মাজহারুল মিচেল: [২] এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে সুইজারল্যান্ডের মানবাধিকার সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ফোরাম ফর সেক্যুলার বাংলাদেশ ও ঢাকার পলিসি মিডিয়া প্রেস এক্সপ্রেস।
[৩] এ দুটি সংগঠন শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) এক যৌথ বিবৃতিতে জানায়, জেনেভায় জাতিসংঘ ব্রোকেন চেয়ারের পাদদেশে গত মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। সূত্র: ঢাকা পোস্ট
[৪] বিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসী কার্যক্রমকে আরেকবার বিশ্ববাসীর সামনে প্রমাণসহ তুলে ধরেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। তারা বলেন, বাংলাদেশে সহিংসতাকারীরা, যারা ২০০১ সালের নির্বাচন পরবর্তী সময়ে সংখ্যালঘু নির্যাতন ও বিরোধীদলকে দমন-পীড়নের সঙ্গে যুক্ত, তারাই আবার মানবাধিকারের কথা বলতে শুরু করেছে। বিদেশিদের হস্তক্ষেপ কামনা করে বিএনপি যা করছে, তা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ ও দেশের গণতন্ত্রের জন্য মঙ্গলজনক নয়।
[৫] সমাবেশে ঘোষণাপত্র পড়ে শোনান জেনেভা গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউটের ইন্ট্যারন্যাশনাল রিলেশন বিভাগের ছাত্রী ফারহানা হোসেন উপমা। ঘোষণাপত্রে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণা ও ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর স্বাধীনতা অর্জন এবং ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার কথা তুলে ধরা হয়। সূত্র: আরটিভি
[৬] ঘোষণায় বলা হয়, যে দেশ মানবাধিকার ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে, সেই দেশকে আসন্ন নির্বাচন সুষ্ঠু করার কথা বলে স্যাংশনের মুখে ফেলা হয়েছে। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, মানবাধিকারকর্মী থেকে শুরু করে প্রগতিশীল মানুষ নির্বাচনকালীন সহিংসতা নিয়ে শঙ্কিত। কারণ, তারা ২০০১ সালের নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা দেখেছে।
[৭] সমাবেশে বক্তারা বলেন, গত ১১ সেপ্টেম্বর থেকে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের ৫৪তম অধিবেশন চলছে। সেখানে বিএনপি-জামায়াতের লোকেরা আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশের সরকারবিরোধী মিথ্যা ও অপপ্রচার তুলে ধরার চেষ্টা করেছে। সে কারণে জাতিসংঘ কার্যালয়ের সামনেই আমরা এ সভার আয়োজন করেছি।
[৮] ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত যে সহিংসতা করেছিল আলোকচিত্রের মাধ্যমে তার প্রমাণ হাজির করে বক্তারা বলেন, যারা বিদেশে এসে এখন মানবাধিকার লঙ্ঘনের নালিশ করে, তারা কী কী ঘটিয়েছিল তা প্রদর্শন করা জরুরি।
[৯] সমাবেশে ইন্টারন্যাশনাল ফোরাম ফর সেক্যুলার বাংলাদেশের সভাপতি রহমান খলিলুর মামুন বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করে রেখেছিল। নির্বাচনের পর দিনই তারা দেশজুড়ে সংখ্যালঘু নির্যাতন চালায়, আওয়ামী সমর্থক নেতাকর্মীদের ঘরবাড়ি, দোকান সব পুড়িয়ে দেয়। এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, বিএনপি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন এবং এ বিষয়ে কানাডার আদালতের অবজারভেশন আছে।
[১০] জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, দয়া করে এদের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলুন। বিএনপি-জামায়াত যেন আর ক্ষমতায় আসতে না পারে। বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ। আর কোনো সন্ত্রাসী কার্যক্রম সেখানে যেন এই দলগুলো চালাতে না পারে।
[১১] সমাবেশে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনের পক্ষে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে শেখ হাসিনার প্রশংসা করে সংহতি জানিয়ে সমাবেশের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে ঢাকা থেকে অনলাইনে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা কমাডোর এ ডাবলু চৌধুরী। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না
এমএম/টিএবি/এনএইচ