জুলাই ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে আহত চার তরুণ বিষপান করেছেন চরম হতাশা ও অবহেলার প্রতিক্রিয়ায়। আহতদের পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছে—দীর্ঘ ১০ মাসেও তারা পায়নি পর্যাপ্ত চিকিৎসা বা পুনর্বাসন, বরং রাষ্ট্রীয় ও সামাজিকভাবে বঞ্চিত হয়েই চলছে তাদের দিন।
আহতদের একজন আবেগঘন ভাষায় বলেন, “আজকে আমরা একসাথে বিষ খেয়েছি, কারণ ধুকে ধুকে মরার চেয়ে একবারে মরে যাওয়াই ভালো। প্রত্যেকের চেয়ার বদল হয়েছে, বেতন-ভাতা পেয়েছে, কিন্তু আমরা যারা চোখ হারিয়েছি, হাত হারিয়েছি—তাদের চিকিৎসা আজও হয়নি।”
তাদের অভিযোগ, চিকিৎসা ক্ষেত্রে নানা সিন্ডিকেট এবং প্রশাসনিক উদাসীনতা তাদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনকে করে তুলেছে অসম্ভব। বিশেষ করে চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালকের বিরুদ্ধে উঠেছে গুরুতর অভিযোগ—তিনি প্রকৃত রোগীদের বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার না করে, সিন্ডিকেট-নিয়ন্ত্রিত চক্রকে গুরুত্ব দিচ্ছেন।
আহতদের একজন বলেন, “আমার মনে আছে, আমি শুধু চাইছিলাম স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করতে, রাজনীতি আমার উদ্দেশ্য ছিল না। কিন্তু স্বাস্থ্যখাতটাই আজ সবচেয়ে বড় রাজনীতির জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “আজকে হাসপাতালে যাবার পর দেখা যায় একজন দালালের কথায় ডাক্তার ওঠে-বসে। একজন চিকিৎসার জন্য মেডিসিন চায়, দিন রাত ফোন করতে হয়। অথচ দেশের জন্য প্রাণ দেওয়া এই যোদ্ধারা এখন মানসিক রোগী হয়ে যাচ্ছে।”
>>আহতদের দাবিগুলোর মধ্যে ছিল:
>>দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা
>>মানসিক পুনর্বাসন
>>চিকিৎসা সিন্ডিকেটের বিচারের দাবি
>> শহীদ ও আহতদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও সহায়তা
স্বাধীনতাকামী আন্দোলনের শহীদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন
তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, “যদি অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তবে আমরা আবার গণআন্দোলনে যাব। এই সরকার যদি আমাদের রক্তের মূল্য না বোঝে, তাহলে এই সরকারের প্রয়োজন নেই।”
এই ঘটনা দেশের রাজনৈতিক ও মানবিক অবস্থা সম্পর্কে নতুন করে প্রশ্ন তুলছে। রাষ্ট্রের দায়বদ্ধতা, স্বাস্থ্যখাতের স্বচ্ছতা এবং গণআন্দোলনের প্রকৃত উত্তরাধিকারীদের সম্মান প্রদর্শনের বিষয়গুলো নিয়ে এখনই জোরালো পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সচেতন মহল। উৎস”: চ্যানেল২৪
সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি দেখতে পারেন ভিডিওতে