শিরোনাম
◈ ভালোবাসার শহর প্যারিসে বৃষ্টিভেজা রাতে শুরু হলো অলিম্পিকস ২০২৪ ◈ সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মবার্ষিকী আজ ◈ কারফিউ আরো শিথিলের সিদ্ধান্ত হবে আজ, জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ একদফা দাবিতে জাতীয় ঐক্যের ডাক বিএনপির ◈ শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে শ্রীলঙ্কা  ◈ ডিবি হেফাজতে কোটা আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ◈ কোটা আন্দোলন: ঢামেকে চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থীসহ তিন জনের মৃত্যু ◈ হেলিকপ্টার দিয়ে মানুষ হত্যার জবাব জনগণ একদিন আদায় করে নেবে: মির্জা ফখরুল ◈ প্রতিটি হামলার ঘটনার বিচার হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ সাম্প্রতিক সহিংসতায় আহতদের চিকিৎসার দায়িত্ব নেবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ০৮:০৯ রাত
আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ০৮:৩৭ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আড়ম্বর মেলায় অনাড়ম্বর লিটলম্যাগ চত্বর

শিমুল চৌধুরী ধ্রুব: [২] অন্যবারের তুলনায় এ বছর অমর একুশে বইমেলায় পাঠক-দর্শনার্থীদের উপস্থিতিতে সন্তুষ্ট প্রকাশক-বিক্রয়কর্মীরা। মেট্রোরেলের সুবাদে দূরের যাত্রীরাও মেলায় আসছেন। তবে মেলা জমজমাট হলেও জৌলুস হারিয়েছে লিটলম্যাগ চত্বর। 

[৩] এক সময় বইমেলায় আলাদা করেই নজর কাড়ত লিটলম্যাগ। বছরের পর বছর নবীন-প্রবীণ লেখকের যোগসূত্র তৈরি হত এ চত্বরকে ঘিরেই। মেলায় এলেই সেখানে ঢু মারতেন সবাই, আড্ডায় বুঁদ হয়ে থাকতেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা। খ্যাতনামা সাহিত্যিকদের আড্ডায় মুখর থাকা লিটলম্যাগ চত্বরের সেই দিন এখন আর নেই। আড্ডাবিহীন লিটলম্যাগ চত্বর এখন ধুঁকছে নানা সংকটেও। মঙ্গলবার সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে এই চত্বরে নেই পাঠকের উপস্থিতি; অধিকাংশ স্টলে শুধু ব্যানার ঝুলছে।  

[৪] এ বছর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উন্মুক্ত মঞ্চের কাছাকাছি গাছতলায় লিটলম্যাগ চত্বর স্থানান্তরিত হয়েছে। এতে স্টল বরাদ্দ পেয়েছে প্রায় ১৭০টি সংস্থা। সরেজমিনে দেখা যায়, মেলায় ছোট পরিসরে স্টল খুলেছেন লিটলম্যাগ প্রকাশকরা। সেখানে লেখক-পাঠকের কোনো আগ্রহ নেই। মাঝেমধ্যে কেউ কেউ হয়তো আসছেন। তবে অধিকাংশ স্টলেই বিক্রয়কর্মীরা অবসর সময় ব্যয় করছেন। নেই আড্ডা, তর্কবিতর্ক; আগের আমেজ।

[৫] লিটলম্যাগ চত্বরে আবার কোনো কোনো স্টল খালি পড়ে আছে। কোনটিতে শুধু লাগানো আছে ব্যানার। কোথাও স্টল-বই আছে, তবে পাঠক না থাকায় তাড়া নেই প্রকাশক-বিক্রয়কর্মীদের। মেলায় ধাবমান, ঢাকা মেট্রো, ঘুংঘুর, চিরহরিৎ, তৃষ্ণাতুর, টুপটাপ, খই, ক্ষ্যাপাসহ কয়েকটি স্টলে কোনো প্রকাশনা বা বিক্রয়কর্মীর দেখা মেলেনি।

[৬] বইমেলার পরিসর বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ২০১৯ সালে লিটলম্যাগকে বাংলা একাডেমির বহেরা তলা থেকে নিয়ে আসা হয় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। তারপর থেকেই লিটলম্যাগ তার জৌলুস হারিয়েছে বলে অনেকেই মনে করেন। পাঠকরা বলছেন, বইমেলায় একপাশে পড়ায় এবং অপ্রতুল ও গতানুগতিক লেখার কারণে আগ্রহ হারাচ্ছে লিটলম্যাগ। মেলায় আসা এক পাঠক নাজনীন সিলভি আমাদের নতুন সময়কে বলেন, এখানে তেমন কোনো আগ্রহোদ্দীপক বই দেখতে পাইনি। ফলে বেশিক্ষণ থাকিনি।

[৭] বিক্রয়কর্মী ও প্রকাশনা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, লিটলম্যাগকে যে স্থান বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, সে স্থানের কারণে লেখক-পাঠকের উপস্থিতি কম। এর অবকাঠামো, বসার স্থান না থাকা এবং আলোক স্বল্পতা নিয়ে তারা অভিযোগ করেছেন।  

[৮] বাসাপের বিক্রয়কর্মী শামসুদ্দোজা নবাব বলেন, প্রতিবছরই কিছু না কিছু বিক্রি হতো। এবার লিটলম্যাগ এমন স্থানে দেওয়া হয়েছে, মানুষই আসছে না।

[৯] কবিতা চর্চার আকা আজাদ বলেন, লিটলম্যাগে সবসময়ই বিক্রি একটু কম হয়। তবে এখানে বার্তা আদান-প্রদানের যে একটি বিষয় থাকে, তা এবছর একদমই হচ্ছে না। কারণ চত্বরের অবকাঠামো সরু করে এমনভাবে করা হয়েছে যে, এখানে আড্ডার কোনো সুযোগ নেই। কোথাও বসার কোনো ব্যবস্থা নেই। তাছাড়া আলোর স্বল্পতাও রয়েছে। দুটি স্টলের জন্য একটি বাতি দেওয়া হয়েছে, তাও আলো কম। এগুলো নিয়ে আমরা অভিযোগ করেছি, তবে একাডেমি কর্ণপাত করেনি। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়