আইরিন হক, বেনাপোল(যশোর) : যশোরের মণিরামপুরের একটি আবাসিক হোটেল রজনী নিবাসে অভিযান চালিয়ে পুলিশ একটি খেলনা পিস্তল ও একটি চাকুসহ যুবদলের চার কর্মীকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ বলছে, আটককৃতরা ডাকাতির প্রস্তুুতি নিচ্ছিলেন।
শুক্রবার(০২ আগস্ট) ভোরে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের আজ শুক্রবার বিকালে আদালতে পাঠালে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলো পৌরসভার গাংড়া এলাকার আলম খান, দূর্গাপুরের টুটুল, উপজেলার কদমবাড়িয়া গ্রামের সাইফুল ইসলাম ও খেদাপাড়ার আবু সিনহা।
শুক্রবার রাত ১০ টার দিকে জেলা পুলিশের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার রাতে মনিরামপুর পৌর শহরে গরুর হাটখোলা মোড়ে “রজনী নিবাস হোটেলের ৪র্থ তলার ৪০৮ নাম্বার কক্ষের ভিতরে যশোর টু চুকনগর গামী মহাসড়কে বিভিন্ন যানবাহনে ডাকাতি করার পরামর্শ ও প্রস্তুতি চলছিলো। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালায়। এসময় কক্ষের ভিতরে আলম খান (৪৮), শামীমুর রহমান টুটুল (৪৩), সাইফুল ইসলাম (৫০), আবু সিনহা (৪৫) গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযানের সময় একটি খেলনা পিস্তল, ১টি সুইচ গিয়ার চাকু জব্দ করা হয়। তবে অভিযানের সময়ে হোটেল মালিক আওয়ামী লীগ নেতা গাউসুল মোস্তাকের ছেলে মাদক বিক্রেতা ফয়সাল হুমায়ুন পালিয়ে যায়।
মনিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বাবলুর রহমান খান জানান, সন্ত্রাসীরা ওই হোটেলে বসে ডাকাতির পরিকল্পনা করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানের সময় চারজনকে আটক করা হয়। তবে হোটেল পরিচালনাকারী ফয়সাল হুমায়ুন কৌশলে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে হুমায়ুন ফয়সাল ও আটক চার জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
এদিকে আটক চারজনকে যুবদলের সংক্রীয় কর্মী বলে জানিয়েছেন মনিরামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট শহীদ ইকবাল হোসেন। তিনি বলেন, ‘ব্যক্তির দায় দল নিবে না। আমি জানিয়েছে দিয়েছি দলে থেকে কেউ অপকর্ম করলে তাদের দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনকেও সহযোগিতা করা হবে।