মহানবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহর কাছে চারটি বাক্য প্রিয়, সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আকবার।’ (মুসলিম)
দোয়াও একটি মৌলিক ইবাদত। ইসলামের দোয়ার গুরুত্ব অনেক অনেক বেশি। মুমিনরা কোনো কিছুর জন্য আল্লাহর কাছেই হাত তোলেন। দোয়া করেন। আল্লাহর কাছেই চান। আল্লাহর কাছে যে চায় আল্লাহ তার উপর সন্তুষ্ট হন। আর যে চায় না তার উপর নারাজ হন।
‘আলহামদুলিল্লাহ’ শব্দের অর্থ ‘সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহর জন্য।’ যেকোনো উত্তম, আনন্দময় ও শুভ খবরে ভালো কিছুর জন্য এটি বলা হয়ে থাকে। পছন্দনীয় কিছু দেখলে বা শুনলে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলতে হয়।
হাদিসে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহ সবচেয়ে বেশি নিজের প্রশংসা পছন্দ করেন, এ জন্য তিনি নিজের প্রশংসা করেছেন এবং আমাদেরও তার প্রশংসার নির্দেশ দিয়েছেন।’ (বুখারি)
‘আলহামদুলিল্লাহ’ শব্দের মধ্যে আছে ‘হামদ’ শব্দটি। আমরা আল্লাহর গূণকীর্তি করে হামদ গাই। ‘হামদ’ অর্থ ‘প্রশংসা’। ভালো কোনো খবর শুনলে আলহামদুলিল্লাহ বলা সুন্নত। কোরআন পড়া শুরুই করতে হয় ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলে। এ ছাড়া কোরআনের অন্যান্য প্রায় সব সুরাই যে এই বাক্য দিয়ে শুরু করতে হয়, তা থেকেই এর তাৎপর্যের প্রমাণ পাওয়া যায়।
হাদিস শরিফে আছে, ‘আল্লাহর মাহাত্ম্য বর্ণনা ও প্রশংসার জন্য আলহামদুলিল্লাহর চেয়ে উত্তম বাক্য আর নেই।’ (তিরমিজি)
হাদিসে আলহামদুলিল্লাহকে সবচেয়ে উত্তম দোয়া বলা হয়েছে। মহানবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘সর্বোত্তম ফজিলতপূর্ণ বাক্য লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ এবং সর্বোত্তম দোয়া আলহামদুলিল্লাহ।’ (তিরমিজি)
মহানবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও বলেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ আমলের পাল্লা পূর্ণ করে দেয়। আর সুবহানাল্লাহ ও আলহামদুলিল্লাহ শব্দ দুটি আসমান ও জমিনের খালি জায়গা পূর্ণ করে দেয়।’ (মুসলিম) আল্লাহর কাছে দোয়া করতে হবে বেশি।