পোষা প্রাণীর সংস্পর্শে কমে অটোইমিউন রোগের ঝুঁকি! পোষা প্রাণীর উপস্থিতি মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করতে পারে বলে দাবি করছেন গবেষকরা। সাম্প্রতিক গবেষণা অনুযায়ী, বাড়িতে পোষা প্রাণী থাকলে তা অ্যালার্জি, একজিমা, চুলকানি এবং এমনকি থাইরয়েড সংক্রান্ত রোগ, টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিসের মতো অটোইমিউন ডিজিজের ঝুঁকিও কমিয়ে দিতে পারে।
এই প্রসঙ্গে গবেষকরা এমন সম্প্রদায়ের জীবনযাত্রার উদাহরণ টানছেন, যারা প্রকৃতির কাছাকাছি জীবন যাপন করেন। এই আলোচনায় উঠে এসেছে আমিশ সম্প্রদায়ের জীবনধারণ পদ্ধতি। গবেষকদের মতে, মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ওপর পোষা প্রাণীর এই ইতিবাচক প্রভাবকে বুঝতে গেলে আমিশ সম্প্রদায়ের মতো ঐতিহ্যানুসারী গোষ্ঠীর জীবনযাপন প্রণালী বিশ্লেষণ করা জরুরি।
অষ্টাদশ শতকে মধ্য ইউরোপ থেকে উত্তর আমেরিকায় চলে আসা আমিশরা আজও তাদের অনন্য ও সাদামাটা জীবনযাত্রার জন্য পরিচিত। এই সম্প্রদায়ের মানুষ ঐতিহ্যগতভাবে দুধ উৎপাদনের জন্য গবাদি পশুর লালন-পালন করেন এবং ঘোড়ায় টানা গাড়ি ব্যবহার করেন—ঠিক যেমনটা বহু শতাব্দী ধরে তাদের পূর্বপুরুষরা করে এসেছে। তারা পরিবার এবং কমিউনিটিকে প্রাধান্য দিতে আধুনিক প্রযুক্তির দিকে তেমন মনোনিবেশ না করে পূর্বপুরুষদের জীবনযাত্রাকেই অনুসরণ করেন।
আমিশ সম্প্রদায়ের এই প্রকৃতির ঘনিষ্ঠ জীবনযাত্রা গত কয়েক দশক ধরে হলিউডের চিত্রনাট্যকার, ডকুমেন্টারি নির্মাতা এবং সমাজবিজ্ঞানীদের কল্পনাকে উসকে দিয়েছে। গবেষকরা ধারণা করছেন, পশুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা এবং আধুনিক জীবনযাত্রার দূষণ থেকে দূরে থাকার কারণে এই সম্প্রদায়ের মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বিশেষভাবে শক্তিশালী হতে পারে। সূত্র: জনকণ্ঠ