শিরোনাম
◈ মার্কিন প্রেসিডেন্টের মুখ থেকে বর্ণবাদের দুর্গন্ধ, ইলহান ওমরকে আবর্জনা বললেন ‌ডোনাল্ড ট্রাম্প ◈ বেগম খালেদা জিয়ার জন্য সারাদেশে দোয়া ও প্রার্থনার আহ্বান জানিয়েছে সরকার  ◈ পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা এনওসি পাচ্ছে না, বিপাকে পড়তে পা‌রে বিপিএল  ◈ বাফুফে ৪ কোটি টাকার বেশি আয় কর‌লো এশিয়ান কাপ বাছাই’র তিন ম্যাচ থেকে ◈ এবার ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের সব কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে রিট ◈ রাজনী‌তি‌তে চল‌ছে সমীকরণ, জোটে যাওয়া নিয়ে এনসিপিতে নানা মত ◈ বিপিএলে নোয়াখালী‌তে খেল‌বেন মোহাম্মদ নবি, সিলেটে সালমান  ◈ বাংলাদেশে পথকুকুর বা বিড়াল হত্যায় কী শাস্তি রয়েছে? ◈ মে‌ক্সি‌কোর বিশ্বকাপ স্টেডিয়ামের পাশে শত শত ব্যাগে মানুষের দেহাবশেষ উদ্ধার ◈ চি‌কিৎসাধীন খালেদা জিয়ার অবস্থা অপরিবর্তিত, তবে ওষুধে রেসপন্স করছেন

প্রকাশিত : ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ০৪:৪০ দুপুর
আপডেট : ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ০৪:৪০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ইরাকে শীতকালীন বৃষ্টিতে জেগে উঠা জলাভূমি ঘিরে নতুন করে বাঁচার স্বপ্নে স্থানীয়রা 

ইরাকে শীতকালীন বৃষ্টিতে জেগে উঠা জলাভূমি

জাফর খান: বেশ কয়েক বছর খরার পর ইরাকে নতুন করে জেগে উঠেছে বহু প্রত্যাশিত জলাভূমি। ইউনেস্কো  ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তালিকায়তেও নান্দনিক স্থান হিসেবে এরই মধ্যে তালিকায় উঠে এসেছে এ অঞ্চলটির নাম। সম্প্রতি মেসোপটেমিয়ানের তীর ঘেষে কালো মহিষের এক দল জলাধারে  পানি পান করছে এমন দৃশ্যও চোখে পড়েছে। যা কিনা স্থানীয় কৃষকদের মনে নতুন করে বেচে থাকার স্বপ্ন জুগিয়েছে। এর আগে গ্রীষ্মকালীন সময়ে  খরা সৃষ্টির ফলে দেশটির তাইগ্রিস ও ইউফ্রেতিসের জল হ্রাস পেতে শুরু  করে।তবে এই খরার জন্য ইরান ও তুরষ্ক কর্তৃক বাধ নির্মাণকে দায়ী করে আসছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।শীতকালীন বৃষ্টিতে এরইমধ্যে ইরান সীমান্তবর্তী চিবাইশ ও ধিকার প্রদেশের হুওয়াইজাতে দেখা গেছে সবুজের সমারোহ। আল-জাজিরা

চিবাইশের এক স্থানীয় মহিষ পালক রহিম দাউদ তার সুখকর প্রতিক্রিয়ায় জানায়, নদীর পানি বাড়াতে এখন তারা নৌকাও চালাতে পারছে। অক্টোবরে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে আল-জাজিরা জানিয়েছে, গত ছয় মাসে  খরার কারনে প্রায় ১২০০ পরিবার ‘ধিকার’ ছেড়ে চলে যায়। সেসময় দক্ষিন ইরাকের অঞ্চলে প্রায় ২০০০ মহিষের মৃত্যু হয়। 

এর আগে ২০২২ সালে  ইরাকে টানা তিন বছর ধরে চলা খরাকালীন সময় তাপমাত্রা গিয়ে পৌছে ৫০ ডিগ্রী সেলসিয়াস (১২২২ ডিগ্রী ফারেনহাইট)। স্থানীয় সরকারের এক কৃষি কেন্দ্র প্রধান হুসেইন আল কেনানী জানিয়েছেন, ক্রমশ অবস্থার উন্নতি হচ্ছে।নদী ও খালের এই পানি সংরক্ষনের মধ্যদিয়ে জলাভূমি গুলোকে আবারও পুনজাগরিত  করা হচ্ছে।

গত জুলাইয়ে আকস্মিকভাবে পানির স্তর কমে যাবার ফলে ৬০০০ পরিবার সহ অসংখ্য গবাদি পশু  ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে এক পরিসংখ্যনে জানিয়েছে United Nations Food and Agriculture Organization (FAO)। তবে দীর্ঘকালীন সময়ের  জন্য নদী তীরবর্তী বসবাসরত মানুষের ভাগ্যে কি নেমে আসতে পারে সে বিষয়ে শংকা প্রকাশ করেছেন দেশটির পরিবেশ বিজ্ঞানী জাসিম –আল-আসাদী। তিনি এক প্রতিক্রিয়ায় জানান,’’ তুরষ্ক সীমান্ত ঘেষে পর্যাপ্ত পানি না আসা ও পানি সংরক্ষনের ট্যাংক না থাকায় এই অঞ্চলে জলাভূমি গুলোকে রক্ষা করা কিছুটা দুষ্কর হতে পারে। যা কিনা আগামী গ্রীষ্মে আবারও শকট তৈরি করতে পারে‘’

এত কিছুর পরও ভালভাবে বেচে থাকার জন্য অবিরত সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা এই নতুন করে জেগে উঠা জলাভূমিকে কেন্দ্র করে। 

জেকে/এসএ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়