স্পোর্টস ডেস্ক : পাকিস্তান শাহিনসের কাছে হার দিয়ে টপ এন্ড টি-টোয়েন্টিতে শুরুটা করেছিল বাংলাদেশ ‘এ’ দল। টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের কাছে ৭ উইকেটে হেরেছে নুরুল হাসান সোহানের দল।
পুরো টুর্নামেন্টে টাইগারদের সাফল্য পার্থ স্কোর্চার্চ একাডেমি ও নেপালের বিপক্ষে জয়। --- ডেইলি ক্রিকেট
শনিবার ডারউইনে আগে ব্যাট করে জিসান আলম ও আফিফ হোসেনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ১৭৫ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ম্যাকেঞ্জি হার্ভের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ৭ উইকেটের জয় পায় অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্স।
এদিন টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশকে ভালো শুরু এনে দিতে পারেননি মোহাম্মদ নাঈম শেখ। আরও একবার বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হয়েছেন টাইগার এ ওপেনার। ১৭ বলে মাত্র ১৫ রান করে ফিরেছেন তিনি। তবে আরেক ওপেনার জিসান আলম খেলেছেন দারুণ।
শুরু থেকেই প্রতিপক্ষের বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে খেলেছেন তিনি। তুলে নিয়েছেন টুর্নামেন্টে আরও একটি ফিফটি। ৩৮ বলে ৫ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৫০ রান করে ফিরেছেন জিসান।
নেদারল্যান্ডস সিরিজ ও এশিয়া কাপের দলে সুযোগ পাওয়া সাইফ হাসান ও নুরুল হাসান সোহান তেমন কিছু করতে পারেননি। টি-টোয়েন্টি সুলভ ব্যাটিং করতে ব্যর্থ তারা। সাইফ খেলেছেন ১৯ বলে ১৫ রানের ইনিংস। নুরুলের ব্যাট থেকে এসেছে ৮ বলে ৬ রান।
তবে বাংলাদেশ ‘এ’ দলকে লড়াকু সংগ্রহ এনে দিয়েছেন আফিফ হোসেন ও ইয়াসির আলী চৌধুরী। দুজনেই করেছেন আক্রমণাত্মক ব্যাটিং। তবে ইয়াসিরের তুলনায় বেশি আক্রমণাত্মক ছিলেন আফিফ। ২৩ বলে ৫ বাউন্ডারি ৩ ছক্কায় ৪৯ রানের অপরাজিত ছিলেন তিনি। ইয়াসিরের ব্যাট থেকে এসেছে ১৫ বলে অপরাজিত ২৫ রান।
অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের হয়ে ৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে ৩টি উইকেট শিকার করেছেন হ্যানো জ্যাকবস।
বড় রান তাড়া করতে নেমে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন অ্যাডিলেডের দুই ওপেনার ম্যাকেঞ্জি হার্ভে ও জ্যাক উইন্টার। দুজনের ওপেনিং জুটিতে ওঠে ১২.৪ ওভারে ১২৩ রান। তাতেই জয়ের ভিত পেয়ে যায় অ্যাডিলেড। ৩৫ বলে ৩৫ রান করে উইন্টার ফিরলে ভাঙে সেই জুটি।
তবে অ্যাডিলেডকে বিপদে পড়তে দেননি আরেক ওপেনার ম্যাকেঞ্জি। দলক জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন তিনি। সেই সাথে তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি। ৫৩ বলে ১৪ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ১০২ রান করে অপরাজিত ছিলেন তিনি। এছাড়াও ১৪ বলে অপরাজিত ২৫ রানের ক্যামিও খেলেছেন হ্যারি ম্যানেতি।
এদিন নাঈম হাসান ছাড়া বাংলাদেশের প্রায় সব বোলার ছিলেন খরুচে। কোনো উইকেট না পেলেও নাঈম ৪ ওভারে দিয়েছেন ২৯ রান।