পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনস (পিআইএ) ব্যবস্থাপনা ও বিমান প্রকৌশলীদের মধ্যে বিরোধের কারণে ফ্লাইট কার্যক্রম প্রায় বন্ধ। অসন্তুষ্ট প্রকৌশলীরা বিমানের এয়ারওয়ার্থিনেস ক্লিয়ারেন্স জারি করা বন্ধ করেছেন। ফলে বিমানগুলো চলাচল স্থগিত রয়েছে। দেশের যাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন জিও নিউজ।
সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে খবরে বলা হয়, সোমবার সন্ধ্যা ৮টা থেকে কোন আন্তর্জাতিক ফ্লাইট নির্ধারিত সময়ে ছাড়তে পারেনি। কমপক্ষে ৫৫টি ফ্লাইট বিঘ্নিত হয়েছে। এর মধ্যে করাচি, লাহোর ও ইসলামাবাদের বিমানবন্দর থেকে পাঁচটি বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া, কমপক্ষে ১২টি আন্তর্জাতিক ফ্লাইটও প্রভাবিত হয়েছে। এর মধ্যে আছেন অনেক উমরা যাত্রী। পাকিস্তান এয়ারক্রাফট ইঞ্জিনিয়ার্স সোসাইটি (এসএইপি) জানিয়েছে, তাদের সদস্যরা এয়ারওয়ার্থিনেস ক্লিয়ারেন্স জারি করা বন্ধ রাখবেন যতক্ষণ না এয়ারলাইনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার মনোভাব পরিবর্তন করেন।
সূত্র অনুযায়ী, প্রকৌশলীরা প্রায় আড়াই মাস ধরে কালো বাহু ব্যান্ড পরে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছেন। তারা অভিযোগ করেছেন, ৮ বছর ধরে বেতন বৃদ্ধি হয়নি এবং যন্ত্রাংশের তীব্র অভাব রয়েছে। এছাড়াও, বিমান পরিচালনায় চাপ দেয়া হচ্ছে, যা বিমান নিয়ন্ত্রণ বিধি লঙ্ঘন করছে। এসএইপি বলেছে, তারা যাত্রীদের জীবন ঝুঁকিতে রাখতে পারবেন না। জবাবে জাতীয় এয়ারলাইনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেছেন, যেকোন প্রকৌশলী যদি ফ্লাইট কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটায় তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, প্রকৌশলীদের সংগঠনের কোনো আইনি স্বীকৃতি নেই এবং মূল উদ্দেশ্য হলো এয়ারলাইনের প্রাইভেটাইজেশন ব্যাহত করা। তিনি বলেন, নিরাপত্তা অভিযোগের আড়ালে চাকরি ত্যাগ করা একটি পরিকল্পিত কার্যক্রম, যা যাত্রীদের অসুবিধা এবং প্রশাসনের উপর অনৈতিক চাপ সৃষ্টি করছে। পাকিস্তান এসেনশিয়াল সার্ভিসেস (মেইনটেন্যান্স) অ্যাক্ট, ১৯৫২ অনুযায়ী, জাতীয় এয়ারলাইনে হরতাল বা কর্মবিরতি অবৈধ, যারা এতে অংশ নেবে তাদের আইনি শাস্তি হবে। সিইও আরও বলেছেন, অন্যান্য এয়ারলাইনের প্রকৌশল সমর্থন আয়োজন করা হচ্ছে এবং শিগগিরই ফ্লাইট কার্যক্রম পুনরায় শুরু হবে।
সূত্র: মানবজমিন