নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের কমিউনিটি হেলথ ওয়ার্কারদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে প্রথমবারের মতো ব্র্যাক জেমস পি গ্রান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথ (ব্র্যাক জেপিজিএসপিএইচ), ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় এর উদ্যোগে আয়োজিত একটি জাতীয় প্রচার ও পরামর্শ কর্মশালার মাধ্যমে শাইন প্রকল্পের অংশগ্রহণমূলক গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) রাজধানীর গুলশানের হোটেল আমারিতে জেপিজিএসপিএইচ এর কর্মশালায় প্রথমবারের মতো সিএইচডব্লিউদের মানসিক সুস্থতা, চ্যালেঞ্জ এবং নীতিগত দিক তুলে ধরে গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
গবেষণার ফলাফলে দেখানো হয়েছে- সিএইচডব্লিউরা আর্থিক অনিশ্চয়তা, অতিরিক্ত কাজের চাপ এবং প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তার অভাবে ভুগছেন। তবে কমিউনিটির সম্মান ও সেবার মনোভাব নিয়ে তাদের কাজ চালিয়ে যেতে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। তাছাড়া আলোচনা পর্বে বিশেষজ্ঞরা বাস্তবতার ভিত্তিতে নীতিগত কিছু সুপারিশও উপস্থাপন করেছে, যা বাংলাদেশের সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
কমিউনিটি হেলথ ওয়ার্কারদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে গবেষণার ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানের আলোচনাপর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটি ক্লিনিক হেলথ সাপোর্ট ট্রাষ্টের চেয়ারম্যান ডা. এ এম জাকির হোসেন। এছাড়া আলোচনায় অংশ নেন ব্রাক বিশ্ব বিদ্যালয়ের হেলথ সিস্টেমের পরিচালক ডা. সৈয়দ মাসুদ আহমেদ, ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এমডি তানভীর হাসান, প্রফেসর ড. সাবিনা ফয়েজ রশিদ, প্রফেসর ড. মালায় কান্তি মৃধা, ড. নাহিতুন নাহার, নাজিয়া ইসলাম, ওবাইদা করিম, মুহাম্মদ রিয়াজ হোসাইন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বক্তরা বলেন, কমিউনিটি স্বাস্থ্যকর্মীরা সাধারণত গ্রামীণ ও শহরতলী এলাকায় সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠী এবং স্বাস্থ্যসেবার মধ্যে একটি সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করেন। তবে কিছু প্রতিবন্ধকতার কারণে অনেক সময় তারা মানসিকভাবে চাপে পড়েন। এই মানসিক চাপ শুধুমাত্র তাদের ব্যাক্তিগত সুস্থতা এবং কাজের দক্ষতাই কমায় না, বরং বৃহত্তর পরিসরে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার স্থিতিশীলতাও ঝুকিতে ফেলে। তাই কমিউনিটি স্বাস্থ্যকর্মীদের উপযুক্ত সহায়তা ও স্বীকৃতি প্রদান করলে তারা আরও দৃঢ়ভাবে ও আত্নবিশ্বাসের সঙ্গে কাজ করতে সমর্থ হবেন। এতে সামগ্রিকভাবে দেশে একটি কার্যকর ও টেকসই স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে উঠবে।