শিরোনাম
◈ একের পর এক নিষেধাজ্ঞা, ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক কোন দিকে? নানা প্রশ্ন ◈ স্থলপথে কেন বাংলাদেশি পণ্যে নিষেধাজ্ঞা, জানাল ভারত ◈ খালেদা জিয়ার সঙ্গে কর্নেল অলির সাক্ষাৎ ◈ ভারতে কমেছে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার, বাড়ছে যুক্তরাষ্ট্রে-সৌদি আরবে ◈ সাফ শি‌রোপা জেতা হ‌লো না বাংলা‌ে‌দে‌শের, ভার‌তের কা‌ছে টাইব্রেকারে হে‌রে গে‌লো ◈ ভারত থেকে পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা, দিলীপ ঘোষের হুঁশিয়ারি: ‘বাংলাদেশ টক্কর দিলে বাঁচবে না’ ◈ যে ‘৩ শর্তে’ সশস্ত্র বাহিনীর চাকরিচ্যুতদের বিক্ষোভ স্থগিত হয় ◈ আইসিসি’তে জয় শাহ: ক্রিকেটে শক্তির ভারসাম্য নষ্ট করছে ভারত? ◈ সাবেক সেনাসদস্যদের বিক্ষোভ নিয়ে যা জানালেন আইএসপিআর ◈ ‘ইউনিফর্ম পড়ে আসছি, আমি কাপুরুষ না’- চাকরিচ্যুত সেনাদের উদ্দেশ্যে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা (ভিডিও)

প্রকাশিত : ১৭ মে, ২০২৫, ১০:৪২ দুপুর
আপডেট : ১৯ মে, ২০২৫, ০৮:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নবীজি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সামনে সান্ডার মাংস আনা হলে যা বলেছিলেন

দেখতে অনেকটা গুইসাপের মতো, মরুভূমিতে বসবাস করা প্রাণীটি দেশে সান্ডা নামে পরিচিতি পেয়েছে। আরবদের কাছে এই সরীসৃপের মাংস উপাদেয় খাবার হিসেবে সমাদৃত। আমাদের দেশে যেহেতু সান্ডা পাওয়া যায় না—তাই তা খাওয়ার প্রচলনও নেই। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা যায়—মধ্যপ্রাচ্যের মুসলমানরা সান্ডা খাচ্ছেন। ভুনা, দোপিঁয়াজা, স্যুপ, বিরিয়ানি বা নানা রেসিপিতে তাঁরা সান্ডা খেয়ে থাকেন। এসব ভিডিও দেখার পর মনে প্রশ্ন জাগে—সান্ডা খাওয়া কি ইসলামে জায়েজ?

সান্ডা কী?

সান্ডা আরবিতে ‘দব’ (ضبّ) এবং ইংরেজিতে ইউরোমাস্টিকস (Uromastyx) নামে পরিচিত। এদের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, মোটা ও শক্তিশালী লেজ—যা কাঁটার মতো খাঁজযুক্ত। এই লেজ এরা আত্মরক্ষার জন্য ব্যবহার করে থাকে। এরা দিনের বেশির ভাগ সময় কাটায় রোদ পোহাতে। রাতের বেলা বা কোনো বিপদের সময় আশ্রয় নেয় গর্তে। অনেক দেশে সান্ডা আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় এবং বলবর্ধক খাদ্য হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।

সান্ডা কি খায়?

সান্ডা তৃণভোজী প্রাণী। মাঝে মাঝে এরা পোকামাকড়ও খেয়ে থাকে। বিশেষ করে যখন গ্রীষ্মকালে আবহাওয়া অত্যন্ত গরম থাকে এবং উদ্ভিজ্জ খাবার কম সহজলভ্য থাকে তখন তারা পোকামাকড়ও খায়। ডিম থেকে সদ্য ফোটা বাচ্চা সান্ডারা প্রথমে এদের মায়ের মল খায়।

সান্ডা ও গুইসাপের পার্থক্য

-সান্ডা ও গুইসাপ দেখতে প্রায় একই রকম হলেও এরা ভিন্ন প্রাণী।

-সান্ডা মরুভূমিতে বসবাস করে। আর গুইসাপ বসবাস করে বন ও জলাশয়ে। গুইসাপ উভচর প্রাণী।

-সান্ডার লেজ কাঁটার মতো খাঁজযুক্ত। গুইসাপের লেজ এমন নয়।

-সান্ডা তৃণভোজী প্রাণী। গুইসাপ মাংসাশী।

সান্ডার বিষয়ে হাদিসে যা আছে

ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে আমি ও খালিদ ইবনে ওয়ালিদ হজরত মায়মুনা (রা.)-এর ঘরে গেলাম। তখন ভুনা দব বা সান্ডা আনা হলো। আল্লাহর রাসুল সেদিকে হাত বাড়াচ্ছিলেন—তখন মায়মুনা (রা.)-এর ঘরে উপস্থিত এক নারী বলে উঠলেন, আপনারা আল্লাহর রাসুলকে জানান, তিনি কী খেতে যাচ্ছেন। তখন তাঁরা বললেন, হে আল্লাহর রাসুল, এটি দব। এ কথা শুনে রাসুলুল্লাহ (সা.) হাত তুলে নিলেন। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল, এটা কি হারাম? রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, না, হারাম নয়। কিন্তু এটা আমাদের এলাকার খাদ্য নয়, তাই আমি এর প্রতি আগ্রহ বোধ করি না। তখন রাসুল (সা.)-এর সামনেই খালিদ বিন ওয়ালিদ পাত্রটি টেনে নিয়ে সান্ডার মাংস খেলেন। (সহিহ্ বুখারি: ৫৫৩৭, সহিহ্ মুসলিম: ১৯৪৪)

সান্ডা খাওয়া কি জায়েজ

ইমাম শাফেয়ি, ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল ও ইমাম মালেক (রহ.)-সহ অধিকাংশ ইসলামি পণ্ডিতের মতে, দব বা সান্ডা খাওয়া হালাল। কেননা নবীজি (সা.)-এর সামনে সান্ডা খাওয়া হয়েছে—তিনি নিষেধ করেননি।

তবে হানাফি ফকিহদের মতে, সান্ডা খাওয়া অনুচিত বা মাকরুহে তাহরিমি। তাঁদের গবেষণা মতে, সান্ডা হলো খাবাইস বা নাপাক এবং অরুচিকর প্রাণীর অন্তর্ভুক্ত।

তাঁরা বলেন, যেসব হাদিসে সান্ডা খাওয়ার উল্লেখ পাওয়া যায়, সেগুলো পবিত্র কোরআনের এই আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার আগের ঘটনা—‘আর তিনি তাদের জন্য অপবিত্র বস্তুসমূহ হারাম করেছেন।’ (সুরা আরাফ: ১৫৭) সূত্র: আজকের পত্রিকা

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়