প্রথমবারের মতো পিএসএলের ফাইনালে ওঠা কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সকে হারিয়ে তৃতীয় শিরোপা ঘরে তুললো রিশাদ হোসেনের লাহোর কালান্দার্স।
রোববার (২৫ মে) লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে পিএসএলের ফাইনাল ম্যাচে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্স। তবে শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি প্রথমবারের মতো ফাইনালে ওঠা কোয়েটার।
তবে হাসান নাওয়াজের দুর্দান্ত হাফ-সেঞ্চুরি ও শেষদিকে ফাহিম আশরাফের ক্যামিওতে ২০০ রান পার করে কোয়েটা। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২০১ রানের সংগ্রহ পায় কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্স।
লাহোরের হয়ে অধিনায়ক শাহিন আফ্রিদি শিকার করেন ৩ উইকেট। সালমান মির্জা ও হারিস রউফ নেন দুটি করে উইকেট। এছাড়া সিকান্দার রাজা ও রিশাদ নেন একটি করে উইকেট।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১ বল বাকি থাকতেই ৬ উইকেটের জয় তুলে নেয় লাহোর। এটি পিএসএলে দলটির তৃতীয় শিরোপা। এদিন লাহোরকে ভালো শুরু এনে দিয়েছিলেন ফখর জামান ও মুহাম্মদ নাইম। তবে ইনিংসের চতুর্থ ওভারে ডানহাতি স্পিনার আবরার আহমেদের ফলে সুইপ করতে গিয়ে লেগ বিফোর হয়ে সাজঘরে ফেরেন ফখর।
দ্বিতীয় উইকেটে আব্দুল্লাহ শফিককে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন নাইম। ৬ ছক্কা ও এক চারে ২৭ বলে ৪৬ রান করে ডানহাতি পেসার ফাহিম আশরাফের বলে আভিস্কা ফার্নান্দোকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনিও। দলের রান একশ পেরিয়ে যাওয়ার পর আউট হয়েছেন শফিক। স্পিনার উসমান তারিকের বলে উড়িয়ে মারার চেষ্টায় খুররাম শাহজাদকে ক্যাচ দেন তিনি। শফিকের ব্যাট থেকে এসেছে ২৮ বলে ৪১ রান।
এরপর মোহাম্মদ আমিরের বলে ১৪ রান করে বিদায় নিয়েছেন ভানুকা রাজাপাকশে। তবে বাকি পথটা বেশ ভালোভাবেই শেষ করেন সিকান্দার রাজা ও কুশল পেরেরা। শিরোপা জিততে শেষ ১২ বলে ৩১ রান করতে হতো পেরেরা ও রাজাকে। যা ১ বল বাকি থাকতেই তুলে নেন তারা।
৪ ছক্কা ও ৫ চারে ৩১ বলে ৬২ রান করে অপরাজিত থাকেন পেরেরা। আর ২ ছক্কা ও ২ চারে ৭ বলে ২২ রান করে অপরাজিত থাকেন সিকান্দার রাজা।