শিরোনাম
◈ একের পর এক নিষেধাজ্ঞা, ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক কোন দিকে? নানা প্রশ্ন ◈ স্থলপথে কেন বাংলাদেশি পণ্যে নিষেধাজ্ঞা, জানাল ভারত ◈ খালেদা জিয়ার সঙ্গে কর্নেল অলির সাক্ষাৎ ◈ ভারতে কমেছে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার, বাড়ছে যুক্তরাষ্ট্রে-সৌদি আরবে ◈ সাফ শি‌রোপা জেতা হ‌লো না বাংলা‌ে‌দে‌শের, ভার‌তের কা‌ছে টাইব্রেকারে হে‌রে গে‌লো ◈ ভারত থেকে পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা, দিলীপ ঘোষের হুঁশিয়ারি: ‘বাংলাদেশ টক্কর দিলে বাঁচবে না’ ◈ যে ‘৩ শর্তে’ সশস্ত্র বাহিনীর চাকরিচ্যুতদের বিক্ষোভ স্থগিত হয় ◈ আইসিসি’তে জয় শাহ: ক্রিকেটে শক্তির ভারসাম্য নষ্ট করছে ভারত? ◈ সাবেক সেনাসদস্যদের বিক্ষোভ নিয়ে যা জানালেন আইএসপিআর ◈ ‘ইউনিফর্ম পড়ে আসছি, আমি কাপুরুষ না’- চাকরিচ্যুত সেনাদের উদ্দেশ্যে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা (ভিডিও)

প্রকাশিত : ১৭ মে, ২০২৫, ১২:৩৮ দুপুর
আপডেট : ১৯ মে, ২০২৫, ০৪:০০ সকাল

প্রতিবেদক : মনিরুল ইসলাম

যে প্রস্তাব দিতে গিয়ে বিপদে পড়েছিলেন ড. ইউনূস! (ভিডিও)

মনিরুল ইসলাম : মাইক্রোক্রেডিট ব্যাংক মানুষকে উদ্যোক্তা হতে লোন দেবে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘মানুষ মাত্রই উদ্যোক্তা, সবাই উদ্যোক্তা হবে। এতে বেকারত্ব কমবে, কেউ আর চাকরি খুঁজবে না।’

আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় আগারগাঁওয়ে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে তিনি যোগ দেন। তবে উন্মোচিত ফলকে কোথাও তার নাম উল্লেখ করা হয়নি। 

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘মাইক্রোক্রেডিট নামে আলাদা ব্যাংক করতে হবে। এজন্য নতুন ব্যাংক আইন তৈরি প্রয়োজন।’

ড. ইউনূস আরও বলেন, ‘মাইক্রোক্রেডিট ব্যাংক হবে সামাজিক ব্যবসার ব্যাংক, এটা বাণিজ্যিক ব্যাংক হবে না। মালিক এখান থেকে মুনাফা অর্জন করতে পারবে না।’

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে মাইক্রো ক্রেডিট ব্যাংকিং ব্যবস্থার কিছু গুরুত্বপূর্ণ অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন তিনি।

তিনি বলেন, “এরকম একটা প্রস্তাব একটা দেশকে দিতে গিয়ে বিপদেও পড়েছি। তারা বহু বিরাট বিরাট মাইক্রো ক্রেডিট প্রোগ্রাম করেছে, সারা দেশজুড়ে করেছে, বিশাল দেশ। এত সুন্দর কাজ করছে, এত বড় বড় কাজ করছে—তোমরা ব্যাংকিং লাইসেন্স দাও না কেন, কী অভাব তাদের? বলে যে না, এটা মাইক্রো ক্রেডিট, বাইরে ওরা পারবে না। আমি বললাম, দিয়ে দেখো তো একবার।”

তিনি আরও বলেন, “সেটা থেকে প্রস্তাব দিলাম—১০টা টপ ব্যাংক মাইক্রো ক্রেডিট অর্গানাইজেশন, যেগুলো তোমরা ইতিমধ্যে লাইসেন্স দিয়েছো মাইক্রো ক্রেডিট অপারেট করার জন্য, এখন বিশাল আকারে করছে—তাদেরকে পরীক্ষামূলকভাবে ব্যাংকিং লাইসেন্স দাও। অবশেষে তারা শুনল। এরকম চারটা কি পাঁচটা ব্যাংককে দিল, বিশাল বিশাল ব্যাংক হয়ে গেল সেগুলো। এত বড় হলো, তড়িৎগতিতে তারা দেশে চলতে আরম্ভ করল।”

তবে এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভুলের কথাও স্মরণ করিয়ে দেন ড. ইউনূস। তিনি বলেন, “আমি তাড়াতাড়ি বললাম, তোমরা লাইসেন্স দিয়েছো ভালো করেছো, কিন্তু একটা কথা খেয়াল করোনি—আমি তো মাইক্রো ক্রেডিট ব্যাংক করতে বলেছিলাম। তোমরা তো একটা কনভেনশনাল ব্যাংক বানিয়ে ফেললে। লাইসেন্স ফুল ব্যাংকিং লাইসেন্স দিয়ে দিয়েছো। এটা মাইক্রো ক্রেডিট ব্যাংকিং লাইসেন্স—এই কাজ ছাড়া সে অন্য কাজ করতে পারে না।”

তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, “এখন যেইমাত্র সে ব্যাংকিং লাইসেন্স পেয়েছে, বড় বড় ইনভেস্টর এসে হাজির হয়ে গেছে। হাজির হয়ে তাদেরকে পুরা ব্যাংক বানিয়েছে, সারা দেশজুড়ে এটা করতেছে। তো আমি বললাম, এটা ভুল হয়ে গেছে। সেই কথাটাই মনে করিয়ে দিচ্ছি এখানেও। আমরা যখন মাইক্রো ক্রেডিট ব্যাংকে লাইসেন্স দেব, পরিষ্কারভাবে বলতে হবে যে এই কাজের জন্যই লাইসেন্স দেয়া হচ্ছে—কনভেনশনাল ব্যাংকিংয়ের জন্য লাইসেন্স দেয়া হচ্ছে না। এটা আলাদা করে ফেলা।”

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়