শিরোনাম
◈ ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্কের চাপ সামলাবে কে: যুক্তরাষ্ট্রের নতুন বাণিজ্যনীতিতে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা ◈ ডলারের বিশ্বায়ন: যেভাবে একটি মুদ্রা বিশ্ব অর্থনীতিকে শাসন করছে ◈ ট্রাম্পের কঠোর অভিবাসন নীতি: চার্টার্ড ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত আসছেন আরও ৩০ বাংলাদেশি ◈ যশোরের মনিরামপুরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে যুবদলের চার কর্মী গ্রেফতার ◈ মিয়ানমারের রাজনীতিতে নতুন মোড়, জান্তার ক্ষমতা হস্তান্তর! ◈ ইসরায়েলি নাগরিক সাফাদির সাথে সাক্ষাৎ: স্বীকার করে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন নুর (ভিডিও) ◈ জিম্বাবুয়েকে হা‌রি‌য়ে ত্রিদেশীয় সি‌রি‌জের ফাইনা‌লে বাংলা‌দেশ ◈ মির্জা আব্বাসের প্রশ্ন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কি ‘জাতীয় নাগরিক পার্টির’ (এনসিপি) সরকার? ◈ ফার্মেসির পরামর্শে শিশুর ডায়রিয়ায় অ্যান্টিবায়োটিক, গবেষণায় বিপদের ইঙ্গিত ◈ মার্কিন শুল্ক কমলো, যেসব চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলাদেশ

প্রকাশিত : ২৬ মে, ২০২৫, ০২:০৪ রাত
আপডেট : ১০ জুলাই, ২০২৫, ১১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গার্মেন্টস মালিকদের দুর্দশা দেখার কেউ নেই: অনন্ত জলিল (ভিডিও)

ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকেই অর্থনৈতিকভাবে চাপে রয়েছে গার্মেন্টস খাত—এমনটাই জানালেন ব্যবসায়ী ও অভিনেতা অনন্ত জলিল। তাঁর মতে, এই সংকট কোনো রাজনৈতিক সমস্যা নয়, বরং এটি আন্তর্জাতিক বাজারের কারণে তৈরি।

তিনি বলেন, “টাকা-পয়সার সমস্যা ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকেই শুরু হয়েছে। এটা আমাদের দেশের কোনো রাজনৈতিক সমস্যা না, এটা আন্তর্জাতিক মার্কেটের সমস্যা। যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে ধস নেমেছে, যার সরাসরি প্রভাব পড়েছে আমাদের গার্মেন্টস খাতে। এই কষ্টটা এখন আমরা গার্মেন্টস মালিকরা ভোগ করছি।”

তিনি উল্লেখ করেন, “২০২৩ সালের ডিসেম্বরে হঠাৎ করে গার্মেন্টস খাতে ৫৪% থেকে ৬০% পর্যন্ত বেতন বেড়ে যায়। একই সময়ে গ্যাসের দাম ইউনিটপ্রতি ১২ টাকা থেকে বেড়ে ৩২ টাকা ৫০ পয়সায় দাঁড়ায়। সরকার দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে শ্রমিকদের বেতন বাড়িয়েছে, গ্যাসের দামও আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে মিল রেখে সমন্বয় করেছে। আমি বলব, এটা ওয়ার্কারদের জন্য ঠিক সিদ্ধান্ত। কিন্তু মালিকেরা কোথা থেকে এই অতিরিক্ত টাকা যোগাবে, সেই প্রশ্নের উত্তর নেই।”

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশে ৩৯টি সংস্থা আছে যারা প্রতিনিয়ত অঘোষিত অডিট করে। তারা দেখছে বেতন ৭ কার্যদিবসে দেওয়া হয়েছে কি না, এক বছর পূর্ণ হলে ৫% ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হয়েছে কি না, সরকারের সব সার্কুলার বাস্তবায়িত হচ্ছে কি না—সব কিছু নজরদারির আওতায়। কিন্তু মালিকদের দুর্দশা দেখার কেউ নেই।”

তিনি দাবি করেন, “প্যান্ডেমিক থেকে এখন পর্যন্ত গার্মেন্টস পণ্যের দাম গড়ে ৩০% কমে গেছে, অথচ শ্রমিকদের বেতন বেড়েছে প্রায় ৭০%। তাহলে মালিকরা এই সমন্বয় কোথায় করবে? এই সমন্বয় করার জন্য একটি বোর্ড প্রয়োজন, যেটি বিজিএমইএর মধ্যেও নেই।”

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়