স্পোর্টস ডেস্ক : আরো দশদিন বাকি গ্রীষ্মকালীন দলবদল শেষ হতে। তার আগেই নতুন রেকর্ড হয়েছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে। রেকর্ড ২ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন পাউন্ড খরচ করেছে ইংলিশ ক্লাবগুলো। ২০২৩ সালে করা ২ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন পাউন্ডের রেকর্ড ভেঙেছে এ মৌসুমে।
শেষ ১০ দিনে এই অঙ্ক কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় সেটিই এখন দেখার অপেক্ষা। সুইস স্ট্রাইকার নোয়াহ ওকাফোরকে এস মিলান থেকে ১৮ মিলিয়ন পাউন্ডে দলে ভিড়িয়েছে লিডস ইউনাইটেড।
আপাত দৃষ্টিতে খুবই সাধারণ এক দলবদলের ঘটনা এটি। তবে সাধারণ এই ডিল নাম লিখিয়েছে অসাধারণের খাতায়। কারণ এই দলবদলের মাধ্যমেই নতুন ইতিহাস হলো ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে।
ইপিএলের চলতি গ্রীষ্মকালীন দলবদলে রেকর্ড ২ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন পাউন্ড খরচ করেছে ক্লাবগুলো। আগের রেকর্ড ছিলো ২০২৩ সালের গ্রীষ্মকালীন দলবদলে ২.৩৬ বিলিয়ন পাউন্ড।
লিভারপুলের একক আধিপত্যে সমাপ্তি হয় ইপিএলের সবশেষ মৌসুম। এরপরই শক্তিশালী দলগঠনে উঠে পড়ে নামে ক্লাবগুলো। বিশেষ করে আক্রমণভাগ ও মিডফিল্ডার সংগ্রহে রীতিমতো রেসে নামে বড় ক্লাবগুলো। যার জলন্ত উদাহরণ, ক্রিস্টাল প্যালেস থেকে টটেনহ্যামকে বোকা বানিয়ে এবেরেচি এজেকে রীতিমতো ছিনতাই করেছে আর্সেনাল। সবমিলিয়ে ১০ দিন বাকি থাকতেই রেকর্ড বুকে ইপিএলের এবারের গ্রীষ্মকালীন দলবদল।
২০২৩ সালে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী তারকা এনজো ফার্নান্দেজকে ব্রিটিশ রেকর্ড ১০৭ মিলিয়ন পাউন্ডে দলে ভিড়িয়েছিলো চেলসি। সেবার দলবদলের বাজারে রেকর্ড ২.৩৬ বিলিয়ন পাউন্ড খরচ করেছিলো ইপিএলের ক্লাবগুলো। ভেঙ্গেছিলো আগের মৌসুমের ১.৯২ বিলিয়ন পাউন্ডের রেকর্ড।
এরপর ২০২৪ গ্রীষ্মকালীন দলবদলে ইংলিশ ক্লাবগুলো খরচ করেছিলো ১.৯৮ বিলিয়ন পাউন্ড। যার প্রভাব পড়ে পয়েন্ট টেবিলে।
ম্যানইউ-টটেনহ্যামের মতো ক্লাবগুলো লিগ শেষ করে টেবিলের তলানিতে থেকে। ম্যানসিটি-আর্সেনালকে ফিরতে হয় প্রায় শুন্য হাতে। টাকার বস্তা নিয়ে মাঠে নামে জায়ান্ট ক্লাবগুলো। একের পর এক আক্রমণভাগের ফুটবলার ভেড়াতে থাকে তারা। গায়েকোরেস, ভিটজরা আছেন সে তালিকায়।
এদিকে, পিছিয়ে নেয় ছোট ক্লাবগুলোও। চলতি লিগে জায়গা করে নেয়া বার্নলি ও সান্ডারল্যান্ডও খরচ করছে হাতখুলে। সবশেষ ২৫ ও ২৬ মিলিয়ন পাউন্ডে তারা দলে নিয়েছে উগোচুকো ও দিয়ারাকে।
দল বদল শেষ হতে বাকি আরও দিন দশেক। এরইমধ্যে নতুন রেকর্ড গড়া ইপিএলের দল বদল বাজার শেষ ১০ দিনে কোথায় গিয়ে থামে সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।