শিরোনাম
◈ একের পর এক নিষেধাজ্ঞা, ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক কোন দিকে? নানা প্রশ্ন ◈ স্থলপথে কেন বাংলাদেশি পণ্যে নিষেধাজ্ঞা, জানাল ভারত ◈ খালেদা জিয়ার সঙ্গে কর্নেল অলির সাক্ষাৎ ◈ ভারতে কমেছে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার, বাড়ছে যুক্তরাষ্ট্রে-সৌদি আরবে ◈ সাফ শি‌রোপা জেতা হ‌লো না বাংলা‌ে‌দে‌শের, ভার‌তের কা‌ছে টাইব্রেকারে হে‌রে গে‌লো ◈ ভারত থেকে পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা, দিলীপ ঘোষের হুঁশিয়ারি: ‘বাংলাদেশ টক্কর দিলে বাঁচবে না’ ◈ যে ‘৩ শর্তে’ সশস্ত্র বাহিনীর চাকরিচ্যুতদের বিক্ষোভ স্থগিত হয় ◈ আইসিসি’তে জয় শাহ: ক্রিকেটে শক্তির ভারসাম্য নষ্ট করছে ভারত? ◈ সাবেক সেনাসদস্যদের বিক্ষোভ নিয়ে যা জানালেন আইএসপিআর ◈ ‘ইউনিফর্ম পড়ে আসছি, আমি কাপুরুষ না’- চাকরিচ্যুত সেনাদের উদ্দেশ্যে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা (ভিডিও)

প্রকাশিত : ১৮ মে, ২০২৫, ০৫:৫১ বিকাল
আপডেট : ১৯ মে, ২০২৫, ০৪:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শিক্ষিকার লালসার শিকার ১১ বছর বয়সী ছাত্র

রাশিয়ায় একজন জনপ্রিয় শিক্ষিকার যৌন লালসার শিকার হয়েছে তারই ১১ বছর বয়সী এক ছাত্র। ওই শিক্ষিকার নাম আনা প্লাকসিউক। বয়স ২৭ বছর। তিনি বিবাহিতা। একটি ইলেমেন্টারি স্কুলের শিক্ষিকা। কিন্তু তিনি নৈতিকতাকে বিসর্জন দিয়ে অপ্রাপ্ত বয়স্ক ওই ছাত্রকে যৌনতার ফাঁদে ফেলেন। ওই ছাত্রকে বাধ্য করেন আনার শরীরের স্পর্শকাতর অঙ্গগুলো স্পর্শ করতে। পাশাপাশি নিজের অশালীন ও নগ্ন ছবি পাঠাতে থাকেন ওই ছাত্রকে। একই সঙ্গে ওই ছাত্রকে তার একই রকম ছবি শিক্ষিকার কাছে পাঠাতে বলেন। বিষয়টি গোপন থাকেনি। উঠেছে রাশিয়ার লেনিনগ্রাড অঞ্চলের এক কোর্টে। বিলম্বে পাওয়া এ খবর ১৫ই মে প্রকাশ করেছে অনলাইন নিউ ইয়র্ক পোস্ট। 

আদালতের ডকুমেন্টে বলা হয়েছে, ওই যুবতী শিক্ষিকা তার ছাত্রকে বাধ্য করেন তার ঠোঁটে চুমু দিতে। ক্লাস শেষ হয়ে গেলেও ওই ছাত্রকে কৌশলে ক্লাসে অপেক্ষায় রাখতেন। ঘটনার সময় ওই শিক্ষিকার বয়স ছিল ২৫ বছর। তার বিরুদ্ধে আদালতের অভিযোগে বলা হয়েছে, এর আগেও ১৪ বছর বয়সের কম বয়সী ওই বালকের বিরুদ্ধে যৌন অপরাধ করার কারণে তাকে ৯ বছরের জেল দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তাকে শিক্ষকতায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অথচ এই শিক্ষিকা খুব জনপ্রিয় ছিলেন। তবে নির্যাতিত বালকের মা ছেলের মোবাইলে রগরগে এসএমএস দেখতে পান। ছেলের হোয়াটসঅ্যাপে ওই শিক্ষিকার সঙ্গে তার ছেলের অন্তরঙ্গ দৃশ্যের ছবি দেখতে পান। ফলে এই গোপন তখন প্রকাশ হয়ে পড়ে। ফলে তিনি এই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে তার ছেলেকে বিপথগামী করা, শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনসহ এন্তার অভিযোগ করেন। 

সেন্ট পিটার্সবার্গের উত্তরাঞ্চলে তোকসোভো শহরে ওই স্কুলের প্রিন্সিপালের কাছে তিনি রিপোর্ট করেন। কিন্তু শিক্ষিকা উল্টো ওই বালককে দায়ী করতে থাকেন। বলেন, ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ওই বালকই তাকে একাজে উদ্বুদ্ধ করেছে। এরপর তাদের সম্পর্ক প্রকাশ হওয়ার আগে চার মাস তাদের সম্পর্ক স্থায়ী হয়। শিক্ষিকা আনা প্লাকসিউক অভিযোগ করেন, ওই বালকই তার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য বিভিন্ন রকম সংকেত দিতো। তার ভীষণ প্রশংসা করতো।

ওদিকে এই শিক্ষিকাকে গ্রেপ্তারের পর কিছুদিন স্কুলে যায়নি ওই বালক। এ খবর প্রকাশ পাওয়ার পর অনেক পিতামাতা হতাশ হয়ে পড়েন। তাদের অনেকেই অভিযোগ বিশ্বাস করতে পারেননি। কারণ, এক অভিভাবক তাকে একজন ‘স্বপ্নময় শিক্ষিকা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তার যে অন্ধকার একটি দিক আছে এটা কোনো সহকর্মীও ঠাহর করতে পারেননি। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে গ্রেপ্তারের পর এক বছর প্রি-ট্রায়ালের অধীনে কাটিয়েছেন তিনি। স্ত্রীর এমন আচরণ নিয়ে তার স্বামী কোনো মন্তব্য করেননি। এখনও তারা একত্রে আছেন কিনা তা পরিষ্কার জানা যায়নি।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়