শিরোনাম
◈ একের পর এক নিষেধাজ্ঞা, ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক কোন দিকে? নানা প্রশ্ন ◈ স্থলপথে কেন বাংলাদেশি পণ্যে নিষেধাজ্ঞা, জানাল ভারত ◈ খালেদা জিয়ার সঙ্গে কর্নেল অলির সাক্ষাৎ ◈ ভারতে কমেছে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার, বাড়ছে যুক্তরাষ্ট্রে-সৌদি আরবে ◈ সাফ শি‌রোপা জেতা হ‌লো না বাংলা‌ে‌দে‌শের, ভার‌তের কা‌ছে টাইব্রেকারে হে‌রে গে‌লো ◈ ভারত থেকে পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা, দিলীপ ঘোষের হুঁশিয়ারি: ‘বাংলাদেশ টক্কর দিলে বাঁচবে না’ ◈ যে ‘৩ শর্তে’ সশস্ত্র বাহিনীর চাকরিচ্যুতদের বিক্ষোভ স্থগিত হয় ◈ আইসিসি’তে জয় শাহ: ক্রিকেটে শক্তির ভারসাম্য নষ্ট করছে ভারত? ◈ সাবেক সেনাসদস্যদের বিক্ষোভ নিয়ে যা জানালেন আইএসপিআর ◈ ‘ইউনিফর্ম পড়ে আসছি, আমি কাপুরুষ না’- চাকরিচ্যুত সেনাদের উদ্দেশ্যে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা (ভিডিও)

প্রকাশিত : ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ০১:৫৯ দুপুর
আপডেট : ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ১২:৪৩ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দেশের কোথায় বিধ্বংসী পরমাণু অস্ত্র লুকিয়ে রেখেছে পাকিস্তান? 

এম খান: [২] অর্থনীতি সামাল দিতে যখন পাকিস্তান সরকার হিমশিম খাচ্ছে, তখনও কিন্তু সামরিক ক্ষেত্রে তাদের তৎপরতা থেমে নেই। বরং আরও বেশি করে পারমাণবিক অস্ত্রভান্ডার সুরক্ষিত করছে ইসলামাবাদ।

[৩] ভারতের অনেক পরে পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্র হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। কিন্তু তার পর থেকে ক্রমাগত এই বিধ্বংসী অস্ত্রের সংখ্যা বাড়িয়ে চলেছে ইসলামাবাদ। তাদের কাছে সংরক্ষিত পরমাণু অস্ত্রের পরিমাণ ভারতের চেয়েও বেশি।

[৪] ফেডারেশন অফ আমেরিকান সায়েনটিস্টসের রিপোর্ট উদ্ধৃত করে টাইমস্ অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, পাকিস্তান পরমাণু অস্ত্র তৈরি করেই চলেছে। এই অস্ত্র নির্মাণ সংক্রান্ত শিল্পও পাকিস্তানে বিস্তার লাভ করেছে।

[৫] আমেরিকা কৃত্রিম উপগ্রহ চিত্রের মাধ্যমে জানতে পেরেছে, বেশ কয়েকটি নতুন লঞ্চার এবং অন্যান্য পরমাণু অস্ত্র পরিষেবা পাকিস্তানে চালু হয়েছে। গোয়েন্দাদের অনুমান, দেশটির হাতে এই মুহূর্তে শুধু পরমাণু অস্ত্রই রয়েছে অন্তত ১৭০টি।

[৬] আমেরিকার বিজ্ঞানীদের রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তান আগামী দিনে প্রতি বছর ১৪ থেকে ২৭টি নতুন পরমাণু অস্ত্র তৈরি করার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে। দেশের অর্থনৈতিক সঙ্কট এই সামরিক তৎপরতায় প্রভাব ফেলে না।

[৭] পাকিস্তানে পরমাণু অস্ত্র বহনের জন্য মূলত দু’টি বিশেষ ধরনের বিমান ব্যবহার করা হয়। সেগুলির নাম মিরাজ ৩ এবং মিরাজ ৫ ফাইটার স্কোয়াড্রন।

[৮] পাকিস্তানি বিমানবাহিনীর মিরাজ যুদ্ধবিমানগুলি দু’টি সেনাঘাঁটিতে রাখা হয়। আমেরিকার গোয়েন্দাদের অনুমান, সেখানেই লুকিয়ে আছে দেশের পরমাণু অস্ত্রের ভান্ডার।

[৯] করাচিতে পাক সেনার একটি বিমানঘাঁটি রয়েছে। সেই মসরুর বিমানঘাঁটিতে রয়েছে তিনটি মিরাজ স্কোয়াড্রন, সপ্তম স্কোয়াড্রন ‘ব্যান্ডিটস’, অষ্টম স্কোয়াড্রন ‘হায়দারস্’ এবং ২২ তম স্কোয়াড্রন ‘গাজিজ’।

[১০] মসরুর বিমানঘাঁটি থেকে পাঁচ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে পাক সেনার সম্ভাব্য একটি পরমাণু অস্ত্রভান্ডার রয়েছে বলে অনুমান করা হয়। এই অঞ্চলে পাক পরমাণু অস্ত্রের বড় অংশ গচ্ছিত রয়েছে।

[১১] পাকিস্তানের কাছে এই মুহূর্তে পরমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। সেগুলির মধ্যে আবদালি (এইচএএফটি-২), গাজনবি (এইচএএফটি-৩), শাহিন-আই/এ (এইচএএফটি-৪), এনএএসআর (এইচএএফটি-৯) স্বল্প দূরত্বের। ঘৌরি (এইচএএফটি-৫) এবং শাহিন-২ (এইচএএফটি-৬) মধ্যম দূরত্বের।

[১২] এ ছাড়া আরও দু’টি পরমাণু অস্ত্রে সজ্জিত ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করছে পাকিস্তান। সেগুলি শাহিন-৩ এবং এমআইআর বেদ আবদিল। দু’টিই মধ্যম দূরত্বের।

[১৩] কৃত্রিম উপগ্রহের নজরদারির মাধ্যমে আমেরিকা পাকিস্তানের অন্তত পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্রঘাঁটির সন্ধান পেয়েছে। সেখানেও পরমাণু অস্ত্রের চালাচালি হতে পারে। এই পাঁচ ক্ষেপণাস্ত্রঘাঁটি রয়েছে আক্রো, গুজরানওয়ালা, খুজদার, পানো আকিল এবং সারগোধা শহরে।

আইকে/এইচএ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়