সাজ্জাদুল ইসলাম: ‘বন্দী অবস্থায় এক হাজার দিন থাকা কম কষ্টের নয়।’ একথা বললেন চেং লেই’র স্বামী নিক কয়েল। তার স্ত্রী অস্ট্রেলিয়ান সাংবাদিক। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ কি তা এখনো গোপন রয়েছে। এবং তাকে দন্ডদান বার বার স্থগিত করা হয়েছে। বিবিসি
কয়েলের মতো চেংএর বন্ধু-ব্ন্ধাবী ও পরিবারের সদস্যরাও জানেন না কি কারণে তাকে জেলে থাকতে হলো। তিনি বলেন, আমি চীনা কর্তৃপক্ষের কাছে এ কঠিন পরিস্থিতির বিষয় সম্ভব শিগগিরই সুরাহা করার অনুরোধ জানাবেন।
চেং লেই চীনের রাষ্ট্র পরিচালিত ইংরেজি দৈনিক সিজিটিএনের বানিজ্যিক রিপোর্টার হিসেবে কাজ করতেন। ২০২০ সালের ১৩ আগষ্ট মাসে হঠাৎ রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তারা তাকে আটক করে নিয়ে যান। পরে তার বিরুদ্ধে বিদেশে রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য বিদেশে পাচার করার অভিযোগ আনা হয়।
তাকে প্রথম ৬ মাস নির্জন প্রকষ্ঠে রাখা হয়। তাকে জিঙ্গাসাবাদ করা হয়। কিন্তু তাতে তার আইনজীবীর কোন প্রবেশাধিকার ছিল না। এরপর তাকে অন্য কয়েদিদের সঙ্গে আটক রাখা হয়। এমনকি চীনে নিযুক্ত অস্ট্রেলীয় রাষ্ট্রদূতকে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে দেয়া হয়নি। তাকে দন্ড দেয়ার বিষয় বার বার স্থগিত করা হয়। তার বিচারস্থল বেইজিং সেকেন্ড ইন্টারমিডিয়েট পিপলস কোর্ট তার ব্যাপারে বিবিসির প্রশ্নের কোন জবাব দেয়নি।
কয়েল চীন-অস্ট্রেলিয়া চেম্বার অব কমার্সের সাবেক নির্বাহী। তিনি এখন বেইজিং ত্যাগ করেছেন। তবে বিদেশ থেকেও তিনি তার স্ত্রীর মুক্তির জন্য চেষ্টা অব্যাহত রাখবেন।
কয়েল বলেন, তিনি অস্ট্রেলিয়ায় চীনের রাষ্ট্রদূত শিয়াও কিয়ানের সঙ্গে কথা বলেন জানুয়ারি মাসে। তিনি আশাবাদ প্রকাশ করেন যে, সম্ভব শিগগিরই সমস্যার সমাধান হবে। কয়েল বলেন, ‘৫ মাস পার হয়ে গেছে। আমি এখনো অপেক্ষায় আছি।’
এসআই/এএ