যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে ভারতীয়র মাথা বিচ্ছিন্ন করেছেন তারই সহকর্মী। বীভৎস হত্যাকাণ্ডের শিকার ওই ব্যক্তির নাম চন্দ্র নাগমল্লাইয়া। তিনি ভারতের কর্ণাটকের বাসিন্দা ছিলেন। একটি মোটেলে ওয়াশিং মেশিন নিয়ে ঝগড়ায় জড়িয়ে এমন হত্যাকাণ্ড ঘটে।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) চন্দ্র নাগমল্লাইয়া তার সহকর্মী ইয়োরদানিস কোবস-মার্টিনেজকে নষ্ট ওয়াশিং মেশিন ব্যবহার না করার কথা বলেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি চাপাতি দিয়ে ভারতীয় ওই ব্যক্তিকে একাধিকবার আঘাত করেন। এ সময় নাগমল্লাইয়া দৌড়ে পালিয়ে অফিসের সামনে পার্কিং করা গাড়ির দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ঘটনাস্থলে ভারতীয় ওই ব্যক্তির স্ত্রী এবং ১৮ বছর বয়সী ছেলে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তারা দৌড়ে এসে কোবস-মাটিনেজকে থামানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু কোবস তাদের ধাক্কা দিয়ে দূরে সরিয়ে দিয়ে নাগমল্লাইয়ার মাথা ধড় থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বীভৎস ওই ভিডিওতে দেখা যায়, কোবস মার্টিনেজ ভারতীয় নাগরিকের কাটা মাথা নিয়ে ডাস্টবিনের দিকে যাচ্ছিলেন। পরে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ভারতীয় হাইকমিশন এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে। কর্মক্ষেত্রে নাগমল্লাইয়াকে হত্যার ঘটনা নিষ্ঠুর বলে অভিহিত করেছে।
এক্স পোস্টে ভারতীয় হাইকমিশন জানিয়েছে, তারা ভুক্তভোগী পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে এবং প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতার আশ্বাস দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির যাতে কঠোর শান্তি হয় তার জন্য যাবতীয় চেষ্টা চালানোর ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এর আগেও মার্টিনেজের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছিল। হিউস্টনে তার বিরুদ্ধে নির্যাতন ও চুরির দায়ে একাধিক অপরাধের অভিযোগ রয়েছে।