শিরোনাম
◈ সংস্কারের প্রত্যাশার তুলনায় অন্তর্বর্তী সরকারের সময়সীমা যথোপযুক্ত না: আইন উপদেষ্টা ◈ এবার মসজিদে আজান বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন ইসরাইল, গাজায় ৮২৮টি মসজিদ সম্পূর্ণ ধ্বংস! ◈ পল্লীবিদ্যুৎ এসোসিয়েশনের টানা অবস্থান কর্মসূচিতে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের শঙ্কা! ◈ ডিজিএফআইয়ের সাবেক ডিজি সাইফুল আলমের সম্পত্তি জব্দের আদেশ ◈ টাকা পাচারকারীরা অত্যন্ত বুদ্ধিমান, ধরা কঠিন: সালেহউদ্দিন আহমেদ ◈ রোহিঙ্গা সংকট এবং চলমান অর্থায়ন চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা ◈ বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক কি ‘পয়েন্ট অব নো রিটার্ন’এ যাচ্ছে? ◈ মিয়ানমারের ঐতিহাসিক সাগাইং মসজিদ সিলগালা ◈ নির্বাচনের আগেই যে পাঁচটা সংস্কারের বাস্তবায়ন দেখতে চান জামায়াত আমীর শফিকুর রহমান! (ভিডিও) ◈ যেসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর ফাঁকি দেয়, তাদের করের আওতায় আনার কার্যকর পদক্ষেপ নেই বাজেটে : এনসিপি

প্রকাশিত : ০২ জুন, ২০২৫, ১০:৪৩ দুপুর
আপডেট : ০৪ জুন, ২০২৫, ১২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে টানা ৫ দিন চিকিৎসাসেবা বন্ধ: মারামারির জেরে রোগীরা ফিরছেন বিনা চিকিৎসায়

জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে গতকাল রবিবার পর্যন্ত পাঁচ দিন চিকিৎসাসেবা বন্ধ। তালাবদ্ধ রয়েছে হাসপাতালে প্রবেশের প্রধান দুটি গেট। ভেতরে পুলিশ ও আনসার সদস্যরা রয়েছেন।

গতকাল দুপুরে সরেজমিনে ইত্তেফাকের এই প্রতিনিধি আগারগাঁওয়ে ২৫০ বেডের জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে যান। দূর-দুরান্ত থেকে আসা রোগীরা গেট তালাবদ্ধ দেখে ফিরে যাচ্ছেন। কোনো কোনো রোগী আনসার সদস্যদের জিজ্ঞাসা করছেন, হাসপাতাল বন্ধ কেন? এত দূর থেকে আসছি, ঢাকায় থাকার জায়গা নেই, কোথায় যাব? উত্তরে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আনসার সদস্যরা বলছেন, মারামারির কারণে হাসপাতাল বন্ধ। কখন সেবা কার্যক্রম চালু হবে বলতে পারব না। অন্য হাসপাতালে রোগী দেখান। 

বহির্বিভাগে প্রতিদিন তিন সহস্রাধিক রোগী এই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসেন। শতাধিক রোগীর প্রতিদিন অপারেশন হয়। গত পাঁচ দিন ধরে বিপুলসংখ্যক রোগীর অপারেশন ও চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম বন্ধ।

গত ২৮ মে চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের কর্মচারী ও চিকিৎসাধীন জুলাই আন্দোলনে আহতদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পর হাসপাতালে জরুরিসহ সকল ধরনের চিকিৎসা ও অপারেশন বন্ধ হয়েছে। ঐ দিন ধাওয়া-পালটা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। আতঙ্কে চিকিৎসাধীন ও আগত রোগীরা হাসপাতাল ছেড়ে চলে যায়। এই মারামারির ঘটনায় উভয়পক্ষের লোকজন আহত হয়েছে বলে জানা যায়। তবে ডাক্তার, নার্স ও কর্মচারীসহ ১৫-২০ আহত হয়। জুলাই আন্দোলনে চিকিৎসাধীন ১০ জন আহত হয়েছে বলে জানা যায়।

এ ঘটনার প্রতিবাদে চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীরা কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করা না হলে তারা কাজে যোগদান করবেন না বলে জানান।

গতকাল দুপুরে সাতক্ষীরার তালা উপজেলা থেকে তাহমিনা খাতুন (৩৫) নামে এক রোগী এই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসেন। এক আনসার সদস্য তাকে জানান যে, হাসপাতালে চিকিৎসা বন্ধ। অন্য হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেন।

ঐ রোগী বলেন, এতদূর থেকে আসলাম এবং ডাক্তার বলছে ঢাকার এই হাসপাতালে গেলে চোখের ভালো চিকিৎসা হবে। এ কারণে আসলাম। তাহমিনার স্বামী মারা গেছে। কোনো রকমে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। তিনি বলেন, ‘আমি এখন কোথায় থাকব। অন্য হাসপাতালে গিয়ে আমার পক্ষে চিকিৎসা নেওয়া সম্ভব না।’ তাহমিনার মতো বিপুলসংখ্যক রোগী চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে এসে বিনা চিকিৎসায় ফিরে যাচ্ছেন।

বিষয়টি নিরসন করা জরুরি বলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা অভিমত ব্যক্ত করেছেন। হাসপাতালের একজন কর্মকর্তা বলেন, জুলাই আন্দোলনের ঘটনায় আহত ৫৫ জন এবং মহিলাসহ ২০-২৫ জন রোগী চিকিৎসাধীন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে বিষয়টি নিরসনে উদ্যোগ নিয়েছে বলে এক কর্মকর্তা জানান। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তাকে ফোন করলে তারা ফোন রিসিভ করেননি। সূত্র: ইত্তেফাক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়