শিরোনাম
◈ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রয়োগ বন্ধের আহ্বান জানালেন জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ◈ আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে চেন্নাইকে হারিয়ে গুজরাটের জয় ◈ পাকিস্তানে যাকাত নিতে এসে পদদলিত হয়ে ১১ জনের মৃত্যু ◈ আইপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দর্শক মাতালেন অরিজিৎ সিং ◈ মহান স্বাধীনতাকে হেয় করে প্রথম আলোর প্রকাশিত প্রতিবেদনের নিন্দা ◈ শনিবার আওয়ামী লীগের যৌথ সভা  ◈ আইনের শাসন না থাকায় কারো জীবনের নিরাপত্তা নেই: মির্জা ফখরুল ◈ বিএনপির ইফতার মাহফিলে সাংবাদিকদের ওপর হামলা ◈ সরকার নির্ধারিত দামেই নিত্যপণ্য বিক্রি হচ্ছে বলে দাবি বাণিজ্যমন্ত্রীর ◈ কিছু পত্রিকা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নেগেটিভ রিপোর্ট করে: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৮ মার্চ, ২০২৩, ০৭:১৫ বিকাল
আপডেট : ১৮ মার্চ, ২০২৩, ০৭:১৫ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

৪৮ বছরের লড়াইয়ের পর শিশু পুত্রের দেহাবশেষ পেলো মা

মিহিমা আফরোজ: ১৯৭৫ সালে স্কটল্যান্ডের এডিনবার্গের এক হাসপাতালে লিডিয়া রিড তার ছেলে সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন। কিন্তু জন্মের এক সপ্তাহ পর হাসপাতালে রিডের ছেলে গ্যারি মারা যায়। লিডিয়া দাবি করেন, তিনি যখন মৃত্যুর কয়েকদিন পর গ্যারির লাশ দেখতে যান, তখন তাকে অন্য একটি শিশুর লাশ দেখানো হয়। এমনকি তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে গ্যারির ময়নাতদন্ত করেছিল হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ। অবশেষে দীর্ঘ ৪৮ বছর পর লিডিয়া রিড তার সন্তানের দেহাবশেষ পেয়েছেন। বিবিসি, টাইমস অব ইন্ডিয়া

ময়নাতদন্তের নামে ছেলের শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ আটকে রাখা হয়েছে বলে সন্দেহ করেন মা লিডিয়া। তার সন্দেহ সত্য ছিল। কয়েক বছর পর তিনি বুঝতে পারলেন, তার ছেলের শুধু অঙ্গ-প্রত্যঙ্গই রেখে দেওয়া হয়নি। পুরো শরীরটিই রেখে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করতে তিনি আদালতে হাজির হন। আদালতের নির্দেশে ২০১৭ সালে গ্যারির কবর উত্তোলন করা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বিশেষজ্ঞরা জানান, ওই কবরে কখনো কোনো মানুষের লাশ ছিল না। এরপরে তিনি গ্যারির দেহাবশেষ পাওয়ার জন্য লড়াই শুরু করেন, যা হাসপাতালে পরীক্ষার জন্য রাখা হয়েছিল। 

এডিনবার্গ রয়্যাল ইনফার্মারি অবশেষে ২০২৩ সালের মার্চ মাসে তার ছেলের অঙ্গ ও তার শরীরের বাকি অংশ ফিরিয়ে দিতে সম্মত হয়। স্কটল্যান্ডের হাসপাতালগুলো পরিবারকে না জানিয়ে গবেষণার জন্য কীভাবে বেআইনিভাবে মৃত শিশুদের দেহ সংরক্ষণ এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কেটে রেখে দিত তা লিডিয়া রিডের কারণে প্রকাশ্যে আসে। 

১৯৭০ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত স্কটল্যান্ডের হাসপাতালগুলো প্রায় ছয় হাজার অঙ্গ ও টিস্যু সংরক্ষণ করেছিল। ইংল্যান্ডের লিভারপুলের একটি হাসপাতালে অবৈধভাবে অঙ্গ দান করার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর স্কটল্যান্ডও স্বীকার করেছে, তারা এই কাজ করেছে। 

এমএ/এএ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়