মনিরুল ইসলাম: প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে জানানো হয়, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনপ শান্তিরক্ষী প্রেরণের দিক থেকে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান প্রথম।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মিনহাজ, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ক্যাপ্টেন জিল্লুর রহিম, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এয়ার কমডোর রুসাদ পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনীর কার্যক্রম বৈঠকে উপস্থাপন করেন।
তাদের প্রেজেন্টেশনে উল্লেখ করা হয়, ১৯৮৮ সালে ইরাক-ইরান সামরিক মিশনে ১৫জন মিলিটারি পর্যবেক্ষক নিয়ে জাতিসংঘের অধীনে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। এ পর্যন্ত ৪০টি দেশে ৫৪টি শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ১ লাখ ৮৩ হাজার ৬৭৯ জন সদস্য অংশ নেন। বর্তমানে বিশ্বের ৮টি দেশের ৯টি শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ৬ হাজার ৮৩২ জন সদস্য শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নিয়োজিত রয়েছেন। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ৭০১ জন নারী শান্তিরক্ষী সাফল্যের সাথে তাদের দায়িত্ব সম্পন্ন করেছেন এবং বর্তমানে ৩৭২ জন নারী শান্তিরক্ষী শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে কর্মরত আছেন। বিশ্ব শান্তিরক্ষায় এ পর্যন্ত বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর মোট ১৩৯ জন জীবন বিসর্জন দিয়েছেন এবং ২৪২ জন আহত হয়েছেন।
বর্তমানে শান্তিরক্ষী প্রেরণের দিক থেকে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ১ম। ২০২০ সালে ১৩তম বারের মত বাংলাদেশ জাতিসংঘে শীর্ষ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
বুধবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির ২০তম বৈঠকে উপস্থাপিত কার্যবিবরণী থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। ১৯তম বৈঠকের কার্যবিবরণীতে এই তথ্য রয়েছে। বুধবারের বৈঠকে এই কার্যবিবরণী গৃহীত হয়।
কমিটির সভাপতি সুবিদ আলী ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটি সদস্য মোঃ মোতাহার হোসেন, মোঃ নাসির উদ্দিন, মোঃ মহিবুবুর রহমান এবং বেগম নাহিদ ইজাহার খান অংশ নেন। বৈঠকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালযের সিনিয়র সচিব, সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, প্রতিরক্ষা ক্রয় মহাপরিদপ্তরের ডিজি উপস্থিত ছিলেন।