বছর শেষে হুলস্থুল খাওয়াদাওয়া। আর এতে ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। অনেকেই ভাবেন, ওজন কমাবেন। ভাত, রুটি ছেড়ে শুধু সালাদ খেয়ে ওজন ঝরানোর ভাবনাচিন্তা করেন কেউ কেউ।
এভাবে ওজন না হয় ঝরল। পরিবর্তে সবরকম খাবার খেতে না পারায় মানসিক অবসাদও তৈরি হয় অনেকের।
তবে পুষ্টিবিদদের মতে শুধু সালাদ নয়, বাড়ির সবরকম খাবার খেয়েও ওজন কমানো সম্ভব। কোন সময়ে কোন খাবার খাওয়া উচিত, পুষ্টিবিদের পরামর্শ অনুযায়ী রইল সেই টিপস।
সকালের নাশতা
পুষ্টিবিদের মতে, সকালের নাশতায় দুটি ডিম, মাল্টিগ্রেন টোস্ট, সিদ্ধ করা সবজি খেতে হবে। তার সঙ্গে অবশ্যই খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে ২০০ গ্রাম দই ও ১০ গ্রাম মিক্সড সিডস। দ্রুত ওজন ঝরাতে চাইলে যেকোনো রকমের মৌসুমি ফলও রাখতে হবে খাদ্যতালিকায়।
দুপুরের খাবার
দুপুরের খাবার যেন প্রোটিন সমৃদ্ধ হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতেই হবে।
এক কাপ ভাত, সঙ্গে ১২০ গ্রাম ওজনের মাছ অথবা মাংস, লেবুর রস দেওয়া সালাদ খেতে পারেন। যারা আমিষ খেতে চান না, তারা মাছ, মাংসের পরিবর্তে পরিমাণমতো সবজি খেতে হবে। ভাতের পরিবর্তে চাইলে ২টি হাতে গড়া রুটিও খেতে পারেন।
রাতের খাবার
সারা দিনের শেষবারের ভারী খাবার হলো রাতের খাবার। ডায়েট করলে অনেকেই ভাবেন রাতে শুধু স্যুপ খেয়ে থাকতে হয়।
তবে পুষ্টিবিদদের মতে, শুধু স্য়ুপ খাওয়ার কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই। পরিবর্তে দুটি রুটি এবং সবরকম সবজি মিশ্রিত তরকারি খেতে পারেন। খাওয়া যেতে পারে পনির, দুটি ডিম, গ্রিলড ফিশ।
ডায়েট করা মানেই যে মিষ্টির স্বাদ থেকে বঞ্চিত থাকতে হবে, তা একেবারেই নয়। নিজে হাতে তৈরি করা মাগ কেক ও বানানা কেক খেতে পারেন। তবে খুব বেশি মিষ্টি যেন না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন।
টানা এভাবে কয়েকদিন খাওয়াদাওয়া করলেই কমবে ওজন। আত্মবিশ্বাসী পুষ্টিবিদের মতে, এমন খাওয়াদাওয়ায় সর্বোচ্চ ৩০ কেজি পর্যন্ত ওজন কমতে পারে। তাই নতুন বছর থেকে নিজের খাদ্যতালিকায় আনুন পরিবর্তন। আর হয়ে উঠুন সবার ঈর্ষার কারণ।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন