শিরোনাম
◈ চলতি মাসেই বাংলাদেশ-মার্কিন শুল্ক চুক্তির আশা ◈ ইসরায়েল ইস্যুতে দোহায় শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ ◈ ‘নতুন বেতন কাঠামোতে ভাতা, অবসর সুবিধা ও বিশেষায়িত চাকরির বেতনও অন্তর্ভুক্ত হবে. ◈ বাংলা‌দেশ ক্রিকেট বো‌র্ডে নির্বাচন ৪ অক্টোবর ◈ রা‌তে ইং‌লিশ লি‌গে দুই ম্যানচেস্টারের লড়াই ◈ দেশে অবৈধ অস্ত্র আসছে, তা নিয়ে উদ্বেগ আছে: বাবর (ভিডিও) ◈ পেনাল্টিতে ব্যর্থ মেসি, ৩-০ গো‌লে হে‌রে গে‌লো ইন্টার মায়া‌মি ◈ নাটোরে মহাসড়কে কাভার্ডভ্যান আটকিয়ে ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট   ◈ জটিল পর্যায়ে নেওয়া হচ্ছে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া : সালাহউদ্দিন আহমেদ ◈ ফরিদপুরে মহাসড়ক অবরোধের প্রধান সমন্বয়ক ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

প্রকাশিত : ২২ এপ্রিল, ২০২৫, ০৯:৫৭ রাত
আপডেট : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৫:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সমালোচনার মুখে ডিএনসিসি প্রশাসকের উপদেষ্টা পদ ছাড়লেন এস্তোনীয় নাগরিক ড. আমিনুল ইসলাম

সমালোচনার মুখে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের উপদেষ্টার পদ ছাড়লেন এস্তোনিয়ার নাগরিক লেখক ড. আমিনুল ইসলাম। আজ মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ফেসবুক পোস্টে তিনি নিজে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ওই পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আই অলরেডি রিজাইন্ড, পিস।’

গত ১৭ এপ্রিল এক অফিস আদেশে ড. আমিনুল ইসলামকে প্রশাসকের উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেয় ডিএনসিসি। এতে বলা হয়, স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯ এর ৫৩ নং ধারা অনুযায়ী পরামর্শের প্রয়োজনে প্রশাসক মহোদয়ের অভিপ্রায় অনুযায়ী আমিনুল ইসলামকে উপদেষ্টা হিসেবে নিযুক্ত করা হলো। এটি সম্পূর্ণ অবৈতনিক হিসেবে বিবেচিত হবে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এই আদেশ জারি করা হলো।

এই আদেশের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। কারণ, তিনি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন। কেউ কেউ দাবি করেছেন, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার ইচ্ছায় নিয়োগ পান তিনি। এসব কারণে তাঁর নিয়োগ প্রশ্নবিদ্ধ হয়।

এবিষয়ে জানতে চাইলে ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটা ঠিক উপদেষ্টা না। বিশেষজ্ঞ কমিটিতে তাকে যুক্ত করেছিলাম। সমালোচনার কারণে সে নিজেও থাকতে চাইছে না, আমরাও বাদ দিয়েছি।’

ড. আমিনুল ইসলামের জন্ম ও বেড়ে ওঠা ঢাকার নাখালপাড়ায়। ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ থেকে এইচএসসি এবং সিলেটের শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে সুইডেনে মাস্টার্স এবং ইংল্যান্ড থেকে পিএইচডি করেন তিনি। এখন উত্তর-পূর্ব ইউরোপের দেশ এস্তোনিয়ার এন্টারপ্রেনারশিপ ইউনিভার্সিটিতে টেকসই উন্নয়নে সিনিয়র লেকচারার হিসেবে কর্মরত আছেন।

শিক্ষকতার বাইরে তরুণ প্রজন্মের কাছে বেশ জনপ্রিয় লেখক আমিনুল ইসলাম। ২০২৩ সালে তার লেখা প্রবন্ধ ‘লাইফ অ্যাজ ইট ইজ’ রকমারি বেস্ট সেলার পুরষ্কার পেয়েছে। এ ছাড়া চলতি বছরেও বইমেলায় প্রকাশিত দুইটি বই ‘নিলী নীলিমা’ ও ‘গ্রীষ্মের ছুটিতে দুঃস্বপ্ন’ পাঠকমহলে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।

ডিএনসিসি প্রশাসকের উপদেষ্টা নিয়োগের পর ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে নেটিজেনরা বলছেন, ড. আমিনুল ইসলাম প্রায় ৫ মাস আগে উপদেষ্টা হতে নিজের ফেসবুকে আবেদন জানান।

দুই বছর আগে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ছেড়ে এস্তোনিয়ার নাগরিক হন আমিনুল। ২০২২ সালের ২০ মার্চ ডেনমার্কে বাংলাদেশের দূতাবাসকে লেখা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক চিঠিতে বিষয়টি জানা যায়। তাতে আমিনুলের বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পরিত্যাগের আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে জানিয়ে তাঁর পাসপোর্ট নিয়ে নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়