স্বামীকে ইনস্টাগ্রামে তালাকের এক বছর পর দুবাই–শাসকের মেয়ে
দুবাইয়ের শাসকের মেয়ে শেখা মাহরা মোহাম্মদ রাশেদ আল মাকতুম মার্কিন গায়ক ফ্রেঞ্চ মন্টানার সঙ্গে বাগ্দান সম্পন্ন করেছেন। মন্টানার এক প্রতিনিধি গতকাল বুধবার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিনোদন ও তারকাদের খবরবিষয়ক ওয়েবসাইট টিএমজেডকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর: নিউইয়র্ক পোস্ট
মরক্কোর বংশোদ্ভূত এই মার্কিন র্যাপারের প্রতিনিধি টিএমজেডকে বলেছেন, গত জুনে প্যারিস ফ্যাশন সপ্তাহের সময় মন্টানা আনুষ্ঠানিকভাবে মাহরাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। তবে কবে তাঁরা পাকাপাকিভাবে বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন, তা নিয়ে কিছু জানা যায়নি।
মাহরা দুবাইয়ের শাসক ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন রাশেদ আল মাকতুমের মেয়ে। তিনি যুক্তরাজ্যের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে স্নাতক করেছেন।
এ ছাড়া মোহাম্মদ বিন রাশেদ গভর্নমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন থেকেও মাহরা একটি বিশেষ ডিগ্রি অর্জন করেছেন। মোহাম্মদ বিন রাশেদ গভর্নমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন দুবাইভিত্তিক একটি গবেষণা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
মাহরা ২০২৩ সালের মে মাসে শেখ মানা বিন মোহাম্মদ বিন রাশেদ বিন মানা আল মাকতুমকে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই তাঁদের বিচ্ছেদ হয়। সংক্ষিপ্ত সময়ের এ বিয়েতে তাঁদের এক কন্যাসন্তান রয়েছে।
অন্য মেয়েদের সঙ্গে সময় কাটানোর অভিযোগে গত বছর ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে শেখ মানাকে তালাকের ঘোষণা দিয়েছিলেন মাহরা। তাঁর এই পোস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হইচই ফেলে দিয়েছিল।
ইনস্টাগ্রামের সেই পোস্টে মাহরা লিখেছিলেন, ‘প্রিয় স্বামী, তুমি এখন হয়তো অন্য সঙ্গীদের সঙ্গে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছ। এ সময়ে আমি আমাদের বিচ্ছেদ ঘোষণা দিচ্ছি। আমি তোমাকে তালাক দিলাম, তালাক দিলাম, তালাক দিলাম। নিজের খেয়াল রেখো। তোমার সাবেক স্ত্রী।’
গত বছরের জুলাইয়ে বিচ্ছেদের পর নিজের ব্র্যান্ড মাহরা এম-ওয়ান থেকে ‘ডিভোর্স’ নামের একটি পারফিউম বাজারে আনেন। এটি ভালো ব্যবসা করছে।
বিচ্ছেদের কয়েক মাসের মাথায় মাহরা (৩১) ও মন্টানার (৪০) প্রেমের গুঞ্জন ছড়াতে থাকে। ২০২৪ সালের শেষের দিকে মন্টানাকে দুবাই ঘুরিয়ে দেখান মাহরা এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একসঙ্গে তোলা ছবি পোস্ট করেন।
এর পর থেকে তাঁদের দুবাই ও মরক্কোয় একাধিকবার একসঙ্গে দেখা গেছে। কখনো আড়ম্বরপূর্ণ তাঁদের রেস্তোরাঁয় খাবার খেতে, কখনো অনিন্দ্যসুন্দর কোনো মসজিদ পরিদর্শন করতে, কখনোবা প্যারিসের রাস্তায় হেঁটে বেড়াতে দেখা গেছে। তবে চলতি বছর প্যারিসের ফ্যাশন শোতে হাত ধরে হাঁটার আগপর্যন্ত তাঁদের প্রেমের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ফ্রেঞ্চ মন্টানার আসল নাম করিম খারবুশ। মরক্কোয় জন্ম ও বেড়ে ওঠা খারবুশ ১৩ বছর বয়সে পরিবারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। ২০০০ সালের শুরুতে ‘ইয়াং ফ্রেঞ্চ’ নামে আনুষ্ঠানিক সংগীতজীবন শুরু করেন। ‘আনফরগেটেবল’, ‘নো স্টাইলিস্ট’ ও ‘ওয়েলকাম টু দ্য পার্টি’র মতো বিখ্যাত গানের এই জনক ‘ফ্রেঞ্চ মন্টানা’ নামেই খ্যাতিলাভ করেছেন।
মন্টানা দাতব্য কাজের জন্যও সুনাম কুড়িয়েছেন। উগান্ডা ও উত্তর আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা প্রকল্পে তিনি তহবিল দিয়েছেন। উদ্যোক্তা ও ডিজাইনার নাদিন খারবুশের সঙ্গে ২০০৭ সালে বিয়ে করেছিলেন মন্টানা। ২০১৪ সালে তাঁরা আলাদা হয়ে যান। তাঁদের ক্রুজ খারবুশ (১৬) নামের এক পুত্রসন্তান রয়েছে। অনুবাদ: প্রথম আলো।