শিরোনাম
◈ তাপপ্রবাহ চলছে দেশজুড়ে, স্বস্তির খবর দিল আবহাওয়া অফিস ◈ রাজনৈতিক দলের বিচারে ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধন, গেজেট প্রকাশ ◈ বাংলাদেশের কাছে লিখিত প্রস্তাব চায় যুক্তরাষ্ট্র, তারপর আলোচনা শুরু ◈ আ. লীগের কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে অনলাইনেও, পেজ বন্ধে চিঠি দেবে বিটিআরসি ◈ ভারত-পাকিস্তানের সঙ্গে কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে কাজ করব: ট্রাম্প ◈ আবারও শাহবাগ অবরোধ করেছেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আহতরা ◈ গেজেট প্রকাশের পরই আ. লীগের নিবন্ধন নিয়ে সিদ্ধান্ত: সিইসি ◈ লড়াই রা‌তে, জিত‌লে বা‌র্সেলোনা চ্যাম্পিয়ন ◈ পরিবারে মা হচ্ছেন এক বিস্ময়কর প্রতিষ্ঠান, খালেদা জিয়াকে নিয়ে আবেগঘন বার্তা তারেক রহমানের ◈ পাকিস্তানের শক্ত জবাবেই যুদ্ধবিরতি করতে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বারস্থ হয় ভারতঃ সিএনএনের সাংবাদিক (ভিডিও)

প্রকাশিত : ০৫ মার্চ, ২০২৩, ০৪:৫৭ দুপুর
আপডেট : ০৫ মার্চ, ২০২৩, ০৪:৫৭ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জার্মানির হামবুর্গে বর্ণাঢ্য আয়োজনে  বর্ণমালার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন

বর্ণমালার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী

জাহিদ আল আমীন: বন্দরনগরী  হামবুর্গে এখনো ফাল্গুনের ছোঁয়া লাগেনি। জরাগ্রস্থ শীতের দেশে শিমুল-পলাশ-কৃষ্ণচুড়ারা ফোটে না। পায়ের নিচের যে মাটি, চারিদিকের পরিবেশ-প্রতিবেশ  সবকিছু ভিন্ন সভ্যতা ও সংস্কৃতিতে মোড়ানো। তবুও এখানে বাংলা আছে, দারুণভাবে বেঁচে আছে বাংলাদেশ। প্রবাসে বসবাসরত প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ে বাস করে বাংলা ভাষা ও একটি বাংলাদেশ। সেই আবেগ ও ভালোবাসার ফসল বর্ণমালা - প্রবাসে বাংলা শেখার স্কুল। 

৪ মার্চ নগরীর ফার্মজেনস্থ ব্লাউয়ার সালুন মিলনায়তনে উৎসবমুখর পরিবেশে বর্ণমালার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত হয়। ২০২২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সমিতি, হামবুর্গের উদ্যোগে বর্ণমালা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো। বর্তমানে জার্মানিসহ ৫টি দেশের শিক্ষার্থীরা বর্ণমালায় বাংলা শিখছে। বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতিকে কেন্দ্র করে বর্নিল আয়োজনে সাজানো হয়েছিলো বর্ণমালার অনুষ্ঠানসূচী।

বর্ণমালার শিক্ষার্থীদের সেমিস্টার সমাপনী পরীক্ষার মধ্য দিয়ে দিবসটি শুরু হয়। এরপরে বাংলাদেশকে উপজীব্য করে কচি-কাঁচাদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। বাংলা পার্বণের উদ্যোগে বইমেলার আয়োজন করা হয়। ছিলো বাংলা দেয়াল পত্রিকা। এরই মাঝে বাংলাদেশি মায়েদের হাতে তৈরি নানান স্বাদের পিঠা-পুলির মনমাতানো গন্ধে ভরে ওঠে গোটা মিলনায়তন। সমবেত উপস্থিতি কিছুটা সময়ের জন্য যেন প্রিয় বাংলাদেশেই হারিয়ে গিয়েছিলো। 

বর্ণমালার সমন্বয়ক রবিউল এইচ চৌধুরী ও সৈয়দ মারজান উল হাসানের সঞ্চালনায় পুরস্কার বিতরণী ও আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশ নেন বাংলাদেশ সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুল আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিকুর রহমান, জামিল আহমেদ, আব্দুল মা'বুদ, ওমর ফারুক, কামাল উদ্দীন, মৃদুল রয়, হাসিনা মাহবুব প্রমুখ। 

বক্তারা বলেন, বর্ণমালা প্রবাসে জন্ম নেয়া বাংলাদেশি প্রজন্ম বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি থেকে বিচ্ছিন্ন প্রায়। বাংলাদেশ সমিতি বর্ণমালা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এই প্রজন্মকে তাদের শিকড়ের কাছে পৌছে দেয়ার চেষ্টা করছে। কারণ এই বাংলা ভাষাই আমাদের আত্নপরিচয়ের প্রধান উৎসধারা। 

তারা বলেন, বাংলা ভাষা ও শহীদদের সন্মানে ইউনেস্কো একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে উদযাপন করে। এই বিরল গৌরব শুধু বাঙালিদের। একটি জাতির উন্নতি-অগ্রগতির পেছনে তাদের ভাষার বিস্তার বড় একটি নিয়ামক হিসেবে কাজ করে। তাই শহীদ সালাম, রফিক, জব্বার, বরকতদের রক্তঋণ পরিশোধ করতে, বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে সন্মানের আসনে সমাসীন করতে বাংলা ভাষাকে বিশ্বময় ছড়িয়ে দিতে হবে। 

বক্তারা বলেন, বর্ণমালাকে একটি স্থায়ী রূপ দেয়ার জন্য নিজস্ব ঠিকানা প্রয়োজন। এজন্য বাংলাদেশ সরকার ও জার্মানিতে বাংলাদেশ দূতাবাসকে এগিয়ে আসার জন্য আহবান জানানো হয়। 
মধ্যাহ্ন ভোজনের পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিলো। সমবেত কন্ঠে জাতীয় সঙ্গীত আর একুশের জনপ্রিয় গান 'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো' দিয়ে এই পর্বটি শুরু হয়। বর্ণমালার ছোট্ট সোনামনিদের যেমন খুশী তেমন সাজো, একক ও দ্বৈত অভিনয়, স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি দিয়ে সাজানো ছিলো সাংস্কৃতিক আয়োজন। 

এ সময়ে কেক কেটে বর্ণমালার প্রথম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীকে স্মরণীয় করে রাখা হয়। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়