শিরোনাম
◈ একের পর এক নিষেধাজ্ঞা, ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক কোন দিকে? নানা প্রশ্ন ◈ স্থলপথে কেন বাংলাদেশি পণ্যে নিষেধাজ্ঞা, জানাল ভারত ◈ খালেদা জিয়ার সঙ্গে কর্নেল অলির সাক্ষাৎ ◈ ভারতে কমেছে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার, বাড়ছে যুক্তরাষ্ট্রে-সৌদি আরবে ◈ সাফ শি‌রোপা জেতা হ‌লো না বাংলা‌ে‌দে‌শের, ভার‌তের কা‌ছে টাইব্রেকারে হে‌রে গে‌লো ◈ ভারত থেকে পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা, দিলীপ ঘোষের হুঁশিয়ারি: ‘বাংলাদেশ টক্কর দিলে বাঁচবে না’ ◈ যে ‘৩ শর্তে’ সশস্ত্র বাহিনীর চাকরিচ্যুতদের বিক্ষোভ স্থগিত হয় ◈ আইসিসি’তে জয় শাহ: ক্রিকেটে শক্তির ভারসাম্য নষ্ট করছে ভারত? ◈ সাবেক সেনাসদস্যদের বিক্ষোভ নিয়ে যা জানালেন আইএসপিআর ◈ ‘ইউনিফর্ম পড়ে আসছি, আমি কাপুরুষ না’- চাকরিচ্যুত সেনাদের উদ্দেশ্যে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা (ভিডিও)

প্রকাশিত : ১৭ নভেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৫ রাত
আপডেট : ০৮ মে, ২০২৫, ১০:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ফুলশয্যার রাতে যা করল নববধূ, শুনলে আঁতকে উঠবেন!

ফুলশয্যার রাতে মানে ভোর ৪টের দিকে অজ্ঞান অবস্থায় পাওয়া যায় নববধূ মনজিৎ ও তাঁর মা শকুন্তলাকে। রাতে কী হয়েছিল মনজিতের সঙ্গে? অবাক হয়ে শুনলেন সবাই।

সদ্য বিবাহিতা বধূর কীর্তিতে আলোড়ন সোনিপাতে। এখানকার খারখোদা থানা এলাকায় বসবাসকারী মনজিৎ উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারে পল্লবী নামের এক তরুণীকে বিয়ে করেছেন গত ১৩ নভেম্বর। এর পর বর-কনেও মন্দিরে যান আশীর্বাদ নিতে। খুশিমনে খরখোদায় ফিরে আসেন। কিন্তু এর পর যা হল, শুনলে আঁতকে উঠবেন! নিজেই সেই ঘটনা জানালেন পাত্র মনজিৎ।

নববধূ এবং পরিবারের সঙ্গে বৌভাতের প্রস্তুতি চলছিল যখন কনে এমন কিছু করল যা বর কখনও ভাবেননি। পরদিন ভোর ৪টের দিকে অজ্ঞান অবস্থায় পাওয়া যায় মনজিৎ ও তাঁর মা শকুন্তলাকে।

জ্ঞান ফিরলে মনজিৎ জানান, বিয়ের আগে রাত ১১টার দিকে কনে দু'কাপ চা নিয়ে রুমে এসে এক কাপ তাঁকেও দেন। তিনি চা খেতে শুরু করলে কনে বলেন, "শোনো, আমি জল খেয়ে ফিরে আসব।" এই বলে পল্লবী ঘর থেকে বেরিয়ে যান। অন্যদিকে, মনজিতের কথায়, "চা খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি ঘুমিয়ে পড়লাম এবং তারপর জ্ঞান হারালাম। আমার মাও একই চা পান করেছেন; যে কারণে তিনিও অজ্ঞান অবস্থায় ছিলেন।"

পরিবারের সদস্যরা মা-ছেলে দু'জনকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসা করা হয়। মনজিৎ বলেন, "বিয়ের রাতে কনে পল্লবী আমার কাছে আসেনি, আমি কিছুই জানতাম না। চা খাওয়ার পর আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেললাম। পরের দিন সকালে যখন আমি অস্বস্তি বোধ করি, আমার পরিবারের সদস্যরা আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরে দেখি কনে পল্লবী বাড়িতে নেই।"

এদিকে, শুধু পল্লবী একা যাননি! অভিযোগ, বাড়ি থেকে সমস্ত গয়না, নগদ টাকা এবং বিয়েতে পাওয়া উপহারও উধাও! পল্লবী চায়ে নেশাজাতীয় কিছু মিশিয়ে দিয়েছিল বলে অভিযোগ মনোজিতের। তাতেই তিনি আর তাঁর মা অজ্ঞান হয়ে যান।

পুলিশ জানিয়েছে যে এই বিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে যার ভিত্তিতে পল্লবী এবং অন্যদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।

শুধু তা-ই নয়, বিয়ের জন্য ১.২৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছিল পল্লবীর পরিবারকে, এমনই জানা যায়। খুব আড়ম্বর সহকারে বিবাহ উদযাপন করা হয়েছিল এবং সমস্ত আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছিল।

হাসপাতাল থেকে ঘরে ফিরে মনজিৎ দেখেন ঘরের সমস্ত জিনিসপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে, আর টাকাপয়সা-সহ মূল্যবান জিনিস সব উধাও। বিয়েতে দেওয়া স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ দুই লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে বলে অভিযোগ। এই অভিযোগের ভিত্তিতে পল্লবীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সূত্র: নিউজ ১৮ বাংলা কলকাতা

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়