শিরোনাম
◈ ১৩ নভেম্বর কী হতে যাচ্ছে? ককটেল বিস্ফোরণ, আগুন, আর স্বনিরাপত্তায় ব্যস্ত নগরবাসী ◈ গণভোটের চেয়ে পেঁয়াজ সংরক্ষণাগার তৈরি করা বেশি জরুরি: তারেক রহমান (ভিডিও) ◈ চট্টগ্রামে লালদিয়া টার্মিনাল: ৩০ বছরের অপারেশন এপি মুলারের হাতে, বিনিয়োগ হবে ৫৫০ মিলিয়ন ডলার ◈ ইসি’র নতুন নির্দেশনা: প্রবাসীদের ভোটার নিবন্ধনে যা যা লাগবে ◈ সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নওফেলের বাসায় অভিযান, সাতজন আটক (ভিডিও) ◈ মিয়ানমারের সহিংসতায় নতুন ঢল, ১০ মাসে দেশে ঢুকেছে ১ লাখ ৩৬ হাজার রোহিঙ্গা ◈ “গুজবে কান দেবেন না’—লকডাউন ঘিরে নাগরিকদের আশ্বস্ত করলেন ডিবি প্রধান ◈ ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১১৩৯ ◈ কার্গো ভিলেজে এখনো ধ্বংসস্তূপ: তিন সপ্তাহ পরও সমন্বয়হীনতা তিন সংস্থার মধ্যে ◈ মাইলস্টোন দুর্ঘটনা: সাড়ে তিন মাস চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরলেন যমজ দুই শিশু

প্রকাশিত : ১২ নভেম্বর, ২০২৫, ০৪:২৫ দুপুর
আপডেট : ১২ নভেম্বর, ২০২৫, ০৮:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সাবেক এমপি-মন্ত্রীদের দামি ৩১ গাড়ি নিয়ে নতুন নির্দেশনা

বিলুপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য ও মন্ত্রীদের (এমপি) আমদানিকৃত ৩১টি গাড়ি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরে হস্তান্তরের জন্য নির্দেশনা দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

বুধবার (১২ নভেম্বর) এ বিষয়ে একটি বিশেষ আদেশ জারি করেছে এনবিআর।

এনবিআর জানায়, বিলুপ্ত সংসদের বেশ কিছু সদস্য বিশেষ শুল্কমুক্ত সুবিধায় গাড়ি আমদানি করেছিলেন। এ বিষয়ে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রযোজ্য হবে কি না, এমন নির্দেশনা চাওয়ার পর ২০২৪ সালের ৮ ডিসেম্বর এনবিআর জানায়, সংসদ ভেঙে যাওয়ার পর এই সুবিধা আর কার্যকর নয়। ফলে গাড়িগুলো খালাস করতে হলে আমদানিকারকদের স্বাভাবিক হারে শুল্ক ও কর পরিশোধ করতে হবে।

কিন্তু, শুল্ক ও কর পরিশোধ না করায় গাড়িগুলো খালাস হয়নি। এ অবস্থায় কাস্টমস আইন, ২০২৩ এর ধারা ৯৪(৩) অনুযায়ী গাড়িগুলো নিলামে তোলা হয়। তবে, উচ্চমূল্যের এই গাড়িগুলোর জন্য কেউ যৌক্তিক দর না হাঁকায় নিলামেও বিক্রি হয়নি সেগুলো। 

এ অবস্থায় পরবর্তীতে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার সিদ্ধান্তে জনস্বার্থে গাড়িগুলো জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীনে সরকারি যানবাহন অধিদফতরে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী, শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানিকৃত ৩১টি গাড়ির মোট প্রদেয় শুল্ক-করের পরিমাণ ২৬৯ কোটি ৬১ লক্ষ ৮৯ হাজার ৬০০ টাকা। উচ্চ মূল্যের এসব গাড়ির একক প্রতি প্রদেয় শুল্ক-করের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯ কোটি ৪৪ লক্ষ ৮৩ হাজার ৩০০ টাকা এবং একক প্রতি প্রদেয় সর্বনিম্ন শুল্ক-করের পরিমাণ ৮ কোটি ৬২ লক্ষ ৬৭ হাজার ৪০০ টাকা।    

সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, ভবিষ্যতে যদি সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকরা প্রযোজ্য শুল্ক-কর পরিশোধ করে আইনানুগ পদ্ধতিতে গাড়িগুলো খালাস নিতে চান, তাহলে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস প্রয়োজনীয় মূল্যায়ন ও শুল্কায়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তাদের অনুকূলে গাড়িগুলো ছাড়পত্র দিতে পারবে। সে ক্ষেত্রে সরকারি যানবাহন অধিদফতর গাড়িগুলো কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে ফেরত দেবে।

এ প্রসঙ্গে এনবিআরের এক কর্মকর্তা বলেন, জনস্বার্থে সরকারি সম্পদ হিসেবে এসব উচ্চমূল্যের গাড়ি ব্যবহার করা হবে। একইসঙ্গে আমদানিকারকদের প্রতি আইনানুগ দায়বদ্ধতা বজায় থাকবে।

 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়