ভূঁইয়া আশিক রহমান: [২] শিক্ষাবিদ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা আমেরিকা তথা পশ্চিমারা বলছেন। ফাইনালি আমেরিকা আসলে কী করতে চায়- তা তারা পরিষ্কার করে বলছে না। তবে আমেরিকা থেকে তা অবজারভ করা হচ্ছে। নির্বাচন ভালো হওয়ার কোনো কারণ নেই। মনমানসিকতা যেখানে ভালো নয়, সেখানে চাপ দিয়ে, বাইরে থেকে কথা বলে ভালো কিছু করা যাবে বলে মনে হয় না। নির্বাচন যেমনই হোক, সাধারণ মানুষের কোনো লাভ-ক্ষতি নেই। মানুষ ভোট দিতে আগ্রহী- এটা আমি বিশ্বাস করি না। লোভ কিংবা ভয় দেখিয়ে ভোটারদের ভোটে নেওয়া হয়। সবসময় নির্বাচনে তাই-ই হচ্ছে। নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না- এটাই সত্য কথা। এখন বাংলাদেশ কীভাবে চলবে- প্রশ্ন সেটাই। নিজেদের শাসন করার ক্ষমতা নিজেরা রক্ষা না করলে বিদেশিরা এসে সেখানে কর্তৃত্ব করে।
[৩] আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, পশ্চিমা তথা আমেরিকার তৎপরতা এ দেশে বিভাজন আরও বাড়ায়। যতো বেশি বিভাজন বাড়বে, পশ্চিমারা যে ধরনের নির্বাচন চায় সেটা করা সম্ভব হবে বলে মনে হয় না। এটা কি তারা বুঝে-শুনে করেন কিনা আমি জানি না। কিন্তু আমেরিকা বা পশ্চিমাদের হস্তক্ষেপের কারণে বাংলাদেশের গণতন্ত্র মজবুত হবেÑএটা আগেও বাস্তব হয়নি। এখনো হওয়ার কথা নয়। নির্বাচন ও গণতন্ত্র এ দেশের জনগণের ওপর ছেড়ে দেওয়াই ভালো।
[৪] নির্বাচনী পরিবেশ কতোটুকু তৈরি হয়েছে তা দেখার জন্য নির্বাচনের দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তবে বাংলাদেশ রাতারাতি নরওয়ে, সুইডেনের মতো হয়ে যাবেÑ সেটা আশা করাটাও ঠিক নয়। বিএনপি নির্বাচনে এলে একভাবে রাজনীতি মাঠ তৈরি হবে, না আসলে অন্যভাবে তৈরি হবে। কিছু কিছু আভাস এরই মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। বিভিন্ন ছোট-বড় দলের কথা শোনা যাচ্ছে, যারা নির্বাচনে যাবে। তফসিল ঘোষণা হোক। বিএনপি নির্বাচনে না এলে সংবিধান নির্বাচন হয়ে যাবে। সরকার ও সরকারি দলও জানে- এবারের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটা আন্তর্জাতিক এটেনশন আছে। তারাও নিশ্চয়ই চাইবেন- নির্বাচনে জনগণের স্বতস্ফূর্ততা যেন থাকে।
[৫] ভোট দেওয়া বাধ্যতামূলক কিছু নয় বাংলাদেশে। এরকম আরও অনেক দেশ আছে বিশ্বে। আবার অস্ট্রেলিয়াসহ অনেক দেশ আছে যেখানে ভোট দেওয়া বাধ্যতামূলক, যদি অস্ট্রেলীয় হন। পশ্চিমা দেশগুলো সংলাপের কথা বলছে, কিন্তু সেটা হওয়ার কথা নয়। কারণ বাংলাদেশে সংলাপ কখনোই সফল হয়নি।
এভিআর/এইচএ
আপনার মতামত লিখুন :