মাসুদ আলম: [২] বৃহস্পতিবার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, বুধবার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও চক্রের মূলহোতা ইকবাল হোসেন, আগারগাঁও সমাজসেবা অধিদপ্তরের কম্পিউটার অপারেটর নজরুল ইসলাম ও মুজিবনগর সমাজসেবা কার্যালয়ের সাবেক সমাজকর্মী মোদাচ্ছের হোসেন ও একটি হত্যা মামলার আসামি রমিজ মৃধা।
[৩] তিনি আরও বলেন, রমিজ একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স পাস করার পর এই চক্রের সঙ্গে জড়িত হয়ে ডিভাইসগুলো পরিচালনার দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। সরকারি ও বেসরকারি নিয়োগ পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দেওয়ার নামে পরীক্ষার্থীর সঙ্গে চুক্তি হতো ১০-১৫ লাখ টাকার। এজন্য পরীক্ষার আগেই অগ্রীম দিতে হতো অন্তত ২ লাখ টাকা। এরপর পরীক্ষার্থীকে সরবরাহ করা হতো হিডেন স্পাই ওয়্যারলেস কিট। যার মাধ্যমে বাইরে থেকে সরবরাহ করা হতো প্রশ্নপত্রের সমাধান। প্রশ্ন ফাঁস করে এবং সমাধান দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিত।
[৪] মঈন বলেন, আগামী ২০ মে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা রয়েছে বিধায় প্রতারক চক্রগুলো তাদের তৎপরতা বৃদ্ধি করে। প্রথমে তারা বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি নিয়োগ পরীক্ষা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে। পরে ওই নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়ার স্থান ও পরীক্ষার গার্ড সম্পর্কে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে। চক্রটি গত ২২ এপ্রিল প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষায় ১৬ জনকে এ ডিভাইস সরবরাহের মাধ্যমে উত্তর সরবরাহ করেছে।
[৫] তিনি বলেন, বিদেশ থেকে আনা এই ডিজিটাল ডিভাইসগুলো মূলত দুটি অংশে বিভক্ত। ডিভাইসটির একটি অংশ ইয়ার পিস তারা পরীক্ষার্থীদের কানের ভেতর এবং অটোমেটিক কল রিসিভ হওয়া সিম লাগানো অপর অংশটি শরীরের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে তাদের পরীক্ষার হলে প্রবেশ করাত। পরে পরীক্ষার্থীরা নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ছবি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে তাদের কাছে পাঠাত। চক্রটি প্রশ্নপত্রের উত্তর মেধাবী শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে গঠিত টিমের মাধ্যমে খুঁজে বের করে চুক্তিবদ্ধ পরীক্ষার্থীদের বলে দিত।