শিরোনাম
◈ একের পর এক নিষেধাজ্ঞা, ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক কোন দিকে? নানা প্রশ্ন ◈ স্থলপথে কেন বাংলাদেশি পণ্যে নিষেধাজ্ঞা, জানাল ভারত ◈ খালেদা জিয়ার সঙ্গে কর্নেল অলির সাক্ষাৎ ◈ ভারতে কমেছে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার, বাড়ছে যুক্তরাষ্ট্রে-সৌদি আরবে ◈ সাফ শি‌রোপা জেতা হ‌লো না বাংলা‌ে‌দে‌শের, ভার‌তের কা‌ছে টাইব্রেকারে হে‌রে গে‌লো ◈ ভারত থেকে পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা, দিলীপ ঘোষের হুঁশিয়ারি: ‘বাংলাদেশ টক্কর দিলে বাঁচবে না’ ◈ যে ‘৩ শর্তে’ সশস্ত্র বাহিনীর চাকরিচ্যুতদের বিক্ষোভ স্থগিত হয় ◈ আইসিসি’তে জয় শাহ: ক্রিকেটে শক্তির ভারসাম্য নষ্ট করছে ভারত? ◈ সাবেক সেনাসদস্যদের বিক্ষোভ নিয়ে যা জানালেন আইএসপিআর ◈ ‘ইউনিফর্ম পড়ে আসছি, আমি কাপুরুষ না’- চাকরিচ্যুত সেনাদের উদ্দেশ্যে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা (ভিডিও)

প্রকাশিত : ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৯:৩০ রাত
আপডেট : ১৬ মে, ২০২৫, ০৫:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

তিব্বতে বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ বাঁধ নির্মাণ করবে চীন, ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ভারত ও বাংলাদেশ

তিব্বত মালভূমির পূর্ব দিকে বেইজিংয়ের এই উচ্চাভিলাষী প্রকল্পের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বাংলাদেশ ও ভারতের লাখ লাখ মানুষ। ছবি: সংগৃহীত।

চীনের তিব্বতে যমুনা ও ব্রহ্মপুত্রের উৎপত্তিস্থলের কাছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ বাঁধ নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে চীন। তবে বিশেষজ্ঞদের ধারণা, তিব্বত মালভূমির পূর্বাংশে এই প্রকল্পের কারণে বাংলাদেশ ও ভারতের অনেক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন।

বাঁধটি চীনের ইয়ারলুং জাংবো নদীর নিম্নাংশে তৈরি করা হবে। এ থেকে বছরে ৩০০ বিলিয়ন কিলোওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে। বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী বাঁধ চীনের থ্রি গর্জেস। এটি ৮৮.২ বিলিয়ন কিলোওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম। নতুন অনুমোদিত প্রকল্প থেকে এর তিনগুণেরও বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে।

চীনের রাষ্ট্রায়াত্ত সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া গতকাল বুধবার জানিয়েছে, এ প্রকল্প চীনের কার্বন নিঃসরণ সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছানো এবং কার্বন নিরপেক্ষ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এছাড়াও এটি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন শিল্পের প্রসার ঘটাবে এবং তিব্বতে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে।

ইয়ারলুং জাংবো নদীর একটি অংশে মাত্র ৫০ কিলোমিটারের (৩১ মাইল) মধ্যে পানির প্রবাহ দুই হাজার মিটার (৬,৫৬১ ফুট) পর্যন্ত নিচু হয়ে গেছে। যা জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনাকে আরও বাড়িয়েছে।

ড্যামটি নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যয় প্রকৌশল খরচসহ থ্রি গর্জেস ড্যামের খরচকেও ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। থ্রি গর্জেস ড্যাম নির্মাণে ২৫৪.২ বিলিয়ন ইউয়ান (৩৪.৮৩ বিলিয়ন ডলার) খরচ হয়েছিল।

তিব্বতে নির্মীয়মাণ এ প্রকল্প কতজন মানুষকে স্থানচ্যুত করবে বা এটি স্থানীয় পরিবেশে কী ধরনের প্রভাব ফেলবে, সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষ এখনও কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি। উল্লেখযোগ্যভাবে, এ এলাকা তিব্বতীয় মালভূমির সবচেয়ে সমৃদ্ধ এবং জীববৈচিত্র্যপূর্ণ অঞ্চলের একটি।

তবে চীনা কর্মকর্তাদের মতে, তিব্বত অঞ্চলের জলবিদ্যুৎ প্রকল্পটি পরিবেশের ওপর কিংবা নিম্নভাগে পানি সরবরাহব্যবস্থার ওপর খুব বড় ধরনের কোনো প্রভাব ফেলবে না। অবশ্য তাদের এমন দাবির পরও বাংলাদেশ ও ভারতের পক্ষ থেকে এ বাঁধ নির্মাণ নিয়ে উদ্বেগ জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ ও ভারত প্রকল্পটি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। কারণ, এ বাঁধের ফলে স্থানীয় পরিবেশের পাশাপাশি নদীর নিম্নাঞ্চলের প্রবাহ ও গতিপথ পরিবর্তন হতে পারে।

ইয়ারলুং জাংবো নদী তিব্বত ছাড়ার পর ভারতের অরুণাচল প্রদেশ এবং আসাম রাজ্যে ব্রহ্মপুত্র নামে প্রবেশ করেছে এবং শেষে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পড়েছে।

চীন ইতোমধ্যেই তিব্বতের পশ্চিম থেকে পূর্বদিকে প্রবাহিত ইয়ারলুং জাংবোর উপরের অংশে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করেছে। এর উপরের অংশে আরও প্রকল্প নির্মাণের পরিকল্পনা করছে চীন।

আশঙ্কা করা হচ্ছে, এ প্রকল্পের প্রভাবে শুধু স্থানীয় বাস্তুসংস্থানের পরিবর্তন হবে, এমন নয়, এটি নদীর নিম্নভাগের পানিপ্রবাহ ও গতিপথকেও পাল্টে দিতে পারে।

চীন ইতিমধ্যেই তিব্বতের পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে প্রবাহিত ইয়ারলুং জাংপো নদীর ওপরের দিকে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করেছে। এটি ওপরের দিকে আরও প্রকল্প নির্মাণের পরিকল্পনা করছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়