শিরোনাম
◈ ট্রাইব্যুনাল এলাকায় উত্তেজনা এড়াতে কড়া নিরাপত্তা ◈ পদ্মা সেতুর সামনে ঢাকা-ভাঙা এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ: ট্রাকে আগুন ও যান চলাচল বন্ধ ◈ বরিশালের উজিরপুরে মধ্যরাতে বিএনপির কার্যালয়ে আগুন ◈ নিরাপত্তা সতর্কতায় পুলিশ, রাজধানীতে রাজনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি ◈ ‘বিএনপি ১০০ বছর চেষ্টা করেও গণভোট ঠেকাতে পারবে না’ (ভিডিও) ◈ পেট্রোল বোমাসহ নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের দুই নেতা আটক ◈ প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে ২য় ধাপে বড় বিজ্ঞপ্তি ◈ পাটওয়ারীর ও হাসনাতের সাথে ডা. জাহিদ রায়হানের বাকবিতণ্ডা! (ভিডিও) ◈ হাসিনার মামলার রায়: ট্রাইব্যুনাল এলাকায় সেনা মোতায়েন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের চিঠি ◈ ডাকসুতে শেখ হাসিনার আজীবন সদস্যপদ বাতিলের সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত : ১৩ নভেম্বর, ২০২৫, ০৯:৪৭ সকাল
আপডেট : ১৩ নভেম্বর, ২০২৫, ১১:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শীতে শরীর উষ্ণ ও সুস্থ রাখার জন্য মধু খাওয়ার উপকারিতা ও সতর্কতা

শীত এসে গিয়েছে। ঠান্ডা, শুষ্ক আবহাওয়ায় মধু খাওয়ার চর্চা অনেকেরই রয়েছে। তবে যারা এখনও মধু খাওয়ার অভ্যাস গড়েননি, তাদের জন্য আজ শীতের ডায়েটে মধু রাখার কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

মধুর স্বাস্থ্যগত উপকারিতা:

শক্তি ও তাপ জোগায়: মধুতে থাকা গ্লুকোজ শরীরে দ্রুত শক্তি দেয় এবং শরীরকে উষ্ণ রাখে, যা শীতকালে খুব দরকার।

রক্ত গঠনে সহায়ক: মধু রক্তের হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে, শরীরের অক্সিজেন পরিবহন সক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: এর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি-ভাইরাল গুণশক্তির কারণে শীতকালে ঠান্ডা, কাশি ও গলাব্যথার সমস্যা কমাতে সহায়ক।

হজমে সাহায্য করে: শীতে হজমশক্তি কমে যায়, মধু হজমের উন্নতি ঘটায় এবং পেটের অম্লভাব কমায়।

ত্বককে ভালো রাখে: হালকা গরম পানিতে মধু মিশিয়ে খেলে শুষ্ক ত্বক নরম ও উজ্জ্বল হয়।

হৃদ্‌রোগ প্রতিরোধে কার্যকর: মধুতে থাকা পলিফেনল হৃদ্‌যন্ত্রের সুস্থতা বাড়ায়। দারুচিনির সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে রক্তনালীর সমস্যা কমে এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে।

ডায়রিয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: পাশাপাশি হাঁপানি, ফুসফুসের সমস্যা, অনিদ্রা ও বুক জ্বালা কমাতে সাহায্য করে।

ক্যালরি ও পটাশিয়ামের উৎস: মাত্র ১ চা-চামচ মধুতে প্রায় ২১ ক্যালরি এবং পটাশিয়াম থাকে, যা শরীরের জন্য উপকারী।

কীভাবে মধু খেতে পারেন?

• সরাসরি সকালে আধা থেকে এক চা-চামচ মধু খাওয়া।

• টক ফল বা ফলের রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খাওয়া।

• লেবুর রস, আদার রস বা কমলার রসের সঙ্গে মধু দিয়ে পানীয় তৈরি।

• রং চা, লেবু চা বা গ্রিন টিতে সামান্য মধু মেশানো যায় (দুধের চায়ে নয়)।

• ওটস বা সালাদের ড্রেসিংয়ে মধু ব্যবহার।

• রান্নায় চিনির বিকল্প হিসেবে মধু প্রয়োগ (যেমন মিষ্টি স্বাদের মাছ বা মুরগির পদে)।

সতর্কতা:

• অতিরিক্ত মধু খাওয়া রক্তে শর্করা ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বাড়াতে পারে, যা শারীরিক জটিলতার কারণ হতে পারে।

• একবারে বেশি পরিমাণে মধু না খাওয়া ভালো, কারণ এতে হজমের সমস্যা বা অ্যাসিডিটি হতে পারে।

• শিশুদের অতিরিক্ত মধু দেওয়া উচিত নয়, কারণ তা তাদের অতিচঞ্চলতা সৃষ্টি করতে পারে।

• যাদের মধুতে অ্যালার্জি আছে তারা অল্প পরিমাণেও খাওয়া এড়িয়ে চলুন।

• ডায়াবেটিস বা ফ্যাটিলিভার আক্রান্তদের মধু খাওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা প্রয়োজন।

উল্লেখ্য, শীতের সময় মধু খাওয়া শরীরকে উষ্ণতা, শক্তি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দেয়। এটি হজমকে ভালো করে, ত্বক উজ্জ্বল রাখে এবং হৃদ্‌যন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করে। তবে, মধুর সঠিক মাত্রা মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি।

সূত্র: আরটিভি নিউস 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়