এম এম লিংকন: [২] জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এক সুয়োমোটোতে এই উদ্ভূত অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি মোকাবিলায় নির্বর্তনমূলক ব্যবস্থা কেন গ্রহণ করা হয়নি -তার ব্যাখ্যা দিতেও বলা হয়েছে নড়াইল পুলিশ সুপারকে।
[৩] নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পিরোলী গ্রামে ২০২৩ সালের ২০ জুলাই গ্রামটিতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে যুবলীগকর্মী আজাদ শেখের (৩০) হত্যাকাণ্ডের পর থেকে মানুষগুলো গ্রামের ভিটামাটিছাড়া। এ সব পরিবার চাষাবাসও করতে পারছে না।
[৪] রোববার (২১ এপ্রিল ) কালের কণ্ঠে প্রকাশিত প্রতিবেদন সূত্রে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এক সুয়োমোটোতে নড়াইল পুলিশ সুপারকে এমন নির্দেশনা দিয়েছে বলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইউশা রহমান এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্য এই তথ্য জানান।
[৫] এতে বলা হয়, আজ ২১ এপ্রিল, ২০২৪ তারিখ দৈনিক কালের কন্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত ২০০ পরিবার ৯ মাস ঘরছাড়া শীর্ষক সংবাদটি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নজরে এসেছে।
[৬] সংবাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ২০ জুলাই গ্রামটিতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে খুন হন যুবলীগকর্মী আজাদ শেখ (৩০)। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে মানুষগুলো গ্রামের ভিটামাটিছাড়া। ১৫ এপ্রিল পুলিশ সুপারের কাছে বাড়িঘরে ফেরার আকুতি নিয়ে কার্যালয়ে যায় ভুক্তভোগীরা। তারা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করে। পরে পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত আবেদন করে।
[৭] পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, পিরোলী গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বাবু শেখ ও শহীদুল মোল্যা গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্বের জেরে খুন হন যুবলীগকর্মী আজাদ শেখ। তিনি বাবু শেখ গ্রুপের একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন। ওই ঘটনায় ২০ জনকে আসামি করে মামলা করেন আজাদের বড় ভাই সাজ্জাদ শেখ। আজাদ হত্যা মামলার ছয় আসামি ছাড়া বাকি সবাই আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন। তবে জামিনের পরও তারা ঘরে ফিরতে পারছেন না।
[৮] এ হত্যাকাণ্ডের জেরে নিহতের দলীয় প্রতিপক্ষ ২০ জন আসামি হলেও গ্রামের প্রায় ২০০ পরিবারের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে পরিবারগুলোর সদস্যদের গ্রামছাড়া করা হয়। সেই থেকে বাড়ি ঘরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে না পেরে দীর্ঘ ৯ মাস ধরে পরিবার-পরিজনসহ পথে পথে মানবেতর দিন যাপন করছে।
[৯] প্রকাশিত সংবাদের বরাতে সুয়োমোটোতে উল্লেখ রয়েছে, পিরোলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জারজীদ মোল্যা বলেন, ২০০ মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছে। জমিজমাও চাষ করতে পারছে না। আমরা চেষ্টা করছি তাদের বাড়িতে ফিরিয়ে আনা যায় কি না। পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি এক সপ্তাহের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। এ বিষয়ে নড়াইলের পুলিশ সুপার মেহেদী হাসান বলেন, এটি ৯ মাস আগের একটি খুনের ঘটনা। নড়াইলের দীর্ঘদিনের রীতি হলো, আসামিপক্ষের বাড়িঘর ভাঙচুর করা। আদালতে মামলা চলমান। আদালত যে রায় দেবেন, সেটাই চূড়ান্ত হবে।
[১০] সুয়োমোটোতে আরও উল্লেখ রয়েছে, উল্লিখিত সংবাদে বর্ণিত ভুক্তভোগী প্রায় ২০০ মানুষ বাসস্থান থাকার পরও নিজ নিজ বাসস্থানে নিরাপদে বসবাস করতে না পারার বিষয়টি বাংলাদেশের সংবিধানের পরিপন্থী। সম্পাদনা: কামরুজ্জামান
এমএমএল/কে/এনএইচ
আপনার মতামত লিখুন :