দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে। 

ডিএমপির সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের সহকারী কমিশনার ধ্রুব জ্যোতির্ময় গোপ বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাষ্ট্র ও সমাজবিরোধী উস্কানিমূলক ও বিদ্বেষমূলক কমেন্ট করে অনেকে। এসব কমেন্টকারীরা আমাদের নজরদারিতে থাকে এবং তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়; এ ক্ষেত্রেও নেওয়া হবে।

সূত্র : ঢাকা পোস্ট 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়